Type Here to Get Search Results !

নানা সাহেব [Nana Saheb]

 

নানাসাহেব 

Set by - Manas Adhikary

 সিপাহী বিদ্রোহের নেতৃত্ববর্গ।  The Leaders of the Sepoy Mutiny.

নানাসাহেব। নানাসাহেবের আসল নাম। সিপাহী বিপ্লবের অগ্রদূত। আজিমুল্লাহ খান। সম্রাট বাহাদুর শাহের গভর্নর। বিবিঘর হত্যাকাণ্ড। স্যার হুইলার। সতীচৌরা ঘাটের ঘটনা।


নমস্কার, অভিনব  একাডেমিতে আপনাদেরকে স্বাগত জানাই।  আজকে আপনাদের জন্য আলোচনা করা হলো সিপাহী বিদ্রোহের বিশিষ্ট নেতৃত্ব নানাসাহেব।  এই পর্বে থাকছে নানাসাহেব সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও  কিছু অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন। পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতবর্ষের সমস্ত সরকারি চাকরীর পরীক্ষাতে বা প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য (All Competitive exam: UPSC,WBPSC, WBCS, SLST, WBP SI, WBP Constable, SSC, PSC, School Service, Railway exam etc) এই টপিকটি খুবই  গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

এছাড়াও আমাদের এই ব্লগে আপনি পেয়ে যাবে Indian History (Ancient, Medieval, Modern), Europe History, Geography, Gk, Bio-logy, Polity, child psychology, Environment Science, Pedagogy ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় গুলি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর। 

 নানাসাহেব সংক্ষিপ্তরূপ ও অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর। About Nanasaheb And MCQ.

 

নানাসাহেবের আসল নাম ছিল গোবিন্দ ধন্দুপন্থ। তিনি ছিলেন দ্বিতীয় বাজিরাও এর দত্তক পুত্র। তৃতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধে পরাজিত হয়ে পেশোয়া দ্বিতীয় বাজিরাও কোম্পানির বৃত্তিভোগী হয়ে কানপুরের কাছে বিঠোরে নির্বাসিত হন। ১৮৫১ সালে দ্বিতীয় বাজিরাও এর মৃত্যু হলে ব্রিটিশ সরকার স্বত্ববিলোপ নিতির মাধ্যমে তাঁর দত্তক পুত্র নানাসাহেবকে বৃত্তি দিতে অস্বীকার করে। তখন নানাসাহেব তাঁর উপদেষ্টা এবং রাজনীতিবিদ আজিমুল্লা খানকে ইংল্যান্ডে পাঠান বৃত্তি প্রদানের প্রার্থনা নিয়ে। কিন্তু এই কাজে আজিমুল্লা ব্যর্থ হন। এইসময় তিনি কানপুরে সিপাহী বিদ্রোহের সিপাহীদের সাথে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে অংশগ্রহন করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। তাঁর সেনাপতি ছিলেন তাঁতিয়া টোপী। সিপাহী বিদ্রোহের বিদ্রোহীরা নানাসাহেবকে পেশোয়া হিসাবে ঘোষনা করে। নানা সাহেবকে গোরিলা যুদ্ধে সাহায্য করেন তাঁতিয়া টোপী এবং রাজনৈতিক প্রচারে সাহায্য করেন আজিমুল্লাহ খান। সিপাহী বিদ্রোহ চলাকালীন কানপুরের কমান্ডিং অফিসার হুইলার সিপাহীদের দ্বারা ছাউনীতে বেশকিছুদিন অবরুদ্ধ হয়েছিলেন। কয়েকসপ্তাহ অবরুদ্ধ থাকার পর আত্মসমর্পন করতে সম্মত হন। কিন্তু তিনি শর্ত দেন যে ইউরোপীয় শিশু এবং মহিলাদের সুরক্ষার দায়িত্ব নানাসাহেকে নিতে হবে এবং তাদেরকে সুরক্ষিত অবস্থায় নিরাপদে এলাহবাদে যেতে দিতে হবে। নানাসাহেব ও এই চুক্তিতে রাজী হয়ে ইংরেজদের নিরাপদে কানপুর ছেড়ে দিয়ে এলাহাবাদে যাবার প্রতিশ্রুতি দেন। সেই অনুযায়ী ২৭ জুন সকালে সতীচৌরা নামক গঙ্গানদীর ঘাটে চল্লিশটি নৌকা জড়ো করে ইংরেজরা কানপুর ছেড়ে যাবার উদ্যোগ নেন। কিন্তু পথিমধ্যে বিদ্রোহীরা তাদের নৌকার উপর আক্রমন চালিয়ে হুইলার সহ বেশীরভাগ ব্রিটিশদেরকে হত্যা করেন। একে সতীচৌরা ঘাটের ঘটনা বলা হয়। এই ঘটনায় যারা বেঁচে যান তাদেরকে কানপুরের বিবিঘরে রাখা হয়। এছড়া নানা সাহেব আরও কিছু যুদ্ধবন্দী শিশু ও মহিলা সহ ২০০ জনকে বিবিঘরে বন্দি করে রাখেন।

এইসময় জেনারেল হেনরী হ্যাভলকের নেতৃত্বে বিরাট বাহিনী কানপুরের উদ্দেশেং যাত্রা করে। বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে নানাসাহেব প্রতিরোধ ও বিবিঘরে বন্দীদের নিয়ে হ্যাভলকের সাথে দরকষাকষি করলেও তা বিফলে যায়। শেষপর্যন্ত ১৫ জুলাই বিবিঘরে বন্দি শিশু ও মহিলাদেরকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ইহা বিবিঘর হত্যাকান্ড নামে পরিচিত। ১৮৫৭ সালের ১ জুলাই কোম্পানীর বাহিনী কানপুরে পৌঁছায়। এদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জেনারেল হ্যাভলক। হ্যাভলক জানতে পারেন যে, নানা সাহেব আহিরা গ্রামে আশ্রয় করেছেন। জেনারেল হ্যাভলক আহিরা গ্রাম  আক্রমন করলে নানাসাহেব পরাজিত হয়ে কানপুর ত্যাগ করে বিথুরে ফিরে যান। ১৮৫৭ সালের ১৯ জুলাই জেনারেল হ্যাভলক বিথুর আক্রমন করলে তার আগেই  খবর পেয়ে নানাসাহেব পালিয়ে যান। বিথুরে নানাসাহেবের প্রাসদটি ইংরেজরা বিনা  বাধায় দখল করে নেয়। এইসময় প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে জেনারেল হ্যাভলক প্রাসাদে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং সতিচৌরাঘাটের প্রতিশোধ নিতে গনহত্যা  করেছিলেন। নানাসাহেব ব্রিটিশ বাহিনীর কাছে পরাজিত হয়ে নেপালে চলে যান পরে তাঁকে আর দেখা যায় নি। 

 

নানাসাহেব। নানাসাহেবের আসল নাম। সিপাহী বিপ্লবের অগ্রদূত। আজিমুল্লাহ খান। সম্রাট বাহাদুর শাহের গভর্নর। বিবিঘর হত্যাকাণ্ড। স্যার হুইলার। সতীচৌরা ঘাটের ঘটনা।

প্রশ্নোত্তর পর্ব

১) ) বাংলার নানাসাহেব নামে কে পরিচিত?

- রামরতন মল্লিক (নীলবিদ্রোহকে কেন্দ্র করে)

২) কোন পেশোয়া নানাসাহেব নামে পরিচিত ছিলেন?

- বালাজী বাজিরাও

৩) কানপুরে কোন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নানা সাহেবকে (তাঁতিয়া টোপীকে) পরাজিত করেন?

- কলিন ক্যাম্পবেল

৪) নানাসাহেব কে ছিলেন?

- পেশোয়া দ্বিতীয় বাজিরাও এর দত্তক পুত্র।

৫) নানাসাহেবের আসল নাম কী?

- গোবিন্দ ধন্দুপন্থ

৬) কোন নীতির বলে নানাসাহেব পেশয়া পদ থেকে বিচ্যুত হন?

- লর্ড ডালহৌসীর স্বত্ববিলোপনীতি

৭) ইংরেজ সরকারের কাছে বৃত্তি প্রদানের প্রার্থনা নিয়ে নানাসাহেব কাকে ইংল্যান্ডে পাঠিয়ে ছিলেন?

- আজিমুল্লাহ খানকে

৮) বিপ্লবের অগ্রদূত নামে কে পরিচিত?

- আজিমুল্লাহ খান

৯) নানাসাহেবের প্রধান উপদেষ্টা কে ছিলেন?

 - আজিমুল্লাহ খান

১০) সিপাহী বিদ্রোহের সময় রাজনৈতিক প্রচারে কে দক্ষ ছিলেন?

- আজিমুল্লাহ খান

১১) আজিমুল্লাহ খান প্রথম কী ছিলেন?

- পরিচারক

১২) 1857  সালের বিদ্রোহে কে নিজেকে ভারতের সম্রাট বাহাদুর শাহের গভর্নর হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন?

- নানা সাহেব

১৩) 1857 সালে নিজেকে মুঘল সম্রাটের পেশওয়া হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন?

- নানা সাহেব

১৪) কানপুরের যুদ্ধে কুনওয়ার সিং কোন প্রধান বিপ্লবীকে সমর্থন করেছিলেন?

- নানা সাহেব

১৫) আজিমুল্লাহ খান কার উপদেষ্টা ছিলেন?

- নানা সাহেব

১৬ ) আজিমুল্লাহ খান বিঠুরে নানা সাহেবের সাথে বিদ্রোহের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে কোন তারিখটিকে বিপ্লবের দিন হিসেবে নির্ধারণ করেন?

- 31 মে, 1857

১৭) বিবিঘর হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে কার সম্পর্কে ইংরেজ ভদ্রমহিলা Harte state বলেছিলেন যে এই ব্যক্তি সম্পর্কে যাই বলা হোক না কেন, তিনি কোন ধরণের হত্যার জন্য দোষী নন।

- নানা সাহেব

১৮)  নানাসাহেব সিপাহী বিদ্রোহে কোন স্থান থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন?

- কানপুর

১৯) যখন নানা সাহেবকে পেশওয়া ঘোষণা করা হয়, তখন কানপুর সেনানিবাসের কোন কমান্ডার  নিরাপদে এলাহাবাদে পৌঁছানোর আশ্বাসে 27 জুন 1857 খ্রিষ্টাব্দে  নানা সাহেবের কাছে আত্মসমর্পণ করেন?

- স্যার হুইলার

২০) হুইলার নানাসাহেবের কাছে কী সাহায্য চেয়েছিলেন?

- ইউরোপীয়ানদেরকে নিরাপদে নৌকায় করে সতীচৌরা ঘাট থেকে এলাহবাদে যেতে দেওয়া।

২১) সতীচৌরা ঘাটের ঘটনা কে ঘটান?

- নানাসাহেব

২২) বিবিঘর হত্যাকান্ড কে ঘটান?

- নানাসাহেব

২৩) নানাসাহেব কার কাছে পরাজিত হয়ে নেপালে পালিয়ে যান কার কাছে পরাজিত হয়ে?

- হ্যাভলক

২৪) কাকে ধরার জন্য ব্রিটিশ সরকার একলক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষনা করেছিল?

 - নানাসাহেব

২৫) সিপাহি বিদ্রোহে বিদ্রোহীদের দ্বারা ঘটা কোন ঘটনাগুলিকে বর্বরতম বলে মনে করা হয়?

- সতীচৌরা ঘাটের ঘটনা এবং বিবিঘর হত্যাকান্ড

২৬) 1857 সালের বিপ্লবের সময় "ন্যায় ভবন" কে প্রতিষ্ঠা করেন?

- শাহ আলম

২৭) 1858 সালের এপ্রিল-মে মাসে, নানা সাহেব চন্দ্র নগরের ফরাসি গভর্নরের কাছে তিনটি চিঠি এবং তৃতীয় নেপোলিয়নকে একটি চিঠি পাঠান। এই চিঠিগুলিতে আর কাদের স্বাক্ষর ছিল? 

- দুর্গা প্রসাদ ও  ভগবান দাস

২৮) কে বলেছে যতদিন আমার শরীরে প্রাণ থাকবে ততদিন আমার আর বৃটিশদের মধ্যে লড়াই চলবে, আমাকে হত্যা করা হোক বা কারারুদ্ধ হোক বা ফাঁসি হোক, আমি তরবারি দিয়ে সব কিছুর জবাব দেব?

-  নানা সাহেব

২৯) 1857 সালের বিপ্লব সম্পর্কে কে বলেছিলেন যে – ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যেহেতু আওরঙ্গজেবের ভূমিকা গ্রহন করেছিল, তাই ভারতীয়দেরও শিবাজি হতে হয়েছিল।

-নানা সাহেব

৩০) নানা সাহেবের সর্বাধিনায়ক(সেনাপতি) কে ছিলেন?

- তাঁতিয়া টোপি 

 

 তাঁতিয়া টোপি >>>>

 

ধন্যবাদ

ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। 

 

প্রতি সপ্তাহের মকটেস্টের জন্য নীচে দেওয়া Telegram গ্রুপে জয়েন করতে পারেন

 টেলিগ্রাম গ্রুপ  যোগদান করার জন্য - Click Here

পরিবেশের বিভিন্ন টপিকগুলি সম্পর্কে জানতে Click Here

ইউরোপের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে  - Click Here

প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে - Click Here

মধ্য যুগের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here

আধুনিক ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here

 ভারতের ইতিহাসের পিডিএফ ডিটেইলস পেতে Click Here

 

 

নানাসাহেব। নানাসাহেবের আসল নাম। সিপাহী বিপ্লবের অগ্রদূত। আজিমুল্লাহ খান। সম্রাট বাহাদুর শাহের গভর্নর। বিবিঘর হত্যাকাণ্ড। স্যার হুইলার। সতীচৌরা ঘাটের ঘটনা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad