জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড
Set by- Manas Adhikary
জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড প্রথম পর্ব। Jallianwala Bagh Massacre– I
জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড। সত্যপাল চৌধুরী। সৈফুদ্দিন কিচলু। মাইকেলও ডায়ার। সন্ধ্যা আইন। হান্টার কমিটি। হান্টার কমিশন। হান্টার কমিটির রিপোর্ট। ইনডেমনিটি বিল। নেহেরু কমিশন।
নমস্কার, অভিনব একাডেমিতে আপনাদেরকে স্বাগত জানাই, আজকে আপনাদের জন্য আলোচনা করা হলো জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড। এই পর্বে থাকছে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা। পরবর্তী পর্বে কিছু অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলচনা করা হবে। পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতবর্ষের সমস্ত সরকারি চাকরীর পরীক্ষাতে বা প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য (All Competitive exam: UPSC,WBPSC, WBCS, SLST, WBP SI, WBP Constable, SSC, PSC, School Service, Railway exam etc) এই টপিকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।এছাড়াও আমাদের এই ব্লগে আপনি পেয়ে যাবে Indian History (Ancient, Medieval, Modern), Europe History, Geography, Gk, Bio-logy, Polity, child psychology, Environment Science, Pedagogy ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় গুলি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।
জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড সংক্ষিপ্তরূপ । About Jallianwalabagh Massacre.
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর 1919 সালে বিচারপতি সিডনি রাওলাটের নেতৃত্বে ৫ জন সদস্য বিশিষ্ট একটি একটি ব্রিটিশ সরকার ভারতে নিয়োগ করে এই কমিশন রাওলাট কমিশন বা সিডনি কমিশন নামে পরিচিত। 1919 সালে কুখ্যাত ও দমনমূলক রাওলাট আইন পাশ হলে এই আইনের বিরুদ্ধে সারা দেশে তীব্র প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে উঠতে থাকে। এর মধ্যে পাঞ্জাবে রাওলাট আইন সহ ব্রিটিশ সরকারের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন ব্যাপক আকার ধারন করে। ফলে সবচেয়ে করুন পরিনতি ঘটে জালিয়ানওয়ালা বাগের হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে। রাওলাট আইনের প্রতিবাদের জন্য পিপলস কমিটি নামক একটি সংগঠন লাহোর ও অমৃতসরে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে। রাওলাট আইন বিরোধী আন্দোলন অমৃতসরে প্রবল হয়ে উঠলে সেখানকার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইকেল ও ডায়ারের নেতৃত্বে সামরিক বাহিনীর হাতে অমৃতসরের শাসনভার তুলে দেওয়া হয়। সেখানে সামরিক আইন জারি করে শহরে জনসভা ও সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।কিন্তু অনেক মানুষ এই সিদ্ধান্তের কথা জানতেন না। এই অবস্থায় সরকার1919 সালের 10 এপ্রিল অমৃতসরের স্থানীয় দুই নেতা ডঃ সত্য পাল ও সৈফুদ্দিন কিচলুকে হিংসায় মদত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করলে জনতা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। ওই দিনই দুপুরে দিল্লির অদুরে পালওয়াল স্টেশানে গান্ধিজীকে গ্রেপ্তার করা হলে লাহোরে জনতা হরতাল করে। জালিয়ানওয়ালাবাগের পার্কে সেদিন অনেকে এসছিলেন রাজনৈতিক একটি সভায় যোগ দিতে। বেশ কিছু শিখ তীর্থযাত্রিও উপস্থিত ছিলেন বৈশাখী পূর্নিমা নামক ধর্মীয় উৎসবে যোগ দিতে। সিনিয়র অফিসার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজিনাল ডায়ার খবর পেলেন শহরের জালিয়ানওয়ালাবাগে বিক্ষোভের জন্য মানুষজন জড়ো হচ্ছে। সাথে সাথে তিনি একদল সৈন্য নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে গেলেন। সেখানে গিয়ে পার্ক থেকে বাইরে বেরোনোর পথ সব বন্ধ করে দিয়ে তিনি গুলির নির্দেশ দেন। প্রায় 10 মিনিট ধরে 1650 রাউন্ড গুলি চালানোর পর তিনি সেনা সদর দপ্তরে ফিরে যান এবং সন্ধ্যা আইন (কারফিউ) বলবৎ করেন। ঐ হত্যাকান্ড নিয়ে ব্রিটিশ সরকার পরে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে। তার রিপোর্টে নিহতের সংখ্যা বলা হয় 379 জন। কংগ্রেসের তরফ থেকে এই হত্যাকান্ডের জন্য নিযুক্ত নেহেরু কমিশন রিপোর্টে হতাহতের সংখ্যা ১০০০ এরও উপরে ছিল। ডায়ার ব্রিটেনে ফিরে এলে তাকে দামি পাথর খচিত তরবারি উপহার দেওয়া হয়েছিল যাতে খোদাই করা ছিল পাঞ্জাবের রক্ষাকর্তা। 1920 সালের মার্চে ডায়ারকে পদতাগ করতে বলা হয়। পরে একসময় তিনি নিজেও তার কাজের জন্য অনুশোচনা করতেন। 1927 সালে উথম সিং ইংল্যান্ডের সামারসেটে তাকে গুলি করে হত্যা করেন।
জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড দ্বিতীয় পর্ব>>>>
ধন্যবাদ
ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
প্রতি সপ্তাহের মকটেস্টের জন্য নীচে দেওয়া Telegram গ্রুপে জয়েন করতে পারেন
টেলিগ্রাম গ্রুপ এ যোগদান করার জন্য - Click Here
পরিবেশের বিভিন্ন টপিকগুলি সম্পর্কে জানতে Click Here
ইউরোপের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে - Click Here
প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে - Click Here
মধ্য যুগের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here
আধুনিক ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here
ভারতের ইতিহাসের পিডিএফ ডিটেইলস পেতে Click Here
জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড। সত্যপাল চৌধুরী। সৈফুদ্দিন কিচলু। মাইকেলও ডায়ার। সন্ধ্যা আইন। হান্টার কমিটি। হান্টার কমিশন। হান্টার কমিটির রিপোর্ট। ইনডেমনিটি বিল।নেহেরু কমিশন।