Type Here to Get Search Results !

শ্রী অরবিন্দ [Sri Aurobindo]

 

শ্রী অরবিন্দ   

Set by- Manas Adhikary 




শ্রী অরবিন্দ  প্রথম পর্ব Sri Aurobindo Part – I 

শ্রী অরবিন্দ। বন্দেমাতরম পত্রিকা। The Doctrine of Passive ResistanceNew Lamps for Old। ইন্দুপ্রকাশ। ঠাকুরসাহেব গুপ্ত সমিতি।

নমস্কার, অভিনব  একাডেমিতে আপনাদেরকে স্বাগত জানাই, আজকে আপনাদের জন্য আলোচনা   করা  হলো ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের কংগ্রেসের অন্যতম চরমপন্থী ব্যক্তিত্ব শ্রী অরবিন্দ । এই পর্বে থাকছে  শ্রী অরবিন্দ সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও কিছু অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।  পরবর্তী পর্বে আরও কিছু অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলচনা করা হবে।   পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতবর্ষের সমস্ত সরকারি চাকরীর পরীক্ষাতে বা প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য (All Competitive exam: UPSC,WBPSC, WBCS, SLST, WBP SI, WBP  Constable, SSC, PSC, School Service, Railway exam etc) এই টপিকটি খুবই  গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।এছাড়াও আমাদের এই ব্লগে আপনি পেয়ে যাবে Indian History (Ancient, Medieval, Modern), Europe History, Geography, Gk, Bio-logy, Polity, child psychology, Environment Science, Pedagogy ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় গুলি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর। 

শ্রী অরবিন্দ সংক্ষিপ্তরূপ ও অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর । About Sri Aurobindo & MCQ.     

 
 

অরবিন্দ ঘোষ যিনি পরবর্তিতে শ্রী অরবিন্দ নামে সারা বিশ্বে বিখ্যাত হয়েছিলেন, সেই শ্রী অরবিন্দ প্রথম জীবনে ছিলেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব দেশপ্রেমিক এবং পরবর্তিতে তিনি হয়ে ওঠেন আধ্যাত্বিক দার্শনিক শ্রীঅরবিন্দ। 1872 সালের 15 আগষ্ট কলকাতার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তাঁর জন্ম হয়। তাঁর পিতা ছিলেন কৃষ্ণধন ঘোষ মাতা ছিলেন স্বর্নলতা দেবী। তাঁর মাতামহ ছিলেন স্বনামধন্য চিফ মেডিকেল অফিসার রাজনারায়ন বসু। বাবা কৃষ্ণধন চেয়েছিলেন ছেলে আদ্যপান্ত সাহেব হয়ে উঠক। সাধারন ভারতীয়দের মত হতভাগ্যের শিকার যাতে না হয় তাঁর সন্তান তাই শিশুকাল থেকেই শ্রী অরবিন্দকে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন এমন এক পরিবেশে যাতে ভারতীয়ত্বের ছোঁয়াচ না লাগে। তিনি বিশ্বাস করতেন জন্ম হোক যথা তথা, কর্ম হোক সাহেবি' এই ইচ্ছা তাঁর মনে এতটাই প্রবল ছিল যে শ্রী অরবিন্দের মিডল নেম রেখেছিলেন অ্যাক্রয়েড। দার্জিলিংএর লারেটো হাউস নামে এক আইরিশ স্কুলে কিছুদিন পড়াশুনা করার পর মাত্র সাত বছর বয়সে তাঁকে লন্ডনের সেন্ট পলস স্কুলে ভর্তি করানো হয়। ম্যানচেস্টারে রেভারেন্ড WH ড্রেওয়েটের তত্ত্বাবধানে ল্যাটিন গ্রিক ইটালিয়ান ফ্রেঞ্চ অঙ্ক এবং ভুগোল বিষয়ে শিক্ষা গ্রহন করেছিলেন। তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্ল্যাসিক্যাল টাইপস (পার্ট ওয়ান) পরীক্ষার উচ্চ প্রথম শ্রেনীতে পাস করেন এবং সকল ক্লাসিক পুরস্কারগুলি লাভ করেন। ICS পরীক্ষার জন্য তিনি কেমব্রিজের কিংস কলেজেও পড়াশুনা করেছিলেন। দেশে ফিরে তিনি বরোদা কলেজে অধ্যাপকের পদে নিযুক্ত হন। এই কলেজে তিনি ফরাসি ভাষার শিক্ষক হিসাবে বহুদিন কাজ করেন। এখানেই তিনি বাংলা সংস্কৃত শিখেছেন এবং ভারতীয় সংস্কৃতির প্রেমে আবদ্ধ হয়েছেন। পরে এই কলেজের উপাধ্যক্ষ পরে অধ্যক্ষ হন।

শ্রী অরবিন্দ ছিলেন একজন চরমপন্থী মতবাদের সমর্থক। তাঁর রাজনৈতিক মতাদর্শে জাতীয়তাবাদ বলতে বোঝাত জাতীয় জীবনের পরিপূর্নতা, প্রাচীন ভারতীয় আদর্শ মেনে জনগণের আত্মত্মস্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা। অরবিন্দের কাছে দেশ ছিল মৃন্ময়ী নয়, দেশ ছিল চিন্ময়ী্রুপি, অর্থাৎ রক্ত মাংসের মাতৃস্বরূপা। শ্রী অরবিন্দ মনে করতেন যে দেশপ্রেম হল সর্বোত্তম ধর্ম। বন্দেমাতরম পত্রিকায় তিনি লেখেন-  স্বরাজ হল বর্তমান অবস্থায় প্রাচীন ভারতীয় আদর্শকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা, সত্য যুগের জাতীয় গৌরবকে পুনরুদ্ধার করা এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বেদান্তের আদর্শকে প্রচার করা।' তিনি বিশ্বাস করতেন- স্বাধীনতা জাতির প্রানবায়ু, তা কখনো ভিক্ষার দ্বারা অর্জন করা যায় না।

বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে স্বদেশি আন্দোলন শুরু হলে অরবিন্দ নিস্ক্রিয় প্রতিরোধের পদ্ধতিরূপে জাতিকে বয়কট নীতি গ্রহনের আহ্বান জানান। বন্দেমাতরম পত্রিকায় ‘The Doctrine of Passive Resistance’ নামক প্রবন্ধে তিনি স্বদেশী আন্দোলনের রূপায়ন পদ্ধতির ওপর নিজের মত প্রকাশ করেন। ইংরেজের পন্য বয়কট, সরকারি বিদ্যালয় বর্জন, শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সরকারি কর্তৃপক্ষের মুখপেক্ষিতা বর্জন এবং কর খাজনা দান বন্ধ করা- এটাই ছিল অরবিন্দের সংগ্রামের পদ্ধতি। স্বদেশি আন্দোলনে তাঁর উজ্জ্বল ভুমিকার জন্য তিনি প্রথম সারির নেতারূপে পরিচিতি পান। লর্ড কার্জন বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত ঘোষনা করলে শ্রী অরবিন্দ বলেন ‘মায়ের বুকের ওপর বসে যদি একটা রাক্ষস রক্তপান করতে উদ্যত হয় তখন ছেলে কি করবে? নিশ্চিন্ত মনে খেতে বসবে? স্ত্রী-সন্তানাদির সঙ্গে স্ফুর্তি করতে বসবে? না মাকে উদ্ধা করতে ছুটে যাবে?’

মাত্র ১৪ বছর বয়সে শ্রী অরবিন্দ মাতৃভূমির শৃঙ্খলমোচনের স্বপ্ন দেখতেন। পরবর্তীতে তিনি রাজনীতিতে যোগদান করে মেদিনীপুর, ঢাকা, খুলনাসহ বেশ কিছু জায়গায় গুপ্ত সমিতি গড়ে তোলার কাজে ব্রতী হন। তাঁর নির্দেশেই সহোদর বারীন্দ্রকুমার ঘোষ ও যতীন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় বরোদা থেকে কলকাতায় এসে বাংলায় বিভিন্ন গুপ্ত সমিতি ও বিপ্লবী দলগুলির সাথে যোগাযোগ গড়ে তুলতে শুরু করেন। তাঁর পরামর্শ মেনেই মানিকতলার বাগানবাড়িতে যুগান্তর দলের প্রধান কর্মকেন্দ্রটি গড়ে ওঠে। বন্দেমাতরম পত্রিকায় তিনি লেখেন- 'স্বাধীনতা ও স্বাধিকার মানুষের সহজাত অধিকার।' 1908 সালে কলকাতার মানিক তলায় মুরারি পুকুর বাগানবাড়িতে বোমা তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়ে পুলিশ অরবিন্দসহ মোট 37 জন বিপ্লবীকে গ্রেফতার করে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে আটকে রেখে আলিপুর বোমা মামলা শুরু করেন। মামলা চলাকালীন শ্রী অরবিন্দ দীপ্তকণ্ঠে বলেছিলেন 'স্বাধীনতার আদর্শ প্রচার করা কারও পক্ষে কোন অপরাধ নয়। এই মামলায় বিপ্লবীদের হয়ে কেস লড়েন চিত্তরঞ্জন দাশ। চিত্তরঞ্জন দাশের দক্ষ ওকালতিতে শ্রী অরবিন্দ বেকসুর মুক্তি পান। আলিপুর বোমা মামলা থেকে মুক্ত হয়ে অরবিন্দ রাজনৈতিক জীবন থেকে অবসর নেন। ভারতীয় রাজনীতির সঙ্গে সমস্তরকম সম্পর্ক ছিন্ন করে ভারতাত্মার শান্ত কামনায় ও দিব্যজীবনের সাধনায় তিনি দক্ষিন ভারতের পন্ডিচেরীতে আধ্যাত্মিক সাধনায় নিমগ্ন হন।

শ্রী অরবিন্দ বন্দেমাতরম পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন এবং বন্দেমাতরম পত্রিকায় নিয়মিতভাবে লিখতেন। একসময় বন্দেমাতরম পত্রিকার কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্বাধীনতার প্রশ্নে সম্পাদকীয়তে লেখা নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিলে তিনি বন্দেমাতরম পত্রিকা থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। পরে তিনি কে জি দেশপান্ডে সম্পাদিত ‘ইন্দুপ্রকাশ' পত্রিকাতে New Lamps for Old শীর্ষক প্রবন্ধমালায় কংগ্রেসের ত্রুটি বিচ্যুতি ও তার সংশোধনের উপায় নিয়ে লেখালেখি করেছিলেন। পন্ডিচেরীতে থাকার সময় তিনি আর্য নামক পত্রিকার সম্পাদকরূপে আধ্যাত্মিক বিষয় নিয়ে লিখতেন।

 

প্রশ্নোত্তর পর্ব

১) অরবিন্দ ঘোষ কোথায় জন্মগ্রহন করেন?

- কলকাতায়

২) অরবিন্দ ঘোষ কবে জন্মগ্রহন করেন?

- 1872 সালে 5 আগষ্ঠ

৩) অরবিন্দ ঘোষের পিতার নাম কী?

- বিখ্যাত চিকিৎসক কে ডি ঘোষ

৪) অরবিন্দ ঘোষের মাতামহের নাম কী?

- রাজনারায়ন বসু

৫) অরবিন্দ ঘোষ কোথায় পড়াশুনা করতেন?

- দার্জিলিং এর সেন্টপলস স্কুলে

৬) তিনি কোথা থেকে ট্রাইপস পাশ করেন?

- কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে (1892)

৭) অরবিন্দ ঘোষ সিভিল সার্ভিসে কত নম্বর স্থান দখল করেন?

- দশম

৮) তিনি প্রথম কোথায় চাকুরী গ্রহন করেন?

- বরোদার গায়কোয়াড় কলেজে উপাধ্যক্ষের পদে আসীন হন।

৯) অরবিন্দ ঘোষ বরোদার গায়কোয়াড় কলেজে উপাধ্যক্ষের পদে আসীন থাকাকালীন কতটাকা বেতন নিতেন?

 - 750 টাকা

 ১০) বরোদার কোন বিপ্লবী নেতার সংস্পর্শে এসে বিপ্লবী মন্ত্রে দীক্ষিত হন?

- মহারাষ্ট্রের গুপ্ত বিপ্লবী সংস্থার নেতা ঠাকুর সাহেবের

 

শ্রী অরবিন্দ দ্বিতীয়  পর্ব>>>>   

 

ধন্যবাদ

ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। 

 

প্রতি সপ্তাহের মকটেস্টের জন্য নীচে দেওয়া Telegram গ্রুপে জয়েন করতে পারেন

 টেলিগ্রাম গ্রুপ  যোগদান করার জন্য - Click Here

পরিবেশের বিভিন্ন টপিকগুলি সম্পর্কে জানতে Click Here

ইউরোপের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে  - Click Here

প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে - Click Here

মধ্য যুগের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here

আধুনিক ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here

 ভারতের ইতিহাসের পিডিএফ ডিটেইলস পেতে Click Here

 

শ্রী অরবিন্দ। বন্দেমাতরম পত্রিকা। The Doctrine of Passive ResistanceNew Lamps for Old। ইন্দুপ্রকাশ। ঠাকুরসাহেব গুপ্ত সমিতি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad