Type Here to Get Search Results !

চন্দ্রশেখর আজাদ প্রথম পর্ব [Chandra Shekhar Azad]

 চন্দ্রশেখর আজাদ
Set by- Manas Adhikary



চন্দ্রশেখর আজাদ প্রথম পর্ব। Chandra Shekhar Azad – I

চন্দ্রশেখর আজাদ। রামপ্রসাদ বিসমিল। রাজেন্দ্রনাথ লাহিড়ী। আশফাক উল্লা খাঁ। হিন্দুস্তান রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশান। কাকোরি ষড়যন্ত্র মামলা। কুইক সিলভার।


নমস্কার, অভিনব  একাডেমিতে আপনাদেরকে স্বাগত জানাই, আজকে আপনাদের জন্য আলোচনা   করা  হলো চন্দ্রশেখর আজাদ। এই পর্বে থাকছে  চন্দ্রশেখর আজাদ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা।  পরবর্তী পর্বে কিছু অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলচনা করা হবে।   পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতবর্ষের সমস্ত সরকারি চাকরীর পরীক্ষাতে বা প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য (All Competitive exam: UPSC,WBPSC, WBCS, SLST, WBP SI, WBP  Constable, SSC, PSC, School Service, Railway exam etc) এই টপিকটি খুবই  গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।এছাড়াও আমাদের এই ব্লগে আপনি পেয়ে যাবে Indian History (Ancient, Medieval, Modern), Europe History, Geography, Gk, Bio-logy, Polity, child psychology, Environment Science, Pedagogy ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় গুলি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

  

চন্দ্রশেখর আজাদ সংক্ষিপ্তরূপ। About Chandra Shekhar Azad. 


 

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সাথে যে সমস্ত মহান বিপ্লবীদের নাম যুক্ত তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন চন্দ্রশেখর আজাদ। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল চন্দ্রশেখর তিওয়ারি। চন্দ্রশেখর আজাদই রামপ্রসাদ বিসমিল, রৌশান সিং, রাজেন্দ্রনাথ লাহিড়ী এবং আশফাকুল্লা খাঁ এর মৃত্যুর পর হিন্দুস্তান রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশানের নাম পতিবর্তন করে হিন্দুস্তান সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকান আর্মি রাখেন।

1906 সালের 23 জুলাই মধ্যপ্রদেশের আলিরাজপুর জেলার ভাওরা গ্রামে মহান বিপ্লবী চন্দ্রশেখর আজাদ জন্মগ্রহন করেন। তাঁর পিতার নাম পন্ডিত সীতারাম তিওয়ারি। তাঁর মাতা ছিলেন জাগরনী দেবী। এই জাগরনী দেবী ছিলেন তাঁর পিতার তৃতীয় স্ত্রী।

চন্দ্রশেখর প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করে সংস্কৃত শিক্ষা লাভ করার জন্য কাশী বিদ্যাপীঠে ভর্তি হন। তাঁর মা চেয়েছিলেন চন্দ্রশেখর তাঁর পিতার মতই সংস্কৃতে পন্ডিত হয়ে উঠুক। তাই তিনি চন্দ্রশেখরের পিতাকে রাজী করিয়ে তাঁকে কাশী বিদ্যাপীঠে পড়াশোনার জন্য পাঠান।

1921 সালে ডিসেম্বরে মাত্র পনেরো বছর বয়সে চন্দ্রশেখর আজাদ মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনে যোগদান করেন। অসহযোগ আন্দোলনে যোগদানের অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পেশ করা হলে তিনি নিজেকে 'আজাদ' (অর্থ্যাৎ মুক্ত) নামে পরিচয় দেন এবং তাঁর বাবার পরিচয় দেন 'স্বতন্ত্র' (অর্থ্যাৎ স্বাধীনতা) এবং তাঁর বাসভবনকে 'জেল' আখ্যায়িত করেন। এই ঘটনার পর থেকে তিনি মানুষের মধ্যে 'আজাদ' নামে পরিচিতি লাভ করেন। 1922 সালে মহাত্মা গান্ধী তাঁর অসহযোগ আন্দোলন স্থগিত করে দিলে চন্দ্রশেখর আজাদ আরও বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। তিনি এই সময় তরুন বিপ্লবী মন্মথনাথ গুপ্তের সঙ্গে দেখা করেন যিনি তাঁকে হিন্দুস্তান রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশান (HRA) এর মূল উদ্যোক্তা রামপ্রসাদ বিসমিলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।

এরপর তিনি HRA এর সক্রিয় সদস্য হয়ে ওঠেন এবং HRA এর জন্য তহবিল সংগ্রহ শুরু করেন। এই তহবিলের বেশিরভাগ অংশই সংগ্রহ করা হত সরকারী সম্পত্তি ছিনতাইয়ের মাধ্যমে। তিনি কাকোরি অভিযান, এলাহবাদের সশস্ত্র সংঘর্ষ এবং শেষ অবধি লালা লাজপত রায়ের হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার মতন নানা বৈপ্লবিক কর্মকান্ডের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। ফলে গ্রেপ্তারি এড়ানোর জন্য তাঁকে অনেকদিন আত্মগোপন করে থাকতে হয়। কংগ্রেসের সদস্য হওয়া সত্বেও মতিলাল নেহেরু নিয়মিত চন্দ্রশেখর আজাদের সমর্থনে অর্থ দিতেন।

চন্দ্রশেখর আজাদ বেশ কিছু সময়ের জন্য ঝাঁসিকে তাঁর সংস্থার কেন্দ্রস্থলে পরিনত করে তুলেছিলেন। তিনি ঝাঁসী থেকে 15 কিলোমিটার (9.3 মাইল) দূরে ওড়ছা বনটিকে বন্দুক চালনা অনুশীলনের জন্য বেছে নিয়েছিলেন। সেখানে তিনি তাঁর দলের অন্যান্য সদস্যদের প্রশিক্ষন দিতেন।

ঝাঁসিতে থাকাকালীন তিনি সদর বাজারের বুন্দেলখন্ড মোটর গ্যারেজে গাড়ি  চালানো শেখেন। সাদশিবরাও মালকাপুরকর, বিশ্বনাথ বৈশম্পায়ন এবং ভগবান দাশ মহুর তাঁর সান্নিধ্যে এসেছিলেন এবং তাঁরা ক্রমে ক্রমে বিপ্লবী গোষ্ঠীর অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে ওঠেন। রঘুনাথ বিনায়ক খুলেকার এবং সীতারাম ভাস্কর ভাগবতের পাশাপাশি তৎকালীন কংগ্রেস নেতারাও চন্দ্রশেখর আজাদের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

আজাদ 1928 সালের 14 ডিসেম্বর ভগত সিং, রাজগুরু এবং শুকদেবর সাথে পুলিশ সুপারিনটেন্ডেট মিস্টার স্কটকে হত্যা করতে গিয়ে ভুল করে ডিএসপি স্যান্ডোর্সকে হত্যা করেন। ফলে গেপ্তারি এড়াতে তাঁকে দীর্ঘ সময় আত্মগোপন করে থাকতে হয়। চন্দ্রশেখর আজাদ ছিলেন অত্যন্ত তৎপর কর্মী। সবসময়ই কোনো না কোনো অভিযানে অংশ নেওয়ার জন্য ছটফট করতেন। তাই তাঁর সহকর্মীরা তাঁকে 'কুইক সিলভার' নাম দিয়েছিলেন।

1931 সালের 27 ফেব্রুয়ারী চন্দ্রশেখর আজাদ এলাবাদের আলফ্রেড পার্কে সঙ্গী সুখদেবরাজের সঙ্গে কথা বলছিলেন সেইসময় এক বিশ্বাস ঘাতক ব্রিটিশ পুলিশকে চন্দ্রশেখরের উপস্থিতির খবর জানিয়ে দিলে পুলিশ বাহিনী তাঁকে ঘিরে ফেলে। সেখানে ব্রিটিশ পুলিশের সাথে মরনপণ যুদ্ধ চালিয়ে জান চন্দ্রশেখর আজাদ। শেষপর্যন্ত পালানো অসম্ভব বুঝতে পেরে নিজের পিস্তলের গুলিতে নিজের জীবন বিসর্জন দেন।

 

চন্দ্রশেখর আজাদ  দ্বিতীয় পর্ব (অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর) >>>>

ভগৎ সিং >>>>

ধন্যবাদ

ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। 

 

প্রতি সপ্তাহের মকটেস্টের জন্য নীচে দেওয়া Telegram গ্রুপে জয়েন করতে পারেন

 টেলিগ্রাম গ্রুপ  যোগদান করার জন্য - Click Here

পরিবেশের বিভিন্ন টপিকগুলি সম্পর্কে জানতে Click Here

ইউরোপের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে  - Click Here

প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে - Click Here

মধ্য যুগের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here

আধুনিক ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here

 ভারতের ইতিহাসের পিডিএফ ডিটেইলস পেতে Click Here

 

চন্দ্রশেখর আজাদ। রামপ্রসাদ বিসমিল। রাজেন্দ্রনাথ লাহিড়ী। আশফাক উল্লা খাঁ। হিন্দুস্তান রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশান। কাকোরি ষড়যন্ত্র মামলা। কুইক সিলভার।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad