Type Here to Get Search Results !

বৈদিক সভ্যতা [Vedic civilization]

বৈদিক সভ্যতা

SET BY - MANAS ADHIKARY

বৈদিক সভ্যতা। Vedic civilization.

বৈদিক সভ্যতা।  ঋকবৈদিক যুগ|পরবর্তী বৈদিক যুগ। The Vedic Culture। Early Vedic Civilization। Rig Vedic Civilization। Later Vedic Civilization। Vedic Period Notes.

নমস্কার, অভিনব  একাডেমিতে আপনাদেরকে স্বাগত জানাই।  আজকে আপনাদের জন্য আলোচনা করা হলো প্রাচীন ভারতের অন্যতম সভ্যতা বৈদিক সভ্যতা  সম্পর্ক এ  পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতবর্ষের সমস্ত সরকারি চাকরীর পরীক্ষাতে বা প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য (All Competitive exam: UPSC,WBPSC, WBCS, SLST, WBP SI, WBP Constable, SSC, PSC, School Service, Railway exam etc) এই টপিকটি খুবই  গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

এছাড়াও আমাদের এই ব্লগে আপনি পেয়ে যাবে Indian History (Ancient, Medieval, Modern), Europe History, Geography, Gk, Bio-logy, Polity, child psychology, Environment Science, Pedagogy ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় গুলি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

 



বৈদিক সভ্যতা সংক্ষিপ্ত আলোচনা।

আনুমানিক ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সিন্ধু সভ্যতার ধ্বংস আর্য সভ্যতার বিকাশ হয়েছিল বলে মনে করা হয় কিন্তু উভয় সভ্যতার মধ্যে সম্পর্ক, কোনটি আগে, কোনটি পরে বা আর্যরাই সিন্ধু সভ্যতার স্রষ্টা কিনা বা আর্যদের আদি বাসস্থান ভারতে, না তারা বহিরাগত এসব নিয়ে পন্ডিতদের মধ্যে বাগবিতন্ডার শেষ নেই এসব প্রশ্নের সর্বজনগ্রাহ্য কোনাে উত্তর আজও পর্যন্ত পাওয়া যায় নি

বেদ থেকেই আমরা আর্যসভ্যতার পরিচয় পাই। তাই এই সভ্যতাকে বৈদিক সভ্যতা বলা হয়। ঋকবেদের সময় থেকে ভারতে ঐতিহাসিক যুগের সূচনা হয়। সাধারনভাবেআর্য’ বলতে একটি জাতিকে বোঝায়। বর্তমানে এই ধারনা পরিত্যক্ত হয়েছে। আর্য শব্দটি জাতি অর্থে পারস্য সম্রাট দারায়ুসও গ্রহন করে ভুল করেছিলেন। প্রকৃত অর্থে আর্য কোনাে জাতির নাম নয়। এটি একটি ইন্দো-ইউরােপীয় ভাষাগােষ্ঠীর নাম। যে ব্যক্তি এই ভাষাগােষ্ঠীর যে কোনো একটি ভাষায় কথা বলেন তিনিই আর্য। আর্যসভ্যতাকে প্রধানত দুইভাগে ভাগ করা হয়।

যথা- ঋকবৈদিক যুগ পরবর্তী বৈদিক যুগ।

ঋকবৈদিক যুগ

এই যুগে আর্যদের রাষ্ট্রব্যবস্থা ছিল প্রধানত উপজাতি কেন্দ্রিক, পরবর্তী বৈদিক যুগের ন্যায় বৃহৎ ভৌগলিক রাষ্ট্র ঋকবেদের যুগে গড়ে ওঠেনি৷ ঋকবেদের যুগে আর্যরা ভরত, যদু, সঞ্জয়, অনু, পুরু,  তুরবশ, দ্রাহুত ইত্যাদি উপজাতিতে বিভক্ত ছিল। এই যুগে পরিবার ছিল রাষ্ট্রের সর্বনিম্ন স্তর

পরিবারের প্রধানকে বলা হত কুলপতি বা কুলপা। কতকগুলি পরিবার রক্তসম্পর্কে যুক্ত হলে গোষ্ঠী বা উপজাতি গঠিত হত। আর্য উপজাতিগুলি আদপে শান্তিপ্রিয় ছিল না। দশরাজার যুদ্ধের কাহিনী থেকে জানা যায় যে রাজা পৈজবনের (মতান্তরে দিবােদাসের) পুত্র রাজা সুদাস ছিলেন ভরত গোষ্ঠীর রাজা সুদাস পুরোহিত বিশ্বামিত্রের কাজে অসন্তুষ্ট হয়ে তার স্থলে বশিষ্ঠকে

পুরোহিতরূপে নিযুক্ত করেন। এজন্য বিশ্বামিত্র ক্রুদ্ধ হয়ে দশটি আর্য উপজাতির দশরাজার ছোটো  জোট গঠন করে রাজা সুদাসকে আক্রমন করেন। যুদ্ধে রাজা সুদাস জয়ী হন। রােমিলা থাপার মতে ঋগবেদের যুগে রাজারা ছিল প্রধানত যোদ্ধাদের নেতা। নিরন্তর যুদ্ধবিগ্রহের জন্য এবং গােষ্ঠীদের উপজাতিদের মধ্যে শৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য রাজপদের উদ্ভব হয়। রাজা বংশানুক্রমিকভাবে ক্ষমতা ভােগ করতেন। ক্রমে ক্রমে রাজা নিজেকে ঐশ্বরিক ক্ষমতার অধিকারী বলে দাবি করেন। ঋকবেদের যুগে রাজপদ বংশানুক্রমিক হলেও নির্বাচিত রাজতন্ত্রের কথা জানা যায়। বিশ বা গোষ্ঠী দরকার হলে রাজাকে নির্বাচন করত এটি খাটি প্রজাতন্ত্র না হলেও নির্বাচিত অভিজাততন্ত্র ছিল একথা বলা যায়। এই যুগে রাজার প্রধান কাজ ছিল শত্রুর হাত থেকে দেশকে রক্ষা, প্রজাদের জীবন সম্পত্তি রক্ষা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। পুরোহিতের সাহায্যে রাজাকে প্রজাদের আবেদনের ন্যায়বিচার করতে হত, এবং দোষিকে শাস্তি দিতে হত। শাসন করার জন্য রাষ্ট্রকে কয়েকটি স্তরে ভাগ করা হত৷ কয়েকটি পরিবার নিয়ে গোষ্ঠী গঠিত হত৷ কয়েকটি গােষ্ঠী নিয়ে গ্রাম, কয়েকটি গ্রাম নিয়ে বিশ বা জন, কয়েকটি জন নিয়ে দেশ বা রাষ্ট্র গঠিত হত। গ্রামনি, গ্রাম শাসন করত, বিশপতি বিশ এবং গোপ জনের শাসন করত। তবে বিশ জনের সম্পর্কে সঠিকভাবে জানা যায় না সেনানী যুদ্ধবিগ্রহের দায়িত্ব পালন করত দূত গুপ্তচর শত্রুর খবর রাখত৷ এই যুগে পদাতিক, অশ্বারােহী রথারােহী সেনা ছিল তীর, ধনুক, বল্লম, কুঠার ইত্যাদি অস্ত্র ব্যবহার করা হত৷ রথমুষল নামক একপ্রকার ক্ষেপনাস্ত্র ব্যবহৃত হত এছাড়া পরচরিষু বা ছুটন্ত দুর্গের কথা বলা হয়েছে যা থেকে তীর ছোঁড়া হত৷

আর্যরা ভারতে যখন প্রবেশ করে তখন তারা তিন শ্রেনীতে বিভক্ত ছিল যথা- ব্রাহ্মন, রাজন্য বা যোদ্ধা এবং সাধারন আর্য বা বৈশ্য কিন্তু কেউ কেউ বলেন ঋকবেদের যুগে আর্যরা চারটি জাতিতে বিভক্ত ছিল তারা ঋগবেদের দশম মন্ডলের পুরুষ সুক্তের উল্লেখ করেন যেখানে বলা আছে আদিপুরূষ বা ব্রহ্মার মুখ থেকে ব্রাহ্মন, বাহু থেকে ক্ষত্রিয়, উরুদেশ থেকে বৈশ্য এবং পদযুগল থেকে শুদ্রের উদ্ভব হয় এই যুগে আর্যদের মধ্যে বংশানুক্ৰিমক জাতিভেদ ছিল না আর্যরা যখন পূর্বভারতে গঙ্গাযমুনা অঞ্চলে বসবাস করতে শুরু করে সেই সময় জাতিভেদ প্রথার উদ্ভব হয় বিভিন্ন শ্রেনীর মধ্যে অন্তর্বিবাহ ব্যবস্থা চালু ছিল এই যুগে একান্নবর্তী পরিবারের প্রাধান্য ছিল এবং পরিবার ছিল পিতৃতান্ত্রিক পরিবারের সর্বাপেক্ষা বয়স্ক পুরুষ কর্তা বা গৃহপতি হিসাবে গন্য হতেন প্রতিটি পরিবারের স্থায়ী গৃহ থাকত আর্যরা যব, গম, চাউল জাত দ্রব্য, দুধ, ঘি, মাখন ইত্যাদি খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করত অপূপ বা পিষ্টক ছিল আর্যদের প্রিয় খাদ্য এই যুগে গোহত্যা নিষিদ্ধ ছিল বিশেষ উৎসবে সোমরস নামক একপ্রকার লতার রস মাদক দ্রব্য হিসাবে পান করা হত আর্যরা সুতি পশমের বস্ত্র ব্যবহার করত ধর্মীয় উৎসবে ক্ষৌম বস্ত্র এবং দুকুল নামক মিহি রেশমের বস্ত্র পরিধান করত পুরুষরা নিন্মাঙ্গে ধুতি উর্ধাঙ্গে উত্তরীয় ব্যবহার করত৷ নারীরা দুপ্রস্থ পোশাক ছাড়া নিবি বা কোমরবন্ধনী ব্যবহার করত ঋগবেদের সমাজে নারীর সম্মান ছিল বাল্যবিবাহ প্রথা, সতীদাহ প্রথার প্রচলন ছিল না পণপ্রথা ও কন্যাপনপ্রথা উভয় নিয়ম ছিল বহুবিবাহ প্রথা প্রচলিত ছিল পুরুষদের মধ্যে সন্তানহীনা বিধবা ভ্রাতৃবধুকে বিবাহ করার প্রথা ছিল ঋগবেদের যুগের শেষদিকে চতুরাশ্রম (ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ্য, বানপ্রস্থ সন্ন্যাস) প্রথার উদ্ভব ঘটে সমাজে প্রথম তিন শ্রেনীর মধ্যে (ব্রাহ্মন, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য) এই প্রথার চল ছিল

কৃষি পশুপালন ছিল আর্যদের প্রধান জীবিকা গরুগুলি যাতে হারিয়ে না যায় সেজন্য গরুর কানে বিভিন্ন সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হত বিনিময়ের মাধ্যম ছিল গোরু ঋকবেদে পনি নামে এক শ্রেনীর ব্যবসায়ীর কথা জানা যায় এরা অনার্য ছিলেন এইযুগে নিষ্ক মনা নামক দুইধরনের স্বর্নমুদ্রার প্রচলন ছিল মনা ছিল প্রাচীন ব্যাবিলনের মুদ্রা এর থেকে অনেকে মনে করেন যে পশ্চিম এশিয়ার সাথে ভারতের বানিজ্যিক যোগাযোগ ছিল ঋগবেদে শত দাঁডযুক্ত নৌকার (শতঅনিত্ৰ) উল্লেখ পাওয়া যায়

 

বৈদিক সভ্যতা।  ঋকবৈদিক যুগ|পরবর্তী বৈদিক যুগ। The Vedic Culture। Early Vedic Civilization। Rig Vedic Civilization। Later Vedic Civilization। Vedic Period Notes.

পরবর্তী বৈদিক যুগ

পরবর্তী বৈদিক যুগের সূচনা হয় ১০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে ৬০০ খ্রিষ্ট পূর্বাব্দের মধ্যে। এই যুগে রাজস্থান পূর্ব উত্তরপ্রদেশ, উত্তর বিহার ইত্যাদি অঞ্চলে পরবর্তী বৈদিক সভ্যতা বিস্তার লাভ করে

শতপথ ব্রাহ্মন থেকে জানা যায় পূর্ব গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে আর্যসভ্যতা বিকাশ লাভ করে। কুরু, পাঞ্চাল ইত্যাদি নবগঠিত আর্য গোষ্ঠিগুলি পরবর্তী বৈদিক যুগে প্রাধান্য লাভ করে।ভরত

পুরুর মিলনে কুরু উপজাতির সৃষ্টি হয়। অর্থব বেদ থেকে জানা যায় যে কুরুর রাজা পরীক্ষিতের সময় এই জনপদের চরম বিকাশ ঘটে৷৷ পরীক্ষিতের পুত্র জনমেনজয় অশ্বমেধ যজ্ঞ করেছিলেন। এই যুগে ক্রিভিস, অনুষ, দুহ, তুবশ ইতাদি উপজাতির সংমিশ্রনে গঠিত হয় পাঞ্চাল

কুরু পাঞ্চালের পতনের পর কোশল, কাশী বিদেহ শক্তিশালী হয়ে ওঠে কোশলই প্রথম বৈদিক সভ্যতাকে প্রভাবিত করে কোশলের কর্তৃত্ব ছিল ইক্ষাকু বংশের হাতে এর প্রথম রাজধানী ছিল অযোধ্যা এবং পরবর্তী রাজধানী হল শ্রাবস্তি এই বংশের বিখ্যাত রাজা ছিলেন পারা কাশীর ২৩ তম তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথ যিনি মহাবীরের জন্মের ২৫০ পূর্বে মারা যান। তাঁর পিতা অশ্বসেন ছিলেন কাশীর রাজা বিদেহ এর রাজধানী ছিল মিথিলা এটি বর্তমানে তিরাহুত নামে পরিচিত এখানকার বিখ্যাত রাজা ছিলেন জনক তার রাজসভায় ছিলেন যাজ্ঞবল্ক মগধ, অঙ্গ বাংলা তখন আর্য সভ্যতার বাইরে ছিল পরবর্তী বৈদিক যুগে শুধুমাত্র গরু নয়, জমির জন্যও লড়াই হত৷ ব্যক্তিগত মালিকানার উদ্ভব ঘটে রাজার ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায় এবং রাজপদ বংশানুক্রম হয়ে পড়ে এই যুগে নতুন নতুন কর্মচারীর পদ সৃষ্টি হয় যেমন সভা-সমিতি বিধাতার ক্ষমতা হ্রাস পায় রঙ্গিন নামক এক কর্মচারীর উদ্ভবের ফলে যারা রাজাকে রাজকার্য পরিচালনার জন্য পরামর্শ দান করত এইসময়পালগোলা’ নামক কর্মচারী ছিল রাজার ব্যক্তিগত রাষ্ট্রদূত৷ রাজা রাজসূয়, অশ্বমেধ বাজপেয় যজ্ঞ করতেন নিজের জনপ্রিয়তা সার্বভৌমত্ব বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে পরবর্তী বৈদিক যুগে নারীদের সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার ছিল না তারা সভায় অংশ গ্রহন করতে পারত না এবং স্বামীর আহারের পর তারা আহার করতেন এছাড়াও তারা ধর্মীয় উৎসবে অংশগ্রহন করতে পারতেন না এই যুগে নারীদের সম্মান এতটাই কমে যায় যে তাদের জুয়াখেলার বাজি হিসাবে ধরা হত৷ যদিও এই যুগে গার্গী, মৈত্রী প্রমুখ ব্রহ্মবাদিনী দার্শনিক জ্ঞানবতী নারীদের কথা জানা যায় ব্ৰহ্মবাদিনী হল সেইসব নারী যারা সারাজীবন কুমারী থেকে বেদচর্চা করত এবং যারা বিবাহের পূর্ব পর্যন্ত বেদ বা বিদ্যাচর্চা করত তাদের বলা হত সদ্যোদ্বাহা বহুবিবাহ প্রচলিত ছিল উচ্চশ্রেনীর মধ্যে যেমন রাজাদের অনেক রানী ছিলমহিষী ছিল রাজার প্রধান রানী পলিগালি হল যে রানী রাজাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিয়ে করত৷ কিভেন্তি হল যে রানীর কোন দাবিদাওয়া ছিল না সবচেয়ে অবহেলিত রানীকে প্রিভিক্তি বলা হত এইযুগে বাল্যবিবাহের প্রচলন শুরু হয় গমের মতই এই যুগে চালও প্রধান খাদ্য হিসাবে বিবেচিত হয় এই যুগে বেশীরভাগ লোক গ্রামে বসবাস করত জমিতে গভীরভাবে লাঙল দেওয়া হত লাঙল

টানার জন্য গরুর উপর নির্ভর না করে মহিষকে কাজে লাগানো শুরু হয়। এই সময় জমিতে সার দেওয়া শুরু হয়। এই যুগে হাতি পোষ মানিয়ে যুদ্ধের কাজে লাগানো হয়

পরবর্তী বৈদিক যুগে ব্যবসা বানিজ্যের উন্নতি ঘটে। শ্রেষ্ঠীর নামে ধনী বৈশ্যদের কথা জানা যায়। কাপড়, ছাগলের চামড়া অন্যান্য পোশাকের দ্রব্য বিক্রি হত। পূর্বদিকে বিহার নেপাল থেকে পশ্চিমে পাঞ্জাব পর্যন্ত বানিজ্য চলত৷ কিরাত নামে এক উপজাতি ছাগলের চামড়া মৃগনাভী বিক্রি করত। সমুদ্রপথে মেসোপটেমিয়ার সাথে বানিজ্য চলত। বনিকরা গিল্ড বা নিগম বা সঙ্ঘ বা গণ গঠন করেছিল এই সময়ে। এই যুগে ব্যাপকভাবে লোহার ব্যবহার শুরু হয়। এই যুগে নিষ্ক ছাড়া কৃষল নামক মুদ্রার প্রচলন ঘটে যার ওজন ছিল এক রতি৷ ১০০ কৃষলে হত এক শতমান। শতমান ছিল সোনার বাট। এই যুগে দার্শনিক ধর্মচিন্তার উদ্ভব হয়। কর্মফল জন্মান্তরবাদের তত্ত্ব এই যুগে গড়ে ওঠে। বৃহদারন্যক উপনিষদে প্রথম জন্মান্তরবাদের কথা বলা হয়। এছাড়াও এই যুগেমানবাত্মা’ হল পরমাত্মার অঙ্গ এই তত্ত্ব প্রচারিত হয়। মৃত্যুর পর জীবের আত্মা পরমাত্মায় লীন হয়ে যায়- ইহাই ছিল এই তত্ত্বের মূল কথা। আধ্যাত্মবাদের পাশাপাশি জড়বাদী দর্শনেরও উদ্ভব উপনিষদে হয়। জড়বাদী তত্ত্ব প্রচার করেন ঋষি উদ্দালক

তিনি ঈশ্বরকে বাদ দিয়ে প্রকৃতিকে বসিয়েছেন সৃষ্টিকত্রী হিসাবে। এই জড়বাদী তত্ত্ব থেকে শুরু হয় চার্বাকের দেহবাদী দর্শন তত্ত্ব। জীবনকে অস্বীকার করে পরলোকের কথা ভেবে লাভ নেই- এই সত্য তারা উপলব্ধি করেন

 বৈদিক সভ্যতা সম্পর্কিত MCQ - CliCk Here


ধন্যবাদ

ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। 

 

পরিবেশের বিভিন্ন টপিকগুলি সম্পর্কে জানতে Click Here

প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে - Click Here

মধ্য যুগের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here

আধুনিক ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here

 ভারতের ইতিহাসের পিডিএফ ডিটেইলস পেতে Click Here

 

 বৈদিক সভ্যতা।  ঋকবৈদিক যুগ|পরবর্তী বৈদিক যুগ। The Vedic Culture। Early Vedic Civilization। Rig Vedic Civilization। Later Vedic Civilization। Vedic Period Notes.

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad