Type Here to Get Search Results !

রামপাল ও পালবংশের পতন প্রথম পর্ব [Rampala]

  রামপাল পালবংশের পতন

Set by – Manas Adhikary


 


রামপাল পালবংশের পতন প্রথম পর্বAbout Rampal Part - I

রামপাল। কুমারপাল। চতুর্থ গোপাল। মদনপাল। গোবিন্দপাল। পলপাল।


নমস্কার, অভিনব  একাডেমিতে আপনাদেরকে স্বাগত জানাই  আজকে আপনাদের জন্য আলোচনা করা হলো রামপাল ও পালবংশের পতন এই পর্বে থাকছে রামপাল ও পালবংশের পতন সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা পরবর্তী পর্বে রামপাল ও পালবংশের পতন সম্পর্কিত  কিছু অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর আলচনা করব পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতবর্ষের সমস্ত সরকারি চাকরীর পরীক্ষাতে বা প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য (All Competitive exam: UPSC,WBPSC, WBCS, SLST, WBP SI, WBP Constable, SSC, PSC, School Service, Railway exam etc) এই টপিকটি খুবই  গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়

এছাড়াও আমাদের এই ব্লগে আপনি পেয়ে যাবে Indian History (Ancient, Medieval, Modern), Europe History, Geography, Gk, Bio-logy, Polity, child psychology, Environment Science, Pedagogy ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় গুলি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর


রামপাল পালবংশের পতন সংক্ষিপ্তরুপ| About Rampal Part - I.


রামপাল ছিলেন পালবংশের সর্বশেষ শক্তিশালী নরপতি পালবংশের নরপতি তৃতীয় বিগ্রহপালের তিন পুত্র সন্তান দ্বিতীয় মহীপাল, দ্বিতীয় শুরপাল এবং রামপাল তৃতীয় বিগ্রহপালের মৃত্যুর পর তাঁর জেষ্ঠ্য পুত্র দ্বিতীয় মহীপাল সিংহাসনে বসেই তার অপর দুই ভাইকে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে কারাগারে বন্দী করেন কৈবর্ত বিদ্রোহের সময় দ্বিতীয় মহীপালের মৃত্যু হলে দ্বিতীয় শুরপাল এবং রামপাল কারাগার থেকে মুক্তি পান এবং পাল বংশের সিংহাসনে বসেন দ্বিতীয় শুরপাল অল্পকিছু কাল পরেই দ্বিতীয় শুরপালের অকাল মৃত্যু ঘটলে পালবংশের সিংহাসনে বসেন অনভিজ্ঞ এবং সবেমাত্র যৌবনে পদার্পনকারী রামপাল পালসাম্রাজ্য তখন ছিল কৈবর্ত বিদ্রোহে ক্ষতবিক্ষত এবং পতনোদন্মুখ রামপাল অসামান্য দক্ষতা সাহসিকতার সাথে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে পালসাম্রাজ্যের পতনকে রোধ করেন
বিহারের এক সুবিস্তীর্ণ অঞ্চল রামপালের অধিকারভুক্ত ছিল তাঁর আমলের উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল কৈবর্ত বিদ্রোহকে দমন করে কৈবর্তবংশের পতন ঘটিয়ে বরেন্দ্রকে পালসামাজ্যভুক্ত করা তাঁর সময়ে কৈবর্তরাজ ভীম ছিলেন বরেন্দ্রের কৈবর্ত নরপতি ভীম বরেন্দ্র ইতিহাসে একজন অত্যন্ত শক্তিশালী শাসক ছিলেন তাঁর আমলে বরেন্দ্র এক শক্তিশালী সমৃদ্ধশালী রাজ্যে পরিনত হয়েছিল রামপাল ভীমের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বে নিজ শক্তিবৃদ্ধি করতে উদ্যোগী হন এই শক্তিবৃদ্ধিতে সাহায্য করে তাঁর পুত্র বিত্তপাল, রাজ্যপাল এবং কুমারপাল এইসময় অর্থ সম্পত্তির প্রলোভন দেখিয়ে তিনি প্রায় ১৪ জন সামন্ত রাজার সমর্থনে এক বিশাল সেনাবাহিনী গঠন করেন এই বিশাল সেনাবাহিনী তাঁর প্রধান সেনাপতি শিরাজের সহায়তায় তিনি বরেন্দ্রের কৈবর্তরাজ ভীমকে সপরিবারে পরাজিত বন্দী করেন পরে ভীমের সম্মুখেই তার পরিবারের সবাইকে হত্যা করার পর চতুর্দিক থেকে শরাঘাতে জর্জরিত করে কৈবর্তরাজ ভীমকে হত্যা করে বরেন্দ্র থেকে কৈবর্ত বংশের রাজত্বের অবসান ঘটান এবং বরেন্দ্রকে পাল সাম্রাজ্যভুক্ত করেন রামপাল বরেন্দ্র দখল করে রামাবতী নামক নতুন রাজধানী স্থাপন করেন গঙ্গা করতোয়া নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলে এই শহরটি অবস্থিত ছিল রামপাল রামাবতীতে জগদ্দলবিহার নির্মান করেছিলেন পালবংশের পতনের পূর্ব পর্যন্ত এই রামাবতী ছিল পালরাজাদের রাজধানী তার সময়ে কলিঙ্গরাজ দেবেন্দ্রবর্মন উড়িষ্যার একটা অংশ দখল করে নিলে রামপাল রাঢ় দেশের সামন্তদের সাহায্যে উৎকলরাজ কর্নকেশরীকে বিতাড়িত করে নিজ অনুগত ব্যক্তি সোমভস্মকেশরীকে উৎকলের সিংহাসেন বসান কর্নকেশরী, কলিঙ্গরাজ অনন্তবর্মার স্মরনাপন্ন হলে অনন্তবর্মা উৎকল দখল করার লক্ষে পালরাজ রামপালের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন রামচরিত থেকে জানা যায় যে, রামপালের জীবিতকালে অনন্তবর্মা উৎকল দখল করতে পারেননি সম্ভবত রামপালের মৃত্যুর পর কলিঙ্গরাজ অনন্তবর্মা উৎকল দখল করেছিলেন

বৃদ্ধবয়সে রাযমপাল তাঁর মামা মহনদের বা মথনদেবের মৃত্যু সংবাদ শোনার পর শোকাবিষ্ট হয়ে পুত্রদের হাতে রাজ্যের শাসনভার অর্পন করে গঙ্গায় প্রান বিসর্জন দেন
কুমারপাল
রামপালের মৃত্যুর পর পালবংশের সিংহাসনে বসেন কুমারপাল তার আমলে কামরূপের শাসনকর্তা তিমৃগ্যদেব বিদ্রোহী হলে কুমারপালের সচিব বৈদ্যদেব শক্তহাতে সেই বিদ্রোহ দমন করে সেখানকার শাসনকর্তারূপে নিযুক্ত হন
চতুর্থ গোপাল
পরবর্তী পাল নরপতি ছিলেন কুমারপালের পুত্র চতুর্থ গোপাল সময় অসমের প্রদেশপাল বৈদ্যদেব স্বাধীনতা ঘোষনা করেন এবং বিহারে গাহড়বাল অধিকার আরও বিস্তৃত হয়
মদনপাল
প্রায় পনেরো বছর রাজত্ব করার পর চতুর্থ গোপালের মৃত্যু হলে রামপালের কনিষ্ঠ পুত্র মদনপাল সিংহাসনে বসেন তিনি তাঁর রাজত্বের তৃতীয় বৎসরে গাহড়বালরাজ গোবিন্দচন্দ্রকে পরাজিত করে দক্ষিণ বিহার পুনরায় পালসাম্রাজ্যভুক্ত করেন কিন্তু সেনবংশের নরপতি বিজয়সেন অনতিবিলম্বে মদনপালকে পরাজিত করে উত্তর বাংলার বৃহদাংশ দখল করেন পশ্চিম দক্ষিণ-পূর্ব বাংলায়ও সেন আধিপত্য বিস্তার লাভ করে সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক ছিলেন মদনপাল তাঁর প্রধান মহিষী চিত্রমাতৃকা, বটেশ্বরস্বামী নামক এক সামবেদী ব্রাহ্মনের নিকট মহাভারত শুনতেন বৌদ্ধ ধর্মালম্বী মদনপাল এই ব্রাহ্মন বটেশ্বরস্বামীকে ভূমি দান করেছিলেন তাঁরই সান্ধিবিগ্রহিক ভীমদেব, বারানসীতে শিবমন্দির নির্মান করেছিলেন রামচরিত গ্রন্থের বিখ্যাত কাব্যকার সন্ধ্যাকর নন্দী ছিলেন তার সভাকবি

গোবিন্দপাল

পালবংশের পরবর্তী নরপতি হলেন গোবিন্দপাল এই গোবিন্দপালের সাথে মদনপালের যে কি সম্পর্ক ছিল তা আজও উদ্ধার করা যায় নি সেজন্য বেশীরভাগ ঐতিহাসিক পালবংশের শেষ নরপতি হিসাবে মদনপালকে চিহ্নিত করেন এই গোবিন্দপালের সময় গয়া তাঁর হস্তচ্যুত হয় এবং সেখানে গাহড়বাল নরপতি বিনয়চন্দ্রের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়

পলপাল


বিভিন্ন ঐতিহাসিকদের মতে পলপাল ছিলেন পালবংশের শেষ নরপতি তিনি গৌড়েশ্বর উপাধিতে ভূষিত থাকলেও উত্তরবঙ্গে তাঁর কোন কর্তৃত্ব ছিল না এইসময় উত্তরবঙ্গ ছিল সেনরাজাদের অন্তর্গত গাহড়বাল এবং সেন রাজাগনের পারস্পরিক বিরোধের সুযোগ নিয়ে তিনি মুঙ্গের অঞ্চলে স্বাধীনভাবে বসবাস করতেন ১২০০ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ তুর্কি সেনানী ইক্তিয়ার উদ্দিন মহম্মদ বখতিয়ার খলজী পলপালকে উৎখাত করলে চারশো বছর রাজত্বকারী পালবংশের শেষ স্তম্ভটি ভেঙে পড়ে


রামপাল ও পালবংশের পতন দ্বিতীয় পর্ব>>>>


প্রতি সপ্তাহের মকটেস্টের জন্য নীচে দেওয়া Telegram গ্রুপে জয়েন করতে পারেন

 টেলিগ্রাম গ্রুপ  যোগদান করার জন্য - Click Here


ধন্যবাদ

ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। 

 

পরিবেশের বিভিন্ন টপিকগুলি সম্পর্কে জানতে Click Here

প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে - Click Here

মধ্য যুগের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here

আধুনিক ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here

 ভারতের ইতিহাসের পিডিএফ ডিটেইলস পেতে Click Here

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad