মহাত্মা গান্ধী
Set by - Manas Adhikary
মহাত্মা গান্ধী ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফর প্রথম পর্ব। Mohandas Karamchand Gandhi Part - I
মহাত্মা গান্ধী। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। মহাত্মা গান্ধীর মায়ের নাম। মহাত্মা গান্ধীর পত্নীর নাম। মহাত্মা গান্ধীর পড়াশোনা। সত্যাগ্রহ।
নমস্কার, অভিনব
একাডেমিতে আপনাদেরকে স্বাগত জানাই, আজকে আপনাদের জন্য আলোচনা
করা
হলো মহাত্মা গান্ধী ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। এই পর্বে থাকছে মহাত্মা গান্ধী ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা। পরবর্তী পর্বে এই টপিক থেকে কিছু অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
নিয়ে আলোচনা করা হবে। পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতবর্ষের সমস্ত সরকারি চাকরীর পরীক্ষাতে বা প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য
(All Competitive exam: UPSC,WBPSC, WBCS, SLST, WBP SI, WBP Constable,
SSC, PSC, School Service, Railway exam etc) এই টপিকটি খুবই
গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।এছাড়াও আমাদের এই ব্লগে আপনি পেয়ে যাবে
Indian History (Ancient, Medieval, Modern), Europe History, Geography, Gk,
Bio-logy, Polity, child psychology, Environment Science, Pedagogy ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় গুলি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।
মহাত্মা গান্ধী ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফর সংক্ষিপ্তরূপ। About Mohandas Karamchand Gandhi.
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। ভারতের জাতির পিতা। যিনি সকলের কাছে মহাত্মা নামে পরিচিত। মহাআত্মা শব্দের অর্থ হল মহান যে আত্মা। দেশের প্রতি তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য তাঁকে মহাত্মা উপাধিতে ভূষিত করা হয়। ভারতের স্বাধীনতার অগ্রদূত, প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, সম্মোহনী রাজনীতির পুরোধা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী বা মহাত্মা গান্ধী 1869 সালে পোরবন্দরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর পিতার নাম ছিল করমচাঁদ গান্ধী। করমচাঁদ গান্ধী পেশায় ছিলেন দেওয়ান। তাঁর মায়ের নাম ছিল পুতলিবাঈ। পুতলিবাঈ ছিলেন তাঁর পিতার চতুর্থ স্ত্রী। মহাত্মা গান্ধী ছোটবেল থেকেই ছিলেন অত্যন্ত মাতৃভক্ত। অপরদিকে তাঁর মাতা ছিলেন একজন একনিষ্ঠ ধর্মানুরাগী। ফলে ছোটবেলা থেকেই মহাত্মা গান্ধী জীবের প্রতি অহিংসা, নিরমিষ ভোজন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও আত্মশুদ্ধির জন্য উপবাস করাকে নিজের মধ্যে রপ্ত করতে শেখেন। মাত্র 13 বছর বয়সে মা-বাবার পছন্দের কস্তুরবাঈ নামে এক 14 বছর বয়সী বালিকার সাথে তাঁর বিবাহ হ এবং তাঁর চারপুত্রসন্তান জন্মগ্রহন করে। বাল্যকালে তিনি পোরবন্দর ও রাজকোটে পড়ালেখা করেছেন। পরবর্তীতে গুজরাটের ভবনগরের সামালদাস কলেজ থেকে মেট্রিকুলেশন পাশ করেন। এরপর 1888 সালে 19 বছর বয়সে পরিবারের ইচ্ছায় ব্যারিষ্টারি পড়তে ইংল্যান্ডে যান এবং সেখানে ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডনে ভর্তি হন। কথিত আছে যে বিলেত যাবার সময় মহাত্মা গান্ধীর মা তাঁকে মাংস, মদ ও নারী এই তিনটি বিষয় থেকে বিরত থাকার শপথ রিয়ে নেন এবং বিলেতে গিয়ে তিনি মায়ের কথা পুরনও করেন। তিনি লন্ডনের যে গুটি কয়েক নিরামিষভোজী দোকান ছিল সেখান হতেই খাবার গ্রহন করতেন। বিলেতে থাকাকালীন তিনি হিন্দুধর্ম নিয়ে ব্যাপকভাবে পড়াশুনা করে হিন্দুধর্ম বিষয়ে পান্ডিত্য অর্জন করেন। এর বাহিরে তিনি ইসলাম ধর্ম, খ্রিষ্টানধর্ম ও বৌদ্ধধর্মে বিশদ জ্ঞান অর্জন করেন। বিলেত থেকে দেশে ফিরে তিনি আবার দক্ষিন আফ্রিকায় চলে যান।1894 সালে গান্ধিজী সেখানে নাটাল ইন্ডিয়ান কংগ্রেস গঠন করেন। এর মাধ্যমে সেখানে ভারতীয়দের ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়। গান্ধিজির তত্ত্বের একটি অন্যতম প্রধান নীতি হল সত্যাগ্রহ। পণ্ডিতদের মতে, সত্য প্রতিষ্ঠায় যিশুর আত্মত্যাগ, গৌতম বুদ্ধের অহিংসা ও প্রেমের বাণী এবং রাস্কিন, থোরো ও টলস্টয়ের চিন্তাধারার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে গান্ধিজি সত্যাগ্রহ- সম্পর্কিত ধারণাটি গড়ে তোলেন।
সত্যাগ্রহ কথাটির আক্ষরিক অর্থ হল সত্যের প্রতি আগ্রহ । পণ্ডিতরা গান্ধিজির সত্যাগ্রহকে ব্রিটিশরাজের বিপক্ষে চালিত রাজনৈতিক সংগ্রামের এক কৌশল বলে আখ্যা দিয়েছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রান্সভালে এশীয়দের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আইনকানুন জারি করা হয়েছিল।1897 সাল থেকে এই সমস্ত আইনকানুন, অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়ে যায়। 1906 সালের 22 আগষ্ট এ সংক্রান্ত আইনের এক খসড়া সংশোধনী (ড্রাফট্ এশিয়াটিক ল অ্যামেন্ডমেন্ট) বলা হয় প্রতিটি ভারতীয়কে বাধ্যতামূলকভাবে নিবন্ধকের শংসাপত্র নিতে বলা হয়। অন্যথায় তাদের জরিমানা, কারাবাস এমনকি দেশান্তরে পাঠানোরও বিধান দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে1906 সালের 11 সেপ্টেম্বর প্রতিবাদের পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করার জন্য জোহানেস্বার্গের এম্পায়ার থিয়েটারে প্রায় তিন হাজার ভারতীয় জমায়েত হন। সভায় হাজি হাবিব নামক জনৈক ব্যক্তি উঠে বলেন এই বিল পাস হলে কারাবরণ করে অহিংসভাবে তিনি প্রতিবাদ জানাবেন। তাঁর এই কথার মধ্যেই এক নতুন আলো দেখতে পান গান্ধীজী। অন্যায়কারী বা প্রতিপক্ষের ক্ষতি না করে, সত্য ও ন্যায়বিচারের প্রতি অটল বিশ্বাস রেখে সংগ্রাম এবং প্রতিরোধের এক নতুন পথ খুঁজে পেলেন গান্ধীজী। 'ইন্ডিয়ান ওপিনিয়ন' -এর পাতায় এই সংগ্রামের এক উপযুক্ত নাম চাইলেন সবার কাছে। গান্ধীজীর ভ্রাতুপুত্র মগনলাল গান্ধী ন্যায়বিচারের প্রতি এই আনুগত্যের নাম দেন 'সদাগ্রহ'। গান্ধীজী পরে এই নাম একটু পরিবর্তন করে রাখলেন 'সত্যাগ্রহ'। এইভাবেই জন্ম নিল অহিংস প্রতিরোধের এক যুগান্তকারী পন্থা। হিংসা, অশান্তি ও বিরোধে দীর্ণ এই পৃথিবীকে মানবিক সংগ্রাম তথা সর্বজনের কল্যাণসাধনের এই একমাত্র হাতিয়ার তুলে দিয়েছিলেন গান্ধীজী।
মহাত্মা গান্ধী ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফর দ্বিতীয় পর্ব (অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর) >>>>
ধন্যবাদ
ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
প্রতি সপ্তাহের মকটেস্টের জন্য নীচে দেওয়া Telegram গ্রুপে জয়েন করতে পারেন
টেলিগ্রাম গ্রুপ এ যোগদান করার জন্য - Click Here
পরিবেশের বিভিন্ন টপিকগুলি সম্পর্কে জানতে Click Here
ইউরোপের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে - Click Here
প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে - Click Here
মধ্য যুগের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here
আধুনিক ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here
ভারতের ইতিহাসের পিডিএফ ডিটেইলস পেতে Click Here
মহাত্মা গান্ধী। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। মহাত্মা গান্ধীর মায়ের নাম। মহাত্মা গান্ধীর পত্নীর নাম। মহাত্মা গান্ধীর পড়াশোনা। সত্যাগ্রহ।