Type Here to Get Search Results !

অনুশীলন সমিতি প্রথম পর্ব [Anushilan Samiti ]

 

অনুশীলন সমিতি

Set by – Manas Adhikary

সভা ও সমিতির যুগ  নবম  পর্ব।

অনুশীলন সমিতি। ব্যায়াম সমিতি। যুগান্তর পত্রিকা। ঢাকা অনুশীলন সমিতি। সতীশ চন্দ্র বসু। প্রমথনাথ মিত্র। পুলিনবিহারী দাস। বড়রা ডাকাতি। 

 

নমস্কার, অভিনব  একাডেমিতে আপনাদেরকে স্বাগত জানাই, আজকে আপনাদের জন্য আলোচনা   করা  হলো ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের সভা ও সমিতি নবম পর্ব। এই পর্বে থাকছে  অনুশীলন সমিতি  সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত আলচনা । পরবর্তী পর্বে এই টপিক থেকে কিছু অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নউত্তর  নিয়ে আলচনা করা হবে।  পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতবর্ষের সমস্ত সরকারি চাকরীর পরীক্ষাতে বা প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য (All Competitive exam: UPSC,WBPSC, WBCS, SLST, WBP SI, WBP Constable, SSC, PSC, School Service, Railway exam etc) এই টপিকটি খুবই  গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।এছাড়াও আমাদের এই ব্লগে আপনি পেয়ে যাবে Indian History (Ancient, Medieval, Modern), Europe History, Geography, Gk, Bio-logy, Polity, child psychology, Environment Science, Pedagogy ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় গুলি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা  সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

অনুশীলন সমিতি প্রথম  পর্ব। About Anushilan Samiti . 

 

 

অনুশীলন সমিতি ছিল বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অনুশীলন সত্ত্বের আদর্শে গঠিত বাংলার প্রথম সশস্ত্র ব্রিটিশ বিরোধী সংগঠন। 1901-02 খ্রিষ্টাব্দে কলাকাতায় এই সংগঠনটি গড়ে ওঠে। এর প্রধান সংগঠক ব্যরিষ্টার প্রমথনাথ মিত্র 1901 সালে নিখিল বঙ্গ বৈপ্লবিক সমিতি গঠন করার উদ্যোগ গ্রহন করেন। প্রায় একই সময়ে অরবিন্দ ঘোষ একটি গুপ্ত বিপ্লবী দল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এই উদ্দেশ্যকে সফল করার জন্য তিনি যতীনন্দ্রমোহন বন্দোপাধ্যায়কে কলকাতায় পাঠান। 1902 সালে ব্যারিষ্টার প্রমথনাথ মিত্র কলকাতায় বিপ্লবী দল হিসাবে ‘অনুশীলন সমিতি' স্থাপন করেন এবং এই অনুশীলন সমিতির স্থাপনের কথা যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় অরবিন্দ ঘোষকে জানান। অরবিন্দ ঘোষ যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেন তাঁর অনুগামীরা যেন ‘অনুশীলন সমিতি' তে যোগদান করে। ধীরে ধীরে এই সংগঠনের সাথে কলকাতার ছোট ছোট ক্লাব ও সংঘঠনগুলি যোগদান করতে থাকে। সংগঠনের কার্যক্রম সুচারুভাবে পরিচালনা করার জন্য একটি পরিচালন পরিষদ গঠন করা হয়। এর সভাপতি ছিলেন প্রমথনাথ মিত্র, সহ-সভাপতি ছিলেন চিত্তরঞ্জন দাশ ও অরবিন্দ ঘোষ এবং  সমিতির কোষাধ্যক্ষ ছিলেন সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

প্রথমাবস্থায় এই দলের অন্যতম মন্ত্রনাদাতা ছিলেন সতীশচন্দ্র বসু ও অরবিন্দ ঘোষ। পরবর্তী সময়ে এই সংগঠনের সাথে যুক্ত হন বিপিনচন্দ্র পাল, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, হেমচন্দ্র মল্লিক, সরলাদেবী, ভুপেন্দ্রনাথ দত্ত, গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।

প্রথমদিকে এই সমিতির কার্যকলাপ শরীরচর্চার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও, পরে সেনাবাহিনীর মতো করে একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীতে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এই সমিতিতে আগত যুবকদের অস্ত্র চালানার প্রশিক্ষন দেওয়া হয়। পরে এদের নিয়ে তৈরি করা হয়, জাতীয় স্বেচ্ছা সৈন্যবাহিনী।

ঢাকার ন্যাশনাল স্কুলে অনুশীলন সমিতির একটি শাখা খোলা হয়। ঢাকা শাখার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন পুলিনবিহারী দাস ও অন্যতম সংগঠক ছিলেন আনন্দ চন্দ্র চক্রবর্তী।

অনুশীলন সমিতির কালানুক্রমিক কার্যক্রমঃ-

1901-02 সাল : - কলকাতায় এই সমিতি গড়ে ওঠে।

1905 সালঃ- লর্ড কার্জনের বঙ্গভঙ্গ সিদ্ধান্তকে বাতিল করতে সশস্ত্র সংগ্রাম করে ।

1906 সালঃ- এপ্রিল মাসে সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘যুগান্তর' প্রকাশিত হয়। এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন ভুপেন্দ্রনাথ দত্ত।

সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকার ন্যাশনাল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পুলিনবিহারী দাসের নেতৃত্বে 80 (আশি) জন হিন্দু যুবক ঢাকা অনুশীলন সমিতি

গঠন করেন।

1907 সালঃ- 6 ডিসেম্বর নব প্রতিষ্ঠিত পূর্ববাংলা ও আসাম প্রদেশের লেফটেন্যান্ট গভর্নর ট্রেনে ভ্রমনে বের হলে অনুশীলন সমিতির সদস্যরা সেটিকে বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।

23 ডিসেম্বর অণুশীলন সমিতির সদস্যরা ঢাকার প্রাক্তন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিস্টার অ্যালেনকে হত্যা করার চেষ্টা করেন।

1908 সালঃ- অনুশীলন সমিতির সদস্য প্রফুল্ল চাকী ও ক্ষুদিরাম ডগলাস কিংসফোর্ডকে হত্যা করার ব্যর্থ প্রয়াস করায় ভুলক্রমে দুজন শ্বেতাঙ্গ মিসেস ও মিস কেনেডিকে হত্যা করেন। প্রফুল্ল চাকী পুলিশের হাতে ধরা দেবে না বলে আত্মহত্যা করেন এবং ক্ষুদিরাম ধরা পড়লে ফাঁসি হয়। এই ঘটনার জের কলকাতার মানিকতলায় অনুশীলন সমিতির একটি বোমা

তৈরীর কারখানা পুলিশের কাছে ধরা পড়ে। এটি আলিপুর বোমা মামলা নামে পরিচিত।

1909-10 সালঃ- আলিপুর বোমা মামলরা সুত্রে পুলিশ ব্যাপক ধরপাকড় চালায়। এর ফলে সমিতিতে সাময়িক বিভাজন দেখা দেয়। এই সময় বারীন্দ্রকুমার ঘোষ ও ভুপেন্দ্রনাথ দত্ত অনুশীলন সমিতির নাম পরিবর্তন করে রাখেন যুগান্তর দল। এই বৈপ্লবিক কর্মকান্ডের কেন্দ্র পূর্ববঙ্গে স্থানান্তরিত করা হয়। ঢাকা অনুশীলন সমিতি দ্রুত প্রসারতা পায়।

1913 সালঃ- 14 ডিসেম্বর অতীন্দ্রমোহন রায়ের পরিকল্পনায় কুমিল্লার ম্যাজিস্ট্রেট স্টিভেন্সকে হত্যা করেন অষ্টম শ্রেনির শান্তি ঘোষ ও সুনীতি চৌধুরী। 

 

 

 

অনুশীলন সমিতি  দ্বিতীয় পর্ব >>>>

 

ধন্যবাদ

ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। 

 

প্রতি সপ্তাহের মকটেস্টের জন্য নীচে দেওয়া Telegram গ্রুপে জয়েন করতে পারেন

 টেলিগ্রাম গ্রুপ  যোগদান করার জন্য - Click Here

পরিবেশের বিভিন্ন টপিকগুলি সম্পর্কে জানতে Click Here

ইউরোপের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে  - Click Here

প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে - Click Here

মধ্য যুগের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here

আধুনিক ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here

 ভারতের ইতিহাসের পিডিএফ ডিটেইলস পেতে Click Here

 

 অনুশীলন সমিতি। ব্যায়াম সমিতি। যুগান্তর পত্রিকা। ঢাকা অনুশীলন সমিতি। সতীশ চন্দ্র বসু। প্রমথনাথ মিত্র। পুলিনবিহারী দাস। বড়রা ডাকাতি।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad