Type Here to Get Search Results !

গৌতম বুদ্ধের সংক্ষিপ্ত জীবনী ও বৌদ্ধ ধর্ম।Goutam Buddha And Dharma.


 

গৌতম বুদ্ধ বৌদ্ধধর্ম

set by- Manas Adhikary

 

গৌতম বুদ্ধের সংক্ষিপ্ত জীবনী ও বৌদ্ধ ধর্ম।Goutam Buddha And  Bouddha Dharma.

গৌতম বুদ্ধের সংক্ষিপ্ত জীবনী| বৌদ্ধ ধর্ম| Goutam Buddha| About Goutam Budha| Bouddha Dharma| Biography of Goutam Buddha.

নমস্কার, অভিনব  একাডেমিতে আপনাদেরকে স্বাগত জানাই।  আজকে আপনাদের জন্য আলোচনা করা হলো গৌতম বুদ্ধের সংক্ষিপ্ত জীবনী ও বৌদ্ধ ধর্ম। পরবর্তী পোস্টে আমি এই টপিক থেকে  অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে  আলোচনা করবো। পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতবর্ষের সমস্ত সরকারি চাকরীর পরীক্ষাতে বা প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য (All Competitive exam: UPSC,WBPSC, WBCS, SLST, WBP SI, WBP Constable, SSC, PSC, School Service, Railway exam etc) এই টপিকটি খুবই  গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

এছাড়াও আমাদের এই ব্লগে আপনি পেয়ে যাবে Indian History (Ancient, Medieval, Modern), Europe History, Geography, Gk, Bio-logy, Polity, child psychology, Environment Science, Pedagogy ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় গুলি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

গৌতম বুদ্ধের  জীবনী ও বৌদ্ধ ধর্ম। Life of Goutam Buddha and Bouddha Dharma.

প্রতি সপ্তাহের মকটেস্টের জন্য নীচে দেওয়া Telegram গ্রুপে জয়েন করতে পারেন

 টেলিগ্রাম গ্রুপ যোগদান করার জন্য - Click Here

 

 

নেপালের দক্ষিনাংশে এবং প্রাচীন ভারতবর্ষের যোধপুর রাজ্য নিয়ে একটি রাজপুত রাজ্য ছিল। এই রাজ্যের রাজধানী ছিল কপিলাবস্তু। এই রাজ্যের শাক্য রাজা শুদ্ধোধন রানী মায়াদেবীর পুত্র ছিলেন গৌতম বুদ্ধ৷ খ্রিস্ট-পূর্ব ৫৬৭-৫৬৩ অব্দের দিকে গৌতম বুদ্ধের জন্ম হয়৷ বৌদ্ধধর্ম গ্রন্থ সুতা নিপোতায় বলা হয়েছে - শাক্যদের একটি গ্রাম লুম্বিনী জনপদে গৌতম বুদ্ধের জন্ম হয়। বৌদ্ধ পুরান অনুযায়ী গৌতম বুদ্ধের মা মায়াদেবী শাক্য রাজধানী কপিলাবস্তু থেকে তার পৈতৃক বাসগৃহে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে লুম্বিনী গ্রামের একটি উদ্যানের ভিতর একটি শালগাছের নীচে তাঁর জন্ম হয়৷ লুম্বিনীতে পরে মায়াদেবীর মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়৷ এই মন্দিরের একটি স্থানকে গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি অনুরক্ত হয়ে সম্রাট অশোক ২৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের দিকে এই তীর্থভূমি পরিদর্শনে আসেন৷ তিনি এই গ্রামের প্রজাদের রাজস্ব এক- অষ্টমাংশ হ্রাস করেছিলেন। তিনি তাঁর আগমনের স্মারক হিসাবে এখানে একটি অশোক স্তম্ভ স্থাপন করেছিলেন

দীর্ঘ সাধনার পর পুত্র সন্তান জন্মগ্রহন করেছিল বলে রাজা শুদ্ধোধন পুত্রের জন্মের পঞ্চম দিনে নামকরনের জন্য আটজন ব্রাহ্মনকে আমন্তরন জানালে তারা শিশুর নাম রাখেন সিদ্ধার্থ, অর্থাৎ যে, সিদ্ধিলাভ করেছেন৷ এই সময় পর্বতদেশ থেকে আগত অসিত নামে একজন সাধু শিশুকে দেখে ভবিষ্যদ্বানী করেন যে এই শিশু পরবর্তীকালে একজন রাজচক্রবর্তী অথবা একজন সিদ্ধ সাধক হবেন৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সর্বকনিষ্ঠ ব্রাহ্মন কৌন্ডিন্য স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন যে, এই শিশু পরবর্তকালে বুদ্ধত্ব লাভ করবে। জন্মের কিছুকাল পরেই সিদ্ধার্থ মাতৃহারা হন৷ ফলে তিনি লালিতপালিত হন বিমাতা গৌতমীর কাছে। মনে করা হয় যে এজন্য তাঁর নাম হয় গৌতম৷ এছাড়া তিনি শাক্যবংশে জন্মেছিলেন বলে তার নাম হয় শাক্যসিংহ। তিনি শৈশব থেকেই ছিলেন সংসারে বিবাগী এবং অধিকাংশ সময় ঈশ্বরের চিন্তা করে সময় কাটাতেন৷ রাজা শুদ্ধোধন পুত্রকে সংসারী করার জন্য প্রতিবেশী কোলিয় রাজপরিবারের পরমা সুন্দরী ষোড়শি কন্যা যশোধরার (মতান্তরে গোপা) সাথে তাঁর বিবাহ দেন৷ ২৯ বছর বয়সে তাঁর এক পুত্র সন্তান জন্মগ্রহন করে যার নাম রাখেন রাহুল

এইসময় একদিন তিনি নগর পরিক্রমনে বের হলে রাজপথে ব্যাধিগ্রস্ত বৃদ্ধ এবং এক মৃতদেহ দেখে খুবই বিচলিত হয়ে পড়েন৷ সাথে থাকা সারথি ছন্নকে এঁদের প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলে ছন্ন তাঁকে বুঝিয়ে বলেন যে, সকল মানুষের নিয়তি যে তারা একসময় বৃদ্ধ, অসুস্থ হয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হবে। আর তখন থেকেই তিনি মানবজীবনের শোক, দুঃখ, জরা, ব্যাধি এবং মৃত্যুর হাত থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যায়, সে বিষয়ে ভাবতে শুরু করেন৷ এই ভাবনা থেকেই ৫৩৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে (মতান্তরে ৫৩৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে) ঘুমন্ত স্ত্রী এবং সাতদিনের পুত্রকে রেখে প্রিয় অশ্ব কন্থক সারথি ছন্নকে সাথে নিয়ে রাজপ্রাসাদ ছেড়ে রাতের অন্ধকারে গৃহত্যাগ করেন। প্রাসাদ থেকে বেরিয়ে বনের শেষ প্রান্তে পৌঁছে রাজবস্ত্র ত্যাগ করে তলোয়ার দিয়ে লম্বা চুল কেটে মুন্ডিতমস্তক হন৷ এরপর কুন্থক ক্রন্দিত ছন্নকে বিদায় জানিয়ে বেরিয়ে দিব্যজ্ঞানের সন্ধানে ইহা মহানিষ্ক্রমন নামে পরিচিত

গৃহত্যাগের পর প্রথম বৈশালী নগরে (বৃজি মহাজনপদের রাজধানী) যান এবং সেখানে আরাল কালাম নামক এক পন্ডিতের কাছে হিন্দু  দর্শন সম্পর্কে সম্যক জ্ঞানলাভ করেন। কিন্তু এই জ্ঞানে তিনি পরিতৃপ্ত না হতে পেরে তিনি উদ্দক রামপুত্তের কাছে শিক্ষাগ্রহনের জন্য আসেন৷ এই গুরুর কাছে তিনি সংখ্যা এবং যোগবিদ্যা শেখেন৷ এই নতুন প্রাপ্ত জ্ঞানও তাঁকে সন্তুষ্ট করতে পারে নি। এরপর তিনি মগধের রাজধানী রাজগিরে আসেন। এখানে মগধের রাজা বিম্বিসার তাঁর সাথে দেখা করে রাজপ্রাসাদে আসার জন্য অণুরোধ করেন৷ কিন্তু গৌতম এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে জানান যে, যদি তিনি কখনও সত্যের সন্ধান পান তাহলে রাজার আমন্ত্রন রক্ষা করবে। এর কিছুদিন পর রাজা বিম্বিসার যঞ্জের জন্য ১০০০ মেষ বলির উদ্যোগ নেন৷ গৌতম এই কথা জানতে পেরে তাকে মেষ বলি দেওয়া থেকে বিরত করেন৷ এরপর গৌতম উরুবিল্ব গ্রামের নিকট এক উপবনে এসে তপস্যা শুরু করেন৷ সে সময় পাঁচজন সন্ন্যাসীও তাঁর সাথে ধ্যান করতে শুরু করেন। গৌতমে কঠোর তপস্যা দেখে এই পাঁচ সন্ন্যাসী তাঁর ভক্ত হয়ে পড়েন৷ গৌতম এরপর পাঁচজন সন্ন্যাসীকে সাথে নিয়ে ভারতের বর্তমান বিহার প্রদেশের গয়া জেলার এক গভীর অরন্যের ভিতর নৈরঞ্জনা নদীর তীরে একটি অশ্বত্থ গাছের নিচে কঠোর তপস্যা শুরু করেন৷ এই সময় অনাহার অনিদ্রার জন্য তিনি কঙ্কালসার হয়ে পড়েন। শারিরীক অক্ষমতার জন্য তিনি ধ্যানে মনোনিবেশ করতে পারছিলেন না৷ তাই তিনি মনস্থির করেন যে, অল্প কিছু আহার করবেন৷ এই সময় সুজাতা নামক এক মহিলা প্রথম পুত্ৰ সন্তান লাভের পর বনদেবতার পূজা দিতে আসেন৷ তিনি সেখানে গৌতমকে দেবতা ভেবে পূজা দিতে গেলে, গৌতম তাঁর ভুল ভাঙিয়ে দিয়ে বলেন যে তিনি দেবতা নন৷ তিনি সুজাতার নিবেদিত পায়েস গ্রহন করে বলেন যে, তোমার মনস্কাম যেমন পূর্ন হয়েছে, এই পায়েস গ্রহনের পর যেন আমার মনস্কামও পূর্ন হয়৷ গৌতমের এই খাদ্যগ্রহন করা দেখে তাঁর সাথে থাকা পাঁচসন্ন্যাসী তাঁকে পরিত্যাগ করেন। এরপর গৌতম একাই ধ্যান করতে থাকেন৷ প্রায় ৪৯ দিন ধ্যান করার পর তিনি বৈশাখী পূর্নিমায় বুদ্ধত্ব লাভ করেন৷ কথিত আছে, তিনি এই রাতের প্রথম যামে পূর্বজন্মের জ্ঞান লাভ করেন, দ্বিতীয় যামে তাঁর দিব্যচক্ষু বিশুদ্ধ হয়, অন্তিম যামে দ্বাদশ প্রতীত্যসমুৎপাদ এবং অরুনোদয়ে সর্বজ্ঞাতা প্রত্যক্ষ করেন৷ এই সময় তাঁর বয়স ছিল ৩৫ বছর৷ বোধিপ্রাপ্ত হয়ে তাঁর নাম হয় বুদ্ধ৷ বর্তমানে নৈরঞ্জনা নদীকে স্থানীয়ভাবে বলা ফল্গু এবং অশ্বত্থ গাছটিকে বলা হয় বোধিবৃক্ষ এবং উরুবিল্ব গ্রামের নাম হয় বুদ্ধগয়া৷ বোধিবৃক্ষ এবং মন্দির ছাড়া এখানে একটি দীঘি আছে যার নাম সুজাতা দীঘি। কথিত আছে এই দিঘির জলে স্নান করে সুজাতা বুদ্ধকে পায়েস নিবেদন করেছিল। বোধিলাভের পর তিনি ছয় বছর উরুবিল্ব গ্রামে ছিলেন এরপর তাঁর গুরু আরাল কালাম, উদ্দক রামপুত্ত এবং তাঁকে ছেড়ে যাওয়া পাঁচজন সন্ন্যাসীকে দীক্ষা দেওয়ার উদ্যোগ নেন৷ কিন্তু ইতিমধ্যে আরাল কালাম এবং উদ্দক রামপুর মারা গিয়েছিলেন৷ তাই তিনি পাঁচ জন সন্ন্যাসীকে দীক্ষা দানের জন্য বোধিবৃক্ষ ত্যাগ করে বারানসীর অদূরে সারনাথ নামক স্থানে আসেন৷ যে স্থানে এই পাঁচ শিষ্যের সাথে বুদ্ধের প্রথম দেখা হয় সেই স্থানটি বর্তমানে চৌখন্ডী স্তুপ নামে পরিচিত সম্রাট অশোক পরবর্তীকালে এই স্তুপটি তৈরী করে দিয়েছিলেন৷ গৌতম বুদ্ধ আষাঢ় মাসের পূর্নিমার দিন এই পাঁচ সন্ন্যাসী কে দীক্ষা দেন৷ এই ঘটনাকে বলাধর্মচক্র প্রবর্তন’ এই দীক্ষাদানের স্থানটিতে সম্রাট অশোক ধামেখ স্তুপ নির্মান করে দেন সংস্কৃতে এর নাম 'ধর্মচক্র স্তুপ'

বুদ্ধ সারনাথের মৃগদাবেধর্মচক্র প্রবর্তন' করেন এবং সেখানে বর্ষাযাপন করেন৷ এই সময় তিনি ৬০ জনকে দীক্ষা প্রদান করেন৷ তিনি একটি সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন এবং সঙ্ঘের জন্য যে আইন তৈরি করেন তাকে বলা হয় উপসম্পদা৷ শুরুর দিকে তিনি শুধু পুরুষদের দীক্ষা দিতেন৷ পরে তাঁর প্রিয় শিষ্য আনন্দের অনুরোধে নারীদের দীক্ষা দেওআয় শুরু করেন৷ কথিত আছে তাঁর কাছে দীক্ষা নেওয়া প্রথম নারী তাঁর বিমাতা গৌতমী৷

এরপর সারনাথ থেকে ধর্মপ্রচার করতে করতে মগধ রাজ্যের রাজধানী রাজগিরের নিকট উরুবিল্বে আবার আসেন৷ সেখানে কাশ্যপ, নদীকাশ্যপ, গয়াকাশ্যপ প্রভৃতি হিন্দুগুরু তাঁদের শিষ্যদের নিয়ে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহন করেন৷ এরপর বুদ্ধ নবদীক্ষিত শিষ্যদের নিয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থে মগধের রাজা বিম্বিসারের প্রাসাদে আসেন। সেখানে বুদ্ধ বিম্বিসারকে চতুরার্য সত্য সম্বন্ধে উপদেশ প্রদান করেন। বিম্বিসার বৌদ্ধ সংঘের সহস্রাধিক ভিক্ষুদের বসবাসের জন্য বেণুবন নামক তার প্রমোদ উদ্যানটি গৌতম বুদ্ধকে প্রদান করেন। পরে রাজা সেখানে একটি বিহার নির্মান করেন। এই বিহারটিবেণুবন বিহার' নামে পরিচিতি পেয়েছিল। বিম্বিসারের অণুরোধে বুদ্ধ অমাবস্যা পূর্নিমা তিথিতে উপোবাস ব্রত পালনের বিধি প্রচলন করেন৷ বৌদ্ধদের বর্ষাবাসের সুবিধার জন্য কুটীর নির্মান এবং বুদ্ধ ভিক্ষুদের চিকিৎসার জন্য রাজবৈদ্য জীবককে নিযুক্ত করেন৷ বিম্বিসারের তৃতীয়া পত্নী ভিক্ষুনী সংঘে যোগদান করে অর্হত্ব লাভ করেন৷ বুদ্ধ বেনুবনে দ্বিতীয় তৃতীয় বর্ষ উদযাপন করেন৷ শেষ বছরে সারিপুত্র মৌদগল্যায়নকে দীক্ষা দেন৷ এই সময় রাজবৈদ্য জীবক তাঁর আম্রকাননে বুদ্ধ সংঘের জন্য একটি বিহার নির্মান করে দেন। বর্তমানে এই বিহারটি 'জীবকাআম্রবন' নামে পরিচিত

এরপর তিনি পিতা শুদ্ধোধনের অনুরোধে কপিলাবস্তুতে আসেন৷ কিন্তু এখানে এসে তিনি পিতার শতঅনুরোধ সত্ত্বেও প্রথমে গৃহে প্রবেশ করতে রাজী হননি৷ রাজবাড়ির সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় তাঁর স্ত্রী গোপা পুত্র রাহুলকে ডেকে বলেন লোকটি তোমার পিতা, ওনাকে ডেকে আনো। রাহুল নিজের পরিচয় দিয়ে ঘরে ডাকলে বুদ্ধ তা প্রত্যাখ্যান করেন৷ পরে সকলের কাতর অনুরোধে তিনি রাজবাড়িতে প্রবেশ করেন কিন্তু কোথাও স্থিরভাবে দাঁড়ালেন না। তাঁর রাজবাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়া আটকাতে তাঁর স্ত্রী গোপা নিজের লম্বা চুল বেরিয়ে যাবার পথে বিছিয়ে রাস্তা আটকে শুয়ে পড়েছিলেন৷ কিন্তু বুদ্ধ তা ভ্রুক্ষেপ না করে চুল মাড়িয়ে রাজবাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন৷ এই সময় তিনি তাঁর বৈমাত্রেয় ভাই নন্দ এবং সাত বৎসরের পুত্র রাহুলকে দীক্ষিত করে রাজধানী ত্যাগ করেন।

এরপর ইনি ১৩ বৎসর ধরে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে তাঁর ধর্মমত প্রচার করে বেড়ান। পিতার অসুস্থতার কথা শুনে বুদ্ধ কপিলাবস্তুতে আসেন এবং পিতার মৃত্যুকালে পিতার নিকট উপস্থিত হয়েছিলেন৷ পিতার মৃত্যুর পর তিনি পুরনারীদের বৌদ্ধ ভিক্ষুতে পরিনত করেন এবং তাদের নেত্রী করে দেন তাঁর স্ত্রী গোপাকে। এরপর বুদ্ধ তাঁর ধর্মমত প্রচারের জন্য আবার পথে বেড়িয়ে পড়েন৷ ৮০ বছর বয়সে নেপালের কুশী নগরে ইনি দেহত্যাগ করেন৷ কথিত আছে তাঁর জন্ম, বোধিলাভ মৃত্যু একই সময় তারিখে হয়েছিল

 

 গৌতম বুদ্ধ ও  বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর দ্বিতীয় পর্ব>>>>

ধন্যবাদ

ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। 

 

পরিবেশের বিভিন্ন টপিকগুলি সম্পর্কে জানতে Click Here

প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে - Click Here

মধ্য যুগের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here

আধুনিক ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here

 ভারতের ইতিহাসের পিডিএফ ডিটেইলস পেতে Click Here

গৌতম বুদ্ধের সংক্ষিপ্ত জীবনী|বৌদ্ধ ধর্ম| Goutam Buddha| About Goutam Budha| Bouddha Dharma| Biography of Goutam Buddha.

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad