Type Here to Get Search Results !

শেরশাহ প্রথম পর্ব [Shershah]

 

শেরশাহ

Set by- Manas Adhikary

শেরশাহ প্রথম পর্ব| Shershah Part - I

শেরশাহ। ফরিদ খান।  শেরখান।  লাড মালিকা। সরজুগড়ের যুদ্ধ। চৌসার যুদ্ধ। বিলগ্রামের যুদ্ধ। চান্দেরির যুদ্ধ। রাইসিনা অভিযান।  ব্রহ্মজিৎ গৌড়। The abode of Paradise। পাট্টা। কবুলিয়ত। জরিমানা। মহাশিলওয়ানা। মুনসিফ-ই-মুন্সিকান। শিক-ই-শিকদারন। শের শাহের সমাধি।  গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড। কিলা-ই-কুহানা। তাওয়ারীখ-ই-দৌলত-ই-শেরশাহী। তোহফা-ই-আকবরশাহী।

নমস্কার, অভিনব  একাডেমিতে আপনাদেরকে স্বাগত জানাই।  আজকে আপনাদের জন্য আলোচনা করা হলোআপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি  মধ্যযুগীয় ভারতের (Medieval History) একজন সুদক্ষ শাসক শেরশাহ থেকে সংক্ষিপ্ত আলোচনা এবং অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর। পরবর্তী পর্বে আরো কিছু অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর নিয়ে আলোচনা করা হবে।   পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতবর্ষের সমস্ত সরকারি চাকরীর পরীক্ষাতে বা প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য (All Competitive exam: UPSC,WBPSC, WBCS, SLST, WBP SI, WBP Constable, SSC, PSC, School Service, Railway exam etc) এই টপিকটি খুবই  গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়

এছাড়াও আমাদের এই ব্লগে আপনি পেয়ে যাবে Indian History (Ancient, Medieval, Modern), Europe History, Geography, Gk, Bio-logy, Polity, child psychology, Environment Science, Pedagogy ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় গুলি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।



শেরশাহ সংক্ষিপ্ত আলোচনা এবং অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর।About Shershah and MCQ.


 

শেরশাহের আসল নাম ছিল ফরিদ তাঁর পিতা হাসান ছিলেন সাসারামের জায়গীরদার বাল্যকালে ফরিদ বিমাতার কোপে পড়ে সাসারাম ছাড়তে বাধ্য হন পিতার মৃত্যুর পর তিনি সাসারামের জায়গিরদাররূপে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন এই সময়ে তিনি সহস্তে একটি বাঘ মেরেশের খান’ উপাধি পান কিন্তু শত্রুরা তাঁকে সাসারাম ছাড়তে বাধ্য করে তখন তিনি বাবরের অধিনে চাকরি করেন বাবরই তাঁকে সাসারাম ফিরিয়ে দেন এরপর থেকে শের খান দ্রুত গতিতে শক্তি সঞ্চয় করতে থাকে শের খান চুনার দুর্গ অধিকার করলে বিহারের শাসন কর্তা জালাল খান উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তিনি বাংলার সুলতান মামুদ শাহের সাথে মৈত্রী সুত্রে আবদ্ধ হয়ে শের খানকে বাধা দিতে চেষ্টা করলে শের খান সুরজ গড়ের যুদ্ধে তাদেরকে পরাস্ত করে বিহারে নিজ ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত করেন শের খান প্রথমবার বাংলার রাজধানী গৌড় আক্রমন করেন যখন হুমায়ূন গুজরাটে বাহাদুর শাহের সাথে যুদ্ধ লিপ্ত ছিলেন হুমায়ূন গুজরাট মালব থেকে ফিরে শের খানকে বাধা দেওয়ার পরিবর্তে আগ্রায় অযথা সময় কাটাতে থাকেন সেই সুযােগে শের খান পুনরায় গৌড় আক্রমন করেন তখন হুমায়ূন অবস্থার গুরুত্ব উপলব্ধি করে শের খানকে বাধা দেওয়ার জন্য অগ্রসর হন৷ কিন্তু পথিমধ্যে তিনি চুনার দূর্গ অধিকার করে অযথা সময় ব্যয় করেন এইসময় শের খান পুরােপুরিভাবে বাংলা দখল করে রােটাস দূর্গ অধিকার করেন হুমায়ূন তখন বাংলার দিকে অগ্রসর হয়ে গৌড় অধিকার করেন শের খান হুমায়ুনের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ন না হয়ে বিহার জৌনপুর দখল করে কণৌজ অগ্রসর হন এই অবস্থায় হুমায়ূন বাংলা পরিত্যাগ করে আগ্রা অভিমুখে অগ্রসর হলে শের খান তাঁকে মাঝপথে আটকে দিয়ে চৌসার যুদ্ধে পরাজিত করেন এর ফলে শের খান কার্যত কনৌজ থেকে থেকে আসাম হিমালয় থেকে ঝাড়খন্ড বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিরাট এলাকার অধীশ্বর হন এরপর তিনি শেরশাহ উপাধি গ্রহন করেন হুমায়ূন আবার শেরশাহের সঙ্গে ১৫৪০ সালে কনৌজের যুদ্ধে অবতীর্ন হন কিন্তু এই যুদ্ধ হুমায়ূন পুনরায় সম্পূর্নরূপে পরাজিত হয়ে পালিয়ে যান অতঃপর শেরশাহ পাঞ্জাব মালব দূর্গ দখল করেন রাজপুতদের পরাজিত করে রাইসিন দূর্গ দখল করেন মারওয়ারের রাজপুত রাজা মালদেব তাঁর কাছে পরাজিত হন এরপর আজমীর থেকে আবু পর্যন্ত সমগ্র এলাকা তাঁর করতলগত হয় অবশেষে কালিঞ্জর দূর্গ আক্রমন কালে এক বিস্ফোরনের ফলে তিনি মৃত্যুমুখে পতিত হন

 শেরশাহের রাজত্বকাল মাত্র বছর স্থায়ী হলেও শাসক হিসাবে তিনি অক্ষয় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে গেছেন শেরশাহের শাসনব্যবস্থার মধ্যে চিরাচরিত ভারতীয় শাসনের, তা সে হিন্দু বা মুসলমান যাই হােক না কেন, বৈষিস্ট্যও যেমন দেখা যায়, তেমনি কোন কোন ক্ষেত্রে তিনি উদ্ভাবনী শক্তির পরিচয় রেখে গেছেন

শেরশাহের শাসনব্যবস্থায় রাজাই ছিলেন সর্বেসর্বা কিন্তু সমস্ত ক্ষমতা তাঁর হাতে কেন্দ্রীভূত থাকলেও তিনি স্বেচ্ছাচারী ছিলেন না৷ শাসনের সুবিধার্থে তিনি সমস্ত রাজ্যকে ৪৭ টি সরকারে প্রতিটি সরকার কয়েকটি পরগনায় বিভক্ত করেন শাসন কাঠামোের সর্বনিম্ন স্তরে ছিল গ্রাম৷ সরকারের শাসনভার ছিল শিকদার--শিকদারানের উপর প্রত্যেক পরগনায় একজন আমিন, শিকদার, একজন কোষাধ্যক্ষ হিসাবরক্ষক হিসাবে একজন হিন্দু একজন ফার্সী কর্মচারী থাকতেন৷ একজন মুনসিফ--মুনসিফান পরগনার কর্মচারীদের কাজকর্ম তত্ত্বাবধান করতেন সরকারি কর্মচারীদের বদলির ব্যবস্থাও ছিল শেরশাহের সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য সংস্কার হল ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থা ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থায় কৃষকের গুরুত্ব সম্পর্কে তিনি সচতন ছিলেন তিনি বলেছিলেন- “ আমি যদি কৃষকদের অত্যাচার করি, তাহলে তারা গ্রাম ছেড়ে চলে যাবে এবং সমস্ত দেশ জনশূন্য ধ্বংস হয়ে যাবে।“ প্রতিটি জমি যথাযত জরিপ করার পর খাজনা নির্ধারন করা হত এবং তা সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে নগদে বা শস্যে আদায় করা হত৷ রাজস্বের হার ছিল উৎপন্ন ফসলের / অংশ বা / অংশ রাজস্ব আদায়ের জন্য আমিন, মুকাদ্দম, পাটোয়ারী, কানুনগাে প্রভৃতি কর্মচারীর সাহায্য নেওয়া হত৷ রাজস্ব আদায়ে কড়াকড়ি ছিল কিন্তু কোন কারনে শস্যের ক্ষতি হলে কর ছাড়ের ব্যবস্থাও ছিল সম্ভবত কৃষি ঋনের ব্যবস্থাও ছিল জমিতে কৃষকদের অধিকারের স্বীকৃতিস্বরূপ কাবুলিয়ত পাট্টার ব্যবস্থাও ছিল৷ শেরশাহের রাজস্ব ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য ছিল সরকারের আর্থিক স্বাচ্ছল্য বিধানের সাথে সাথে পুজার স্বার্থ রক্ষা করা রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যবসা বানিজ্যের প্রসারের দিকেও শেরশাহ লক্ষ্য রেখেছিলেন তিনি মুদ্রাব্যবস্থার সংস্কার করেন একটি বলিষ্ঠ শুল্কনীতি গ্রহন করেন পরিবহনের উন্নতির জন্য তিনি জি টি রােড সহ কয়েকটি বড়ােবড়াে সড়ক নির্মান করেন যাত্রীদের সুবিধার্থে রাস্তার ধারে বৃক্ষরােপন করা হয় সরাইখান নির্মান করা হয়৷ এই সরাইখানাগুলি আবার ডাকঘর সংবাদ আদান-প্রদানের কাজও করত রাজ্যে সর্বত্র শান্তি শৃঙ্খলা রাখার জন্য পুলিশি ব্যবস্থাকে সংস্কার করা হয় গ্রামে শান্তি রক্ষার দায়িত্ব ছিল গ্রাম প্রধানের হাতে বিচারকার্যে ধনী-দরিদ্রের প্রভেদ করা হত না৷ পরগনায় বিচারের দায়িত্ব পালন করতেন আমিন, কাজী মির--অদল রাজধানীতে প্রধান কাজি বিচারকার্য সম্পাদন করতেন বিচারের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ছিল স্বয়ং সমাটের হাতে৷ সামরিক বিভাগকে শক্তিশালী করার জন্য তিনি আলাউদ্দিনের পথ অনুসরন করেন তিনি একটি নিয়মিত বিরাট সৈন্যবাহিনী গড়ে তােলেন প্রতিটি সৈনিক তাঁর প্রতি অনুগত ছিলেন এবং সেনাবাহিনীতে কঠোর শৃঙ্খলা রক্ষা করা হত৷ কোন প্রকার দুর্নীতি সহ্য করা হত না৷

শেরশাহ। ফরিদ খান।  শেরখান।  লাড মালিকা। সরজুগড়ের যুদ্ধ। চৌসার যুদ্ধ। বিলগ্রামের যুদ্ধ। চান্দেরির যুদ্ধ। রাইসিনা অভিযান।  ব্রহ্মজিৎ গৌড়। The abode of Paradise। পাট্টা। কবুলিয়ত। জরিমানা। মহাশিলওয়ানা। মুনসিফ-ই-মুন্সিকান। শিক-ই-শিকদারন। শের শাহের সমাধি।  গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড। কিলা-ই-কুহানা। তাওয়ারীখ-ই-দৌলত-ই-শেরশাহী। তোহফা-ই-আকবরশাহী।

 

প্রশ্নোত্তর পর্ব

১) শেরশাহ কোথায় জন্মগ্রহন করেন?

- পাঞ্জাবের নারনুল পরগনায়।

২) শেরশাহের জন্মের বছরে আরও এক মহান পুরুষ জন্মগ্রহন করেন তাঁর নাম কী?

- শ্রীচৈতন্যদেব

৩) মালিক মহম্মদ জৈশী কার সমসাময়িক ছিলেন?

- শেরশাহ

৪) শেরশাহের আসল নাম কী?

- ফরিদ খাঁন

৫) শেরশাহের পিতার নাম কী?

- হাসান

৬) শেরশাহের পিতা কোথাকার জায়গীরদার ছিলেন?

- বিহারের অন্তরগত সাসারামের জায়গীরদার

৭) শের শাহ সুরির পূর্বপুরুষরা কোথা থেকে ভারতে এসেছিলেন?

-আফগানিস্তান

৮)শের শাহ সুরীর দাদা ইব্রাহিম খান সুর কার সময়ে আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসেন?

-বহলোল লোদী

৯) শের শাহ সুরি কোথাকার একটি বিখ্যাত মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা লাভ করেন?

- জৌনপুর

১০) শের শাহকে তার পিতা হাসান খান কোথাকার জায়গিরের প্রবন্ধকরূপে নিযুক্ত করেছিলেন?

-সহসারাম / সাসারাম

১১) শেরশাহের পিতা যিনি ফরিদ খানকে সহসরাম ও খাওয়াসপুরের জায়গির পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন কিন্তু কার সেবা করার জন্য ফরিদ খানকে ঐ জায়গির পরিচালনার দায়িত্ব  ছেড়ে দিতে হয়?

-দৌলত খান  (আগ্রা যেতে হয়েছিল।)

১২) শেরশাহ কতবছর বয়সে সাসারামের জায়গীরদার হন?

- ৩৫ বছর

১৩) শেরশাহ প্রথম জীবনে কার অধীনে চাকরী গ্রহন করেন?

- বিহারের সুলতান বাহার খাঁ লোহানীর অধীনে।  

১৪) শের শাহের রাজ্যাভিষেক কোথায় হয়েছিল?

-আগ্রা

১৫) শেরশাহ কাকে বিবাহ করার ফলে চুনার দূর্গের অধিপতি হন?

- তাজখানের বিধবা পত্নী লাড মালিকাকে।

১৬) ফরিদ খাঁকে কে ‘শের খাঁ উপাধি দেন?

- বাহার খাঁ লোহানী (সাহস ও বীরত্বের জন্য)।

১৭) কোন যুদ্ধের পর ফরিদ খাঁ ‘শেরখান থেকে ‘শেরশাহ উপাধি ধারন করেন?

- ১৫৩৯ সালের চৌসার যুদ্ধে হুমায়ূনকে পরাজিত করে তিনি শেরখান থেকে শেরশাহ উপাধি ধারন করেন।

১৮) শেরশাহ কার শিক্ষক ছিলেন?

- জালাল খাঁ লোহানী।  

১৯) কে শেরশাহকে জালাল খাঁ লোহানীর শিক্ষক রূপে নিয়োগ করেন?

- জালাল খানের মাতা দুদু

২০) শেরশাহ কবে কোন মুঘল সম্রাটের অধিনে চাকুরী গ্রহন করেন?

- বাবরের অধীনে ১৫২৭ খ্রীঃ

২১) শেরশাহের জীবনে প্রথম যুদ্ধ কোনটি?

- সরজুগড়ের যুদ্ধ ( ১৫৩৪ খ্রি)  

২২) সরজুগড়ের যুদ্ধ কাদের মধ্যে হয়?

- বাহার খাঁর নাবালক পুত্র জালাল খাঁ লোহানী ও বাংলার সুলতান মামুদ শাহের সম্মিলিত শক্তি এবং শেরশাহের মধ্যে  

২৩) দিল্লীতে শুর বংশের প্রতিষ্ঠা করেন কে?

- শেরশাহ

২৪) দ্বিতীয় আফগান সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে?

- শেরশাহ

২৫) তৃতীয় আফগান সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে?

- মহম্মদ শাহ আবদালী 

 

শেরশাহ দ্বিতীয় পর্ব >>>>

প্রতি সপ্তাহের মকটেস্টের জন্য নীচে দেওয়া Telegram গ্রুপে জয়েন করতে পারেন

 টেলিগ্রাম গ্রুপ যোগদান করার জন্য - Click Here


ধন্যবাদ

ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। 

 

পরিবেশের বিভিন্ন টপিকগুলি সম্পর্কে জানতে Click Here

ইউরোপের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে  - Click Here

প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে - Click Here

মধ্য যুগের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here

আধুনিক ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here

 ভারতের ইতিহাসের পিডিএফ ডিটেইলস পেতে Click Here

শেরশাহ। ফরিদ খান।  শেরখান।  লাড মালিকা। সরজুগড়ের যুদ্ধ। চৌসার যুদ্ধ। বিলগ্রামের যুদ্ধ। চান্দেরির যুদ্ধ। রাইসিনা অভিযান।  ব্রহ্মজিৎ গৌড়। The abode of Paradise। পাট্টা। কবুলিয়ত। জরিমানা। মহাশিলওয়ানা। মুনসিফ-ই-মুন্সিকান। শিক-ই-শিকদারন। শের শাহের সমাধি।  গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড। কিলা-ই-কুহানা। তাওয়ারীখ-ই-দৌলত-ই-শেরশাহী। তোহফা-ই-আকবরশাহী।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad