Type Here to Get Search Results !

বিনয় বসু, বাদল গুপ্ত, দীনেশ গুপ্ত ও বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্স প্রথম পর্ব [Benoy Badal Dinesh ]

 

বিনয় বসু, বাদল গুপ্ত, দীনেশ গুপ্ত ও বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্স

Set by- Manas Adhikary


 

বিনয় বসু, বাদল গুপ্ত, দীনেশ গুপ্ত ও বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্স প্রথম  পর্ব। Benoy Badal Dinesh– I.

বিনয় বসু। বাদল গুপ্ত। দীনেশ গুপ্ত। বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্স। বি-বা-দী বাগ VERANDA BATTLE।  অলিন্দ যুদ্ধ। রাইটার্সের অলিন্দ যুদ্ধ। ডগলাস হত্যা। বীনা দাস। কল্যানী দাস।

নমস্কার, অভিনব  একাডেমিতে আপনাদেরকে স্বাগত জানাই, আজকে আপনাদের জন্য আলোচনা   করা  হলো বিনয় বসু, বাদল গুপ্ত, দীনেশ গুপ্ত ও বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্স এই পর্বে থাকছে  বিনয় বসু, বাদল গুপ্ত, দীনেশ গুপ্ত ও বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্স সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা. পরবর্তী পর্বে এই টপিক থেকে কিছু অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করা হবে।  পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতবর্ষের সমস্ত সরকারি চাকরীর পরীক্ষাতে বা প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য (All Competitive exam: UPSC,WBPSC, WBCS, SLST, WBP SI, WBP  Constable, SSC, PSC, School Service, Railway exam etc) এই টপিকটি খুবই  গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।এছাড়াও আমাদের এই ব্লগে আপনি পেয়ে যাবে Indian History (Ancient, Medieval, Modern), Europe History, Geography, Gk, Bio-logy, Polity, child psychology, Environment Science, Pedagogy ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় গুলি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর। 

বিনয় বসু, বাদল গুপ্ত, দীনেশ গুপ্ত ও বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্স  সংক্ষিপ্ত আলোচনা অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর। About Benoy Badal Dinesh.  

 

 

কলকাতা শহরের লালদিঘী সংলগ্ন যে এলাকাটি 'অফিসপাড়া' নামে পরিচিত, অনেকে সেটিকে 'কলকাতার হৃদয় বলেও অভিহিত করেন। কারন এখানেই রয়েছে রাইটার্স বিল্ডিং, রিজার্ভ ব্যাংক, জিপিওসহ রয়্যাল এক্সচেঞ্জ, টেলিফোন ভবন এবং একাধিক গুরুত্বপূর্ন অফিস ও ব্যাংক। ব্রিটিশ আমলে কাগজে-কলমে কলকাতার এই এলাকটির নাম ছিল 'ডালহৌসী স্কোয়ার'। কিন্তু ভারত স্বাধীন হওয়ার পর লালদিঘিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এই এলাকাটির নতুন নাম হয় বি-বা-দী বাগ। না, কোনো ঐতিহাসিক বিবাদ থেকে এলাকাটির নাম বিবাদী বাগ হয়নি। তবে এর নামকরনের সাথে জড়িয়ে আছে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে ঘটে যাওয়া এক গুরুত্বপূর্ন ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র যুদ্ধ। আর সেই যুদ্ধের তিন বীর সেনা বিনয়, বাদল, দীনেশের নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে গঠিত নামটি দেওয়া হয়েছে ডালহৌসী স্কোয়ারের বর্তমান নামস্বরূপ। মজার ব্যাপার এই যে, এই তিনজনেরই জন্ম হয়েছিল অধুনা বাংলাদেশে।

বিনয়

বিনয় জন্মেছিল1908 সালের 11 সেপ্টেম্বর মুন্সিগঞ্জ জেলার রোহিতভোগ গ্রামে। তাঁর পিতা রেবতীমোহন বসু ছিলেন একজন প্রকৌশলী (ইঞ্জিনীয়ার)। বিনয় ছোটবেলা থেকেই একজন ভালো চিকিৎসক হতে চেয়েছিলেন। তাই ম্যাট্রিকুলেশান পরীক্ষায় পাস করার পর তিনি ভর্তি হন মিটফোর্ড মেডিকেল স্কুলে, যেটি বর্তমানে স্যার সালিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ। এ সময়ই তিনি ঢাকার বিখ্যাত বিপ্লবী হেমচন্দ্র ঘোষের  সান্নিধ্য লাভ করেন। এরপর তিনি যুগান্তর দলের অপর শাখা মুক্তিসংঘে যোগদান করেন। পরে তিনি যোগ দেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর গড়ে তোলা বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্স দলে। তিনি বৈপ্লবিক কর্মকান্ডে যোগ দেওয়ার ফলে চিকিৎসাশাস্ত্রের অধ্যায়ন শেষ করতে পারেননি।

পুলিশের অত্যাচার-নির্যাতনে বাংলার সাধারন মানুষ তখন অতিষ্ঠ। তাই বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্স পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য অভিযান ছিল বাংলার ইনস্পেক্টর  জেনারেল অব পুলিশ এফ জে লেম্যান এবং ঢাকার সুপারিন্টেডেন্ট অফ পুলিশ ই হাডসনকে আক্রমন। 1930 সালের 29 আগষ্ট তদানীন্তন গভর্নর হিউ স্টিফেনসনের স্ত্রীর আসার কথা ছিল মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শনে। সেই উপলক্ষ্যে হাসপাতাল তদারকির কাজে সকালবেলা উপস্থিত হন লেম্যান ও হাডসন। তাদেরকে মারার লক্ষ্যে বিনয় বসুর নেতৃত্বাধীন বিপ্লবীরা আগে থেকেই রোগী সেজে অবস্থান করছিলেন হাসপাতালে। হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাদের দিকে অব্যর্থ নিশানায় গুলি ছোঁড়েন বিনয়। কলকাতা থেকে বিমানযোগে চিকিৎসক দল এসেও লেম্যানকে বাঁচাতে পারেননি। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হন হাডসনও।

এই ঘটনার পর বিনয়কে ধরার জন্য পুলিশ ঢাকায় অত্যাচার শুরু করে। বিনয়কে ধরতে না পারলেও তারা  বিনয়ের ঠিকুজী কুষ্টি জোগাড় করে ফেলছিল। সারা বাংলায় বিনয়ের নামে পোষ্টার ও তাঁকে ধরিয়ে দিতে পারলে মোটা অঙ্কের টাকা পুরস্কার ঘোষনা করে ব্রিটিশ সরকার। এই সময় বিনয় ব্রিটিশ পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে কলকাতায় চলে আসেন।

বাদল

1912 সালে ঢাকার বিক্রমপুর অঞ্চলের পূর্ব শিমুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহন করে বাদল। তাঁর প্রকৃত নাম সুধীর গুপ্ত। ছেলেবেলায় বিক্রমপুরে বানারিপাড়া স্কুলে পড়াশোনা করার সময় তিনি শিক্ষক নিকুঞ্জ সেনের মাধ্যমে দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হন। পরবর্তীকালে তিনি বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্স দলে যোগদান করেন।

দীনেশ

1911 সালে 6 ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জ জেলার যশোlলঙ গ্রামে দীনেশ জন্মগ্রহন করে। তাঁর বাবা ছিলেন সতীশচন্দ্র গুপ্ত  এবং মাতা ছিলেন বিনোদিনী দেবী। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন নির্ভীক, বেপরোয়া এবং বাগ্মী। ঢাকা কলেজে পড়াশুনা করার সময় তিনি বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্স দলে যোগদান করেন।

            দিনে দিনে ইংরেজদের অন্যায়-অত্যাচার বেড়েই চলেছিল। ব্রিটিশ পুলিশরা শত শত রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও বিপ্লবীদের গ্রেফতার করে জেলে আটকে রাখতে থাকে, এবং তাদের উপর চালাত নির্মম অত্যাচার। সুভাষচন্দ্র বসু,, যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত এবং সত্য বক্সীর মতো নেতাদেরও গ্রেপ্তার করে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে আটকে রাখা হয়। এভাবে ক্রমশই সেখানকার নির্দিষ্ট ওয়ার্ডগুলো রাজনৈতিক বন্দিদের ভিড়ে উপচে পড়ছিল। ফলে সৃষ্টি হয় এক চরম অসহনীয় অবস্থা। বিক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করে রাজবন্দিদের মাঝে। তাই তারা জেলকোড মেনেই কয়েকটি দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। রাজবন্দিদের এই আন্দোলন দমন করতে ব্রিটিশ সরকার রাজবন্দিদের উপর বেদম লাঠিচার্জ করতে থাকে। সুভাষচন্দ্র বসু যতীন্দ্রমোহন এবং সত্য বক্সীরাও রেহাই পাননি এই নির্যাতনের হাত থেকে। জেলে রাজবন্দীদের উপর অত্যাচারের খবরটি দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ল। জানা গেল এই অত্যাচারের নেপথ্যের খলনায়ক ইন্সপেক্টর জেনারেল কার্নেল এন এস সিম্পসন। তাই জেলের বাইরে থাকা বিপ্লবীদের পরবর্তী লক্ষ্যে পরিনত হয় কর্নেল সিম্পসন। এই কর্নেল সিম্পসন বসতেন রাইটার্স বিল্ডিংয়ে। কিন্তু এই মহাকরনে ঢোকা মানে নিজের মৃত্যু ডেকে আনা। তাই বিপ্লবী নেতারা কাকে পাঠানো যায় এই নিয়ে ভাবতে লাগলেন। অনেক ভাবনার পর তাঁরা ঠিক করলেন জন্মসুত্র ধরে কিশোর বয়স থেকেই পরস্পরের পরিচট বিনয়, বাদল, দীনেশকে। তাঁরা এটাও ঠিক করলেন যে এই অভিযানের নেতৃত্ব দেবেন বিনয়। 1930 সালের 8 ডিসেম্বর বেলা বারোটা। মহাকরন তথা রাইটার্স বিল্ডিংয়ের নিজের কামরায় বসে কাজ করছিলেন কার্নেল সিম্পসন আর কামরার ভিতর দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী জ্ঞানগুহ। কামরার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা জ্ঞানগুহকে ঠেলে হুড়মুড় করে ভিতরে ঢুকলেন বিলাতি পোশাক পরিহিত তিন বাঙালী যুবক। মুখ তুলে চাইলেন কর্নেল এবং যা দেখলেন তাঁর জন্য তিনি মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না। তিনি দেখলেন তিন বাঙালি যুবক তাঁর দিকে রিভলবার তাক করে দাঁড়িয়ে আছেন। তাদের মধ্যে একজন (বিনয়) ইংরাজীতে বললেন, 'Pray to God colonel. Your last hour has come’, কথাগুলির মমার্থ বোঝার আগেই তিনটি রিভলবার থেকে ছুটে আসা ছয়টি গুলি তাঁর শরীর ভেদ করে বের হয়ে গেল। বিস্ফারিত চোখে নিথর দেহ নিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন কর্নেল সিম্পসন।

পূরন হয়ে গেছে বিনয় বাদল দীনেশের প্রাথমিক লক্ষ্য। এবার তাদের প্রান নিয়ে পালাতে হবে। ততক্ষনে তাদেরই রিভলবারের শব্দে মুহুর্তের মধ্যে ছুটে এল পুলিশবাহিনী। রাইটার্স বিল্ডিংয়ের অলিন্দে তিন বাঙালি বিপ্লবী একদিকে আর অন্যদিকে চালর্স টেগার্ড ও ডেপুটি কমিশনার গার্ডনের নেতৃত্বে থাকা বিশাল পুলিশবাহিনী। এই গুলি যুদ্ধের একসময়ে আহত হন জুডিসিয়াল সেক্রেটারি নেলসন। ঠিক এইসময় আগমন ঘটল গুর্খা বাহিনীর। দীনেশের পিঠে গুলি লাগল। এই সময় এই তিন অসম সাহসী ঢুকে পড়লেন একটি শুন্য কামরায়। পালানো সম্ভব নয় বুঝতে পেরে বাদল নিজের কাছে রাখা পটাশিয়াম  সায়ানাইড গলধঃকরন করলে তিনি সাথে সাথেই মৃত্যুবরন করেন। আর বিনয় ও দীনেশ তারা নিজেদের মাথা লক্ষ্য করে চালিয়ে দিলেন শেষ দুটি বুলেট। গুরুতর আহতাবস্থায় পুলিশবাহিনী তাদেরকে চরমদ্রুতার সাথে পাঠিয়ে দেয় মেডিক্যাল কলেজে। ইতিহাসের পাতায় এই যুদ্ধ অলিন্দ যুদ্ধ নামে  পরিচিত। তাছাড়া স্টেটসম্যান পত্রিকা এই যুদ্ধের নাম দিয়েছিল "VERANDA BATTLE". চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হলে বিনয় মাথায় ক্ষতস্থানে আঙুল চালাতে চালাতে সেপটিক করে দেন। ফলে 1930 সালের 13 ডিসেম্বর তিনি আলিঙ্গন করে নেন মৃত্যুকে। দীনেশ সুস্থ হয়ে গেলে বিচারে তাঁকে ফাঁসী আদেশ দেওয়া হয়। 1931 সালের 7 জুলাই তাঁর ফাঁসীর আদেশ কার্যকর করা হয়। মৃত্যুর আগে জেলেবন্দী অবস্থায় তিনি সুভাষচন্দ্র বসুর সাক্ষাত পেয়েছিলেন।

বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্স

বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্সের জন্ম ইতিহাস কিছুটা বিচিত্র। 1928 সালের কলকাতায় কংগ্রেসের এক সভায় এসেছিলেন মতিলাল নেহেরু। তাকে আমেরিকা কায়দায় অভিনন্দন জানাবার জন্য, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের অনুপ্রেরনায় সুভাষচন্দ্র বসু গঠন করেন বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্স বা বি ভি দল। এর জিওসি ছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু নিজেই এবং সংগঠনের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মেজর সত্য গুপ্তের কাঁধে।

আদতে বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্সের উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে একটি গুপ্ত বিপ্লবী গোষ্ঠীতে পরিনত হওয়া। তাই কংগ্রেসের সভা শেষ হবার পর বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্সকে আরো সংগঠিত করে তোলার কাজে তোড়জোড় শুরু হয়। সত্য গুপ্ত সারা বাংলা ঘুরে ঘুরে তেজোস্ক্রিয় ও উদ্যমী, দেশপ্রেমী তরুনদের একত্রিত করতে থাকেন এবং সেই সুত্র ধরেই এই সংগঠনের সাথে যুক্ত হন বিনয়, বাদল, দীনেশরা।

 

 

 

বিনয় বসু, বাদল গুপ্ত, দীনেশ গুপ্ত ও বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্স দ্বিতীয় পর্ব (অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর )>>>> 

বাঘা যতীন>>>>

 

ধন্যবাদ

ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। 

 

প্রতি সপ্তাহের মকটেস্টের জন্য নীচে দেওয়া Telegram গ্রুপে জয়েন করতে পারেন

 টেলিগ্রাম গ্রুপ  যোগদান করার জন্য - Click Here

পরিবেশের বিভিন্ন টপিকগুলি সম্পর্কে জানতে Click Here

ইউরোপের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে  - Click Here

প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে - Click Here

মধ্য যুগের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here

আধুনিক ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here

 ভারতের ইতিহাসের পিডিএফ ডিটেইলস পেতে Click Here

 

 

বিনয় বসু। বাদল গুপ্ত। দীনেশ গুপ্ত। বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্স। VERANDA BATTLE।  অলিন্দ যুদ্ধ। রাইটার্সের অলিন্দ যুদ্ধ। ডগলাস হত্যা। বীনা দাস। কল্যানী দাস।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad