Type Here to Get Search Results !

ভারত ছাড়ো আন্দোলন প্রথম পর্ব [Quit India Movement]

 

ভারত ছাড়ো আন্দোলন

Set by- Manas Adhikary 




ভারত ছাড়ো আন্দোলন প্রথম পর্ব। Quit India Movement– I.

ভারত ছাড়ো আন্দোলন, ভারত ছাড়ো আন্দোলন, ভারত ছাড়ো আন্দোলনের কারণ, ভারত ছাড় আন্দোলন, ভারত ছাড়ো আন্দলন, 1942 ভারত ছাড়ো আন্দোলন,ভারত ছাড়ো আন্দোলন 1942, ভারত ছাড়ো আন্দোলন টিকা, 1942 খ্রিস্টাব্দে ভারত ছাড়ো আন্দোলন, 1942 সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলন,  ভারত ছাড়ো আন্দোলন কত সালে হয়, ভারত ছাড়ো আন্দোলন বলতে কি বুঝো, ভারত ছাড়ো আন্দোলন শুরু হয় কেন, ভারত ছাড়ো আন্দোলন বলতে কী বোঝো, ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ফলাফল, Quit India Movement, Quit India Movement 1942, Quit India Movement History, Quit India Movement Class 10 ICSE, Quit India Movement UPSC, Quit India Movement Day, Explain Quit India Movement, 1942 Quit India Movement, Quit India Movement Essay, Mahatma Gandhi Quit India Movement, #Quit India Movement, Indian National Movement.  

নমস্কার, অভিনব  একাডেমিতে আপনাদেরকে স্বাগত জানাই, আজকে আপনাদের জন্য আলোচনা করা  হলো ভারত ছাড়ো আন্দোলন। এই পর্বে থাকছে  ভারত ছাড়ো আন্দোলন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা। পরবর্তী পর্বে এই টপিক থেকে কিছু অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করা হবে।  পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতবর্ষের সমস্ত সরকারি চাকরীর পরীক্ষাতে বা প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য (All Competitive exam: UPSC,WBPSC, WBCS, SLST, WBP SI, WBP  Constable, SSC, PSC, School Service, Railway exam etc) এই টপিকটি খুবই  গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।এছাড়াও আমাদের এই ব্লগে আপনি পেয়ে যাবে Indian History (Ancient, Medieval, Modern), Europe History, Geography, Gk, Bio-logy, Polity, child psychology, Environment Science, Pedagogy ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় গুলি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর। 

ভারত ছাড়ো আন্দোলন সংক্ষিপ্ত আলোচনা । About Quit India Movement.

 

ক্রিপস দৌত্যের ব্যর্থতার পর কংগ্রেসের নেতাদের মনে এক সুস্পষ্ট পরিবর্তন দেখা দেয়। স্বয়ং মহাত্মা গান্ধী ও ইংরেজদের বিব্রত না করার নীতি থেকে সরে এসে ইংরেজদের বিরুদ্ধে সর্বাঙ্গীন সংগ্রামের আহ্বান জানান। হরিজন পত্রিকায় তিনি ইংরেজকে অবিলম্বে ভারত ছেড়ে চলে যেতে বলেন। তিনি বলেন, আমাদের সমস্যার সমাধান আমরা নিজেরাই করব। জাপান যদি ভারত আক্রমন করে তা প্রতিরোধ করব আমরাই। তাছাড়া ইংরেজরা আছে বলে জাপান ভারত আক্রমনে উদ্যত হয়েছে। ইংরেজরা চলে গেলে ভারত নিরাপদ হবে। গান্ধিজীর এই চিন্তাধারা থেকেই 1942 সালের ভারত ছাড়ো আন্দোলনের জন্ম হয়। এই আন্দোলন 'আগষ্ট বিদ্রোহ বা বিয়াল্লিশের আন্দোলন’ নামেও পরিচিত।  

কংগ্রেস কার্যনির্বাহক কমিটি ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রস্তাব অনুমোদন করে 1942 সালের 14 জুলাই ওয়ার্ধায়। কংগ্রেসের 8 আগষ্টের সভায় ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রস্তাবে বলা হয় যে, যদি ইংরেজ  ভারতকে স্বাধীনতা দেয়, তাহলে যুদ্ধে ভারত ইংরেজদেরকে সর্বপ্রকার সাহায্য করবে। আর এই প্রস্তাব যদি ইংরেজ সরকার গ্রহন না করে, তাহলে 1920 সালের চেয়েও প্রবলতর অহিংস আন্দোলন শুরু করবে। এইভাবে 'ভারত ছাড়ো আন্দোলনের' প্রস্তাবটি 8 আগষ্ট বিপুল ভোটাধিক্যে কংগ্রেসে গৃহীত হয়। প্রস্তাবটি গৃহীত হলে গান্ধিজী দৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষনা করেন 'করেঙ্গে ইয়ে মরেঙ্গে'।

ইংরেজ সরকার ও এই বিদ্রোহ দমন করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। সভা শেষ হওয়ার পরেপরেই 9 আগষ্ট সূর্যোদয়ের পূর্বেই গান্ধিজী, সর্দার প্যাটেল, পন্ডিত নেহেরু, মৌলানা আজাদ, আচার্য কৃপালিনী প্রমুখ শীর্ষস্থানীয় কংগ্রেসী নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়। কংগ্রেসকে বেআইনী বলে ঘোষনা করা হয়। এলাহবাদে কংগ্রেসের সদর দপ্তর পুলিশ অধিকার করে নেয়।

এইভাবে বিদ্যুৎ গতিতে আঘাত হেনে নেতাদের গ্রেপ্তার করলেও আন্দোলনের ডাক ব্যর্থ হয়ে যায় নি। বরং দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের অভাবে আন্দোলন অসংযত ও অনিয়ন্ত্রিত আকার ধারন করে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। নেতাদের গ্রেপ্তারের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশ উত্তাল হয়ে ওঠে। সর্বত্র হরতাল, সভা-সমিতি ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হতে থাকে। বোম্বাই, আমেদাবাদ, পুনে, দিল্লী ও উত্তরপ্রদেশের কোন কোন শহরে বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালান। ফলে 11 আগষ্ট থেকে বিদ্রোহের স্বরূপ পাল্টে যায়। অহিংসার পাশাপাশি হিংসা তার নগ্ন রূপ নিয়ে এগিয়ে আসে। দেশের এক বিস্তীর্ণ অঞ্চলে উত্তেজিত জনতা ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েন।

এই আন্দোলন চলাকালে দেশের নানা স্থানে ব্রিটিশ শাসনের আবসান ঘোষনা করে জনতা স্বাধীন সমান্তরাল সরকার গঠন করেছিল। মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলায়, বিহারের বহু অঞ্চলে, উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলায়, বাংলার মেদিনীপুর জেলায় এবং আসামের নওগাঁ জেলায় ঐরকম সমান্তরাল সরকার গঠিত হয়। বিহার ও উত্তরপ্রদেশের বহু জায়গায় জনতার হাতে পুলিশ নিহত হয়, থানা ও সরকারী দপ্তর ভস্মীভূত হয়। মধ্যপ্রদেশের চিমুর ও অতি নামে দুটি জায়গায় জনতা ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে বহু পুলিশ ও অন্যান্য সরকারী কর্মচারী সমেত অনেক সাধারন মানুষ হতাহত হয়। 1942 সালের 29 সেপ্টেম্বর তমলুকে কুড়ি হাজার জনতার এক মিছিল আদালত ভবন অধিকার করার চেষ্টা করলে পুলিশ নির্মমভাবে গুলি চালায়। ঐ গুলিতে নির্ভীক আত্মহুতি দেন বাংলার বীরাঙ্গনা, 73 বছরের বয়স্কা, গান্ধীবুড়ি নিরস্ত্র মাতঙ্গিনী হাজরা। পুলিশের গুলি ও বিমান থেকে বোমা উপেক্ষা করেও সুতাহাটার জনতা থানা দখল করে। মহিষাদলের জনতা থানা দখলের চেষ্টা করলে পুলিশের গুলিতে বহু দেশপ্রেমিক আত্মহুতি দেন। নন্দীগ্রামেও থানা আক্রান্ত হয়। আসামের গোহপুর থানার উপর জাতীয় পতাকা তুলতে গেলে পুলিশের গুলিতে প্রান দেন অসমীয়া কিশোরী কনকলতা বড়ুয়া।

শীর্ষস্থানীয় নেতারা কারারুদ্ধ হলে জনতার মধ্য থেকে অনেক নতুন নেতা এই আন্দোলনকে পরিচালনা করেন। ঐসব নেতাদের মধ্যে জয়প্রকাশ নারায়ন, রামমনোহর লোহিয়া, অরুনা আসফ আলি, অচ্যুৎ পট্টবর্ধন, বিহারের জগলাল চৌধুরী, সিয়ারাম সিং, সুরজনারায়ন সিং, মহারাষ্ট্রের নানা পাতিল, বাংলার অক্ষয়কুমার মুখোপাধ্যায় ও সতীশ সামান্তের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ভারত ছাড়ো আন্দোলন প্রায় দুবছর স্থায়ী হয়েছিল। 1942 সালের 9 আগষ্ট এর সূচনা হয় এবং 1944 সালের 5 মে গান্ধিজীর জেল থেকে মুক্তি পাবার পর এর পরিসমাপ্তি ঘটে।

 

ভারত ছাড়ো আন্দোলন দ্বিতীয় পর্ব (অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর )>>>>

 

ধন্যবাদ

ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। 

 

প্রতি সপ্তাহের মকটেস্টের জন্য নীচে দেওয়া Telegram গ্রুপে জয়েন করতে পারেন

 টেলিগ্রাম গ্রুপ  যোগদান করার জন্য - Click Here

পরিবেশের বিভিন্ন টপিকগুলি সম্পর্কে জানতে Click Here

ইউরোপের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে  - Click Here

প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে - Click Here

মধ্য যুগের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here

আধুনিক ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here

 ভারতের ইতিহাসের পিডিএফ ডিটেইলস পেতে Click Here

 

 ভারত ছাড়ো আন্দোলন, ভারত ছাড়ো আন্দোলন, ভারত ছাড়ো আন্দোলনের কারণ, ভারত ছাড় আন্দোলন, ভারত ছাড়ো আন্দলন, 1942 ভারত ছাড়ো আন্দোলন,ভারত ছাড়ো আন্দোলন 1942, ভারত ছাড়ো আন্দোলন টিকা, 1942 খ্রিস্টাব্দে ভারত ছাড়ো আন্দোলন, 1942 সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলন,  ভারত ছাড়ো আন্দোলন কত সালে হয়, ভারত ছাড়ো আন্দোলন বলতে কি বুঝো, ভারত ছাড়ো আন্দোলন শুরু হয় কেন, ভারত ছাড়ো আন্দোলন বলতে কী বোঝো, ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ফলাফল, Quit India Movement, Quit India Movement 1942, Quit India Movement History, Quit India Movement Class 10 ICSE, Quit India Movement UPSC, Quit India Movement Day, Explain Quit India Movement, 1942 Quit India Movement, Quit India Movement Essay, Mahatma Gandhi Quit India Movement, #Quit India Movement, Indian National Movement.

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad