Type Here to Get Search Results !

শিবাজির উত্তরাধিকারীগণ [Sivaji]

 শিবাজির উত্তরাধিকারীগণ

set by - Manas Adhikary

শিবাজী পঞ্চম পর্ব| Shibaji Part-V

শম্ভুজী। সম্ভাজি। শম্ভাজী। যুবরাজ আকবর। রাজারাম। দ্বিতীয় শিবাজি। তারাবাঈ। বালাজী বিশ্বনাথ। শাহুজী। দ্বিতীয় শম্ভাজী। রাজারাম দ্বিতীয়। রামরাজা। 

নমস্কার, অভিনব  একাডেমিতে আপনাদেরকে স্বাগত জানাই।  আজকে আপনাদের জন্য আলোচনা করা হলোআপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি শিবাজির উত্তরাধিকারীগণ সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা।  পরবর্তী পর্বে  কিছু অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে  করব. পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতবর্ষের সমস্ত সরকারি চাকরীর পরীক্ষাতে বা প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য (All Competitive exam: UPSC,WBPSC, WBCS, SLST, WBP SI, WBP Constable, SSC, PSC, School Service, Railway exam etc) এই টপিকটি খুবই  গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়

এছাড়াও আমাদের এই ব্লগে আপনি পেয়ে যাবে Indian History (Ancient, Medieval, Modern), Europe History, Geography, Gk, Bio-logy, Polity, child psychology, Environment Science, Pedagogy ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় গুলি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর


শিবাজির উত্তরাধিকারীগণ সংক্ষিপ্তরূপ ।  About Shibaji.

 

 

শম্ভুজী/সম্ভাজি

শিবাজীর মৃত্যুর পর, সোয়রাবাই প্রশাসনের বিভিন্ন মন্ত্রীদের সাথে তার সৎপুত্র সম্ভাজির পরিবর্তে তার পুত্র রাজারামকে মুকুট দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন । 1680 সালের 21 এপ্রিল দশ বছর বয়সী রাজারামকে সিংহাসনে বসানো হয়। যাইহোক, সেনাপতিকে হত্যা করার পর সম্ভাজি রায়গড় দুর্গের দখল নেন এবং 18 জুন রায়গড়ের নিয়ন্ত্রণ অধিগ্রহণ করেন এবং 20 জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে সিংহাসনে আরোহণ করেন। রাজারাম, তার স্ত্রী জানকি বাই এবং মা সোয়রাবাইকে কারারুদ্ধ করা হয় এবং সেই অক্টোবরে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সোয়রাবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। শম্ভুজী/সম্ভাজি ছিলেন শিবাজীর অযোগ্য, আরামপ্রিয়, এবং দুশ্চরিত্র পুত্র। তিনি সিংহাসনে আরোহন করে মারাঠা জাতিকে কিভাবে ঐক্যবদ্ধ করে তোলা যায়, তা নিয়ে কোনরূপ ভাবনা চিন্তা করেননি। উপরন্তু মুঘলদের শক্তি সম্পর্কে তার কোনো ধারনাই ছিল না৷ মুঘলরা যখন বিজাপুর ও গোলকুন্ডা অভিযানে ব্যস্ত ছিলেন তখন তিনি অনায়াসেই মুঘলদেরকে আক্রমন করতে পারতেন। কিন্তু তিনি সেইসময় তা না করে পর্তুগীজ ও জিঞ্জিরারের সিসদিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে মুল্যবান সময় নষ্ট করেন। তার আমলে ঔরঙ্গজেবের বিদ্রোহী পুত্র যুবরাজ আকবর তার পিতার বিরুদ্ধে (ঔরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে) বিদ্রোহ ঘোষনা করে অভিযানে চালনা করার প্রয়াস করেন। এই সময় যুবরাজ আকবরকে প্রায় ৬ বছর শম্ভুজীর দরবারে অবস্থান করেন৷ ঔরঙ্গজেবের ভয়ে শম্ভুজী তাঁকে এই অভিযানে সাহায্য করতে রাজি না হওয়ায় অবশেষে হতাশ হয়ে যুবরাজ আকবর পারস্যে পালিয়ে যান। যুবরাজ আকবরকে আশ্রয় দেওয়ার অপরাধে ঔরঙ্গজেব বিজাপুর ও গোলকুন্ডা দখল করার পর শম্ভুজিকে আক্রমন করেন। শম্ভুজী পরাজিত হয়ে মোঘলদের হাতে বন্দী হন। তার শিশুপুত্রও মোঘলদের হাতে বন্দী হয়৷ ঔরঙ্গজেব এই সময় মারাঠদের বিখ্যাত রায়গড় দূর্গসহ বহু দূর্গ অধিকার করে নেন। শিবাজীর দ্বিতীয় পুত্র রাজারাম কোনক্রমে কর্নাটক পালিয়ে গিয়ে জিঞ্জিতে আশ্রয় নেন৷

রাজারাম-

মুঘলরা শম্ভুজিকে শোচনীয় ও মর্মান্তিকভাবে হত্যা করলে মুঘলদের সাথে মারাঠাদের সন্ধির সম্ভাবনা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। শম্ভাজির মৃত্যুর পর ঠিক করা হয় যে এরপর শম্ভাজির শিশুপুত্র মারাঠা রাজ্যের রাজা বলে বিবেচিত হবেন। কিন্তু নাবালক হওয়ার দরুন তার জায়গায় শম্ভুাজির ভাই রাজারাম শাসনকার্য এবং যুদ্ধবিগ্রহ দেখাশোনা করবেন।  কর্নাটকের জিঞ্জিতে অবস্থানকালীন তিনি মারাঠা শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে শুরু করেছিলেন। অল্প সময়ের মধ্যে তাঁর নেতৃত্বে মারাঠা শক্তি পুনরুজ্জীবিত হয়ে উঠে মোঘলদের আক্রমন করতে শুরু করে৷ মারাঠারা রাজারামের নেতৃত্বে ঔরঙ্গজেবকে আক্রমন করেন এবং মুঘলদের মধ্যে মারাঠা সম্পর্কে ভীতি তৈরী করেন। ঔরঙ্গজেব তাদের আক্রমনে ব্যতিব্যস্ত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে তার বিখ্যাত সেনাপতি জুলফিকার খানের নেতৃত্বে সেনাবাহীনি প্রেরন  করেন। মুঘলবাহীনি 1691 খ্রীষ্টাব্দে জিঞ্জি অবরোধ করলে মারাঠারা মূগলবাহিনকে প্রচন্ডভাবে বাধা প্রদান করে৷ অবশেষে 1698   সালে মারাঠা বাহিনী পর্যদস্তু হয়ে পড়লে মোঘলরা জিঞ্জি দূর্গ অধিকার করতে সমর্থ হন। শম্ভাজির বিধবা পত্নী ও নবছরের শিশুপুত্রকে মুঘলরা বন্দী করে নিয়ে যায়। যুদ্ধে রাজারামের ক্ষতি হয় বিস্তর। রাজারাম যুদ্ধক্ষেত্রেই বিমর্ষ হয়ে পড়েন৷  রাজারাম পালিয়ে গিয়ে সাতারায় আশ্রয় গ্রহন করে এবং পুনরায় এখানেই তিনি নতুন করে মারাঠা বাহিনী গঠন করেন। এখানে তিনি শক্তি সঞ্চয় করে খান্দেশ, বেরার, ও বলগান প্রভৃতি মুঘল রাজ্য থেকে চৌথ ও সরদেশমুখী আদায় করতে থাকেন। 1699 সালে ঔরঙ্গজেব স্বয়ং মারাঠাদের বিরুদ্ধ সেনাবাহিনী পরিচালনা করে সাতারার কয়েকটি মারাঠা দূর্গ অধিকার করে নেন৷  ১৭০০ সালে বেরার অভিযানের সময় যুদ্ধক্ষেত্রে রাজারাম অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মারা যান। রাজারামের মৃত্যুর পর তাঁর এক পুত্রকে রাজা বলে ঘোষনা করা হয়। কিন্তু তিন সপ্তাহ রাজত্বের পর তিনি বসন্তরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

 

দ্বিতীয় শিবাজি

রাজারামের পুত্রের মৃত্যুর পর মারাঠা রাজনীতিতে উত্থান ঘটে এক বুদ্ধিমতী মহিলার যার নাম ছিল তারাবাঈ। এই তারাবাঈ ছিলেন রাজারামের প্রধান স্ত্রী। রাজারাম ও তারাবাঈ নবছরের শিশুসন্তান দ্বিতীয় শিবাজীকে সিংহাসনে বসিয়ে মারাঠা সাম্রাজ্যের দায়িত্বভার নিজ হাতে তুলে নেন তারাবাঈ। মারাঠা আক্রমনকে বিভাজিত করার জন্য মুঘলরা শভাজীর পুত্র সাহুজীকে বিশেষ কিছু শর্তে মুক্তি দেয়। মুক্তি পেয়েই শাহুজী মারাঠা শাসনের নেতৃত্ব নিজ হাতে নেওয়ার জন্য তারাবাঈ ও দ্বিতীয় শিবাজীকে সংগ্রামে আহ্বান করেন৷ এই সংগ্রামে শাহুজীকে বিশেষভাবে সাহায্য করে পেশোয়া বালাজী বিশ্বনাথ। বালাজী বিশ্বনাথের কুটনীতির উপর নির্ভর করে শাহুজী জয়লাভ করেন এবং তারাবাঈ ও তার পুত্রকে বিতাড়িত করেন। তারাবাঈ ১৭০৯ সালে কোলহাপুরে একটি বিরুদ্ধ দরবারের প্রতিষ্ঠা করেন কিন্তু রাজারামের অন্য বিধবা পত্নী তাকে পরাজিত করেন এবং নিজের পুত্র দ্বিতীয় শম্ভাজীকে সিংহাসনে বসান। দ্বিতীয় শান্তাজী তারাবাঈ এবং পুত্রকে কারারুদ্ধ করেন। দ্বিতীয় শিবাজী ১৭২৬ সালে মারা যান৷৷ তারাবাঈ ১৭৩০ সালে ছত্রপতি শাহুজীর সাথে মিটমাট করে নেন এবং কোনো রাজনৈতিক শক্তি ছাড়াই সাতরায় বসবাস করতে থাকেন। শাহুজী অপুত্রক ছিলেন। তিনি তারাবাঈ এর পরামর্শে ( তিনি শাহুজীকে বলেছিলেন এই পুত্রসন্তানটি শিবাজীর প্রত্যক্ষ বংশধর) একটি পুত্র সন্তানকে দত্তক নেন এবং তার নাম দেন রাজারাম দ্বিতীয়। তারাবাঈ এর স্বামীর নাম ছিল রাজারাম। স্বামীর নাম নিজ মুখে আনতে নেই বলে তারাবাঈ তাকে রামরাজা বলে ডাকতেন৷ ১৭৪৯ সালে শাহুজীর মৃত্যুর পর মারাঠাদের সিংহাসনে বসেন দ্বিতীয় রাজারাম। এইসময় তারাবাঈ দ্বিতীয় রাজারামকে নির্দেশ দেন পেশোয়া বালাজী বিশ্বনাথকে পেশোয়ার পদ থেকে অপসারন করতে৷ কিন্তু দ্বিতীয় রাজারাম তার নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করলে তারাবাঈ তাকে সাতারার একটি অন্ধকুপ কারাগারে বন্দী করে রাখেন। এইসময় তিনি দাবি করেন যে, রাজারাম গোন্ধালি জাতির একজন ভক্ত, এবং তিনি মিথ্যা বলে তাকে শাহুজির কাছে তার পৌত্র হিসাবে উপস্থাপন করেছিলেন। পরবর্তীতে পেশোয়া বালাজী বিশ্বনাথ মুঘল সীমান্ত থেকে ফিরে এসে সাতারার ইভাতেশ্বর গ্যারিসন আক্রমন করে তারাবাঈ এর বাহিনীকে পরাজিত করেন। তার সাতারা দূর্গ ঘিরে রেখে তারাবাঈকে বলেছিলেন রাজারাম দ্বিতীয়কে মুক্তি দিতে বলেছিলেন। কিন্তু তারাবাঈ তা প্রত্যাখ্যান করেন। যেহেতু সুপ্রতিষ্ঠিত এবং শক্তিশালী সাতারা দূর্গ অবরোধ করে থাকা সহজ নয়, তাই পেশোয়া পুনে ফিরে যান।
 
 
 
 


প্রতি সপ্তাহের মকটেস্টের জন্য নীচে দেওয়া Telegram গ্রুপে জয়েন করতে পারেন

 টেলিগ্রাম গ্রুপ  যোগদান করার জন্য - Click Here


ধন্যবাদ

ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। 

 

পরিবেশের বিভিন্ন টপিকগুলি সম্পর্কে জানতে Click Here

ইউরোপের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে  - Click Here

প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে - Click Here

মধ্য যুগের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here

আধুনিক ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here

 ভারতের ইতিহাসের পিডিএফ ডিটেইলস পেতে Click Here

 

শম্ভুজী। সম্ভাজি। শম্ভাজী। যুবরাজ আকবর। রাজারাম। দ্বিতীয় শিবাজি। তারাবাঈ। বালাজী বিশ্বনাথ। শাহুজী। দ্বিতীয় শম্ভাজী। রাজারাম দ্বিতীয়। রামরাজা।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad