Type Here to Get Search Results !

শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন প্রথম পর্ব [Sri Krishna Kirtton]



শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন প্রথম পর্ব

Set by – Manas Adhikary

 শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন পর্ব। Sri Krishna Kirtton 1st Part.

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস। শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন। শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন MCQ| শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন সংক্ষিপ্তরূপ। বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ| বড়ু চন্ডীদাস | Sri Krishna Kirtton| Sri Krishna Kirtton Short Question Answer|

নমস্কার, অভিনব  একাডেমিতে আপনাদেরকে স্বাগত জানাই।  আজকে আপনাদের জন্য আলোচনা করা হলো  শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন প্রথম পর্ব। এই পর্বে থাকছে শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা । পরবর্তী পর্বে এই টপিক থেকে অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে  আলোচনা করবো। পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতবর্ষের সমস্ত সরকারি চাকরীর পরীক্ষাতে বা প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য (All Competitive exam: UPSC,WBPSC, WBCS, SLST, WBP SI, WBP Constable, SSC, PSC, School Service, Railway exam etc) এই টপিকটি খুবই  গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

এছাড়াও আমাদের এই ব্লগে আপনি পেয়ে যাবে Indian History (Ancient, Medieval, Modern), Europe History, Geography, Gk, Bio-logy, Polity, child psychology, Environment Science, Pedagogy ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় গুলি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন সংক্ষিপ্তরূপ ।  About Sri Krishna Kirtton .

 

 

আদি মধ্যযুগের একমাত্র প্রামানিক নিদর্শন হল শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন

আবিস্কারঃ-

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের পুঁথি আবিষ্কার করেন বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ। ১৯০৬ খ্রীষ্টাব্দে (বাংলা ১৩১৬ সালে) তিনি বাঁকুড়া জেলার কাকিল্য গ্রামের অধিবাসী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এর গোয়াল ঘরের মাচা থেকে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের পুঁথিটি আবিস্কার করেন

প্রকাশঃ-

১৯১৬ খ্রীস্টাব্দে (বাংলায় ১৩২৩ বঙ্গাব্দে) ‘বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ' থেকে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটি মুদ্রিত আকারে প্রকাশিত হয়৷ সম্পদনা করেন বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ নিজেই। কাব্যটির মুখবন্ধ রচনা করেন রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদী

নামকরন:-

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের প্রারম্ভিক অংশের এবং সমাপ্তি অংশের কয়েকটি করে পৃষ্ঠা পাওয়া যায় নি৷ ফলে গ্রন্থটির প্রকৃত নাম জানা সম্ভব হয়নি। গ্রন্থটির বিষয়বস্তুর উপর নির্ভর করে এর নাম দিয়েছেনশ্রীকৃষ্ণকীর্তন’৷১০৮৯ বঙ্গাব্দ' লেখা একটি চিরকুট পাওয়া যায় তাতে এই কাব্যের নামশ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ’ দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন নলিনীকান্ত দাশগুপ্ত। তার এই মতের পক্ষপাতিত্ব করেছেন অসিত কুমার বন্দোপাধ্যায়। আবার বিমান বিহারী মজুমদার এই কাব্যের নাম দিয়েছেন 'রাধাকৃষ্ণের ধামালী’

রচনাকালঃ-

এই শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটি কবে রচিত হয়েছে তা নিয়ে অনেক মতবিরোধ রয়েছে। বিখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক লিপিবিশারদ রাখালদাস বন্দোপাধ্যায়ের মতে ১৩৮৫ বঙ্গাব্দের পূর্বে এটি রচিত হয়েছে৷ ডঃ নলিনীকান্ত ভট্টশীলের মতে ১৪৫০ - ১৫০০ বঙ্গাব্দের মধ্যে এই গ্রন্থটি রচিত হয়েছিল। ভাষাচর্চাবিদ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে এই কাব্যটি চৈতন্য-পূর্ববর্তী যুগের কাব্য। বড়ু চন্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের ভাব, বিষয় ভাষা প্রমান করছে যে এটি চৈতন্য পূর্ববর্তী যুগের কাব্য

বিষয়বস্তুঃ-

রাধাকৃষ্ণের গ্রাম্য প্রনয়লীলাকে অবলম্বন করে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটি রচিত হয়েছে৷ গ্রন্থখানিতে ১৩ টি খন্ডে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম থেকে শুরু করে মথুরাগমন, মথুরা থেকে ক্ষনিকের জন্য প্রত্যাবর্তন, রাধাকৃষ্ণের পুর্নমিলন এবং তারপরই কংস বধের জন্য কৃষ্ণের পুনরায় মথুরাগমন এবং রাধাবিলাপ রয়েছে।  রাধা বিলাপের পরই পুঁথি খন্ডিত

খন্ডবিভাজনঃ-

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের বর্ননীয় বিষয়কে ১৩টি খন্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাহিনীর ভূমিকা পর্বকে বলা হয় জন্ম খন্ড৷

তাম্বুল খন্ডে রাধাকে কামনা করে কৃষ্ণ বড়াই মারফত্ তাম্বুল পাঠিয়েছেন৷

দান নৌকা খন্ডে দানী মাঝি সেজে কৃষ্ণ জোর করে রাধাকে সম্ভোগ করেছেন৷

বংশীখন্ডে রাধা স্বয়ং কৃষ্ণর বাঁশী হরন করেছেন এবং তা নিয়ে কলহ বিবৃত হয়েছে৷

রাধা বিরহ খন্ডে নিরুদ্দিষ্ট কৃষ্ণের জন্য রাধার বিরহ বিলাপ বর্নিত হয়েছে৷

এর পরে পুঁথিটি খন্ডিত।

এছাড়াও বৃন্দাবন, কালীয়দমন, যমুনা হারখন্ডে রাধা-কৃষ্ণের কাহিনী বর্নিত হয়েছে

সমাজচিত্রঃ-

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে সে যুগের রীতি-নীতি, আচার-আচরন বেশ-ভূষার পরিচয় পাওয়া যায়। দেশে তখন রামচন্দ্র চন্ডীর পূজা প্রচলিত ছিল। তৎকালীন যুগে তুর্কি আক্রমনের ভয়াবহতা কৃষ্ণের লাম্পট্য চরিত্রে প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন কুসংস্কার (হাঁচি, টিকটিকির শব্দ ইত্যাদি) তৎকালীন সময়েও প্রকট ছিল। তৎকালীন যুগের অলংকার, পোশাক-পরিচ্ছদ, সোনা, হীরা, মনি, মুক্তা ইত্যাদির উল্লেখ পাওয়া যায়। তাছাড়া তখন কেনাবেচার জন্য কড়ি ব্যবহার করা হতো এবং সমাজের বর্ণভেদ প্রথার প্রচলন ছিল

লিপিঃ-

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের লিপি বিষয়ে প্রথম গবেষনা করেন লিপিবিশারদ রাখালদাস বন্দোপাধ্যায়৷ তিনি প্রচলিত বৈজ্ঞানিক রীতিতেই বিশ্লেষন করেন এবং বসন্তরঞ্জন রায় তার মত মেনে যুগ্মভাবে ১৩২২ বঙ্গাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকেশ্রীকৃষ্ণের লিপিকলা' নামক একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেন৷ তাতে বলা হয় যে পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষেরদিকে বা তার কাছাকাছি সময়ে এটি লিখিত হয়েছিল

খন্ডের পদসংখ্যা কালঃ-

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটির সূচনা হয় বসন্ত ঋতুর বর্ণনা দিয়ে এবং শেষ হয় শরৎ ঋতুর বর্ণনাতে

জন্মখন্ড - মোট পদসংখ্যা ৯টি

তাম্বুলখন্ড - মোট পদ ২৬টি। এটি বসন্তকালীন৷

দানখন্ড - পদসংখ্যা ১১২ টি। এটি গ্রীষ্মকালীন

নৌকাখন্ড - পদসংখ্যা ৩০টি। এটি বর্ষাকালীন

ভারখন্ড - পদসংখ্যা ৩৭ টি। এটি শরৎকালীন

ছত্রখন্ড - পদসংখ্যা ৯টি

কালীয়দমন খন্ড- পদসংখ্যা ১০টি

বস্ত্রহরন খন্ড- পদসংখ্যা ২২টি

হারখন্ড - পদসংখ্যা ৫টি

বৃন্দাবন খন্ড - পদসংখ্যা ৩০ টি। এটি বসন্তকালীন

যমুনাখন্ড - পদসংখ্যা ৩৭ টি

বাণখন্ড  - - পদসংখ্যা ৩৭ টি। এটি বসন্তকালীন

বংশীখন্ড - পদসংখ্যা ৪১ টি। এটি বসন্তকালীন

রাধাবিরহ - পদসংখ্যা ৬৯ টি

 

শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন দ্বিতীয় পর্ব(MCQ)>>>>

চর্যাপদ>>>>>



ধন্যবাদ

ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। 

 

পরিবেশের বিভিন্ন টপিকগুলি সম্পর্কে জানতে Click Here

প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে - Click Here

মধ্য যুগের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here

আধুনিক ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here

 

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস। শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন। শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন MCQ| শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন সংক্ষিপ্তরূপ। বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ| বড়ু চন্ডীদাস | Sri Krishna Kirtton| Sri Krishna Kirtton Short Question Answer|

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad