গুপ্ত সাম্রাজ্যের শিল্প-সংস্কৃতি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা
set by - Manas Adhikary
গুপ্ত যুগের শিল্প-সংস্কৃতি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা (প্রথম পর্ব)।Social Life and Administrative System of the Gupta Period Part -I.
সান্ধিবিগ্রহিক। মহাদন্ডনায়ক। মহাবলাধিকৃত। মহাপীলুপতি। কুমারামাত্য। গুপ্ত যুগের প্রশাসনিক ব্যবস্থা কেমন ছিল।
নমস্কার, অভিনব একাডেমিতে আপনাদেরকে স্বাগত জানাই। আজকে আপনাদের জন্য আলোচনা করা হলো গুপ্ত যুগের শিল্প-সংস্কৃতি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা (প্রথম পর্ব) । আজ এই পর্বে থাকছে গুপ্ত যুগের শিল্প-সংস্কৃতি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা । পরবর্তী পর্বে গুপ্ত যুগের শিল্প-সংস্কৃতি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা সম্পর্কিত অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর আলোচনা করা হবে । পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতবর্ষের সমস্ত সরকারি চাকরীর পরীক্ষাতে বা প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য (All Competitive exam: UPSC,WBPSC, WBCS, SLST, WBP SI, WBP Constable, SSC, PSC, School Service, Railway exam etc) এই টপিকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
এছাড়াও আমাদের এই ব্লগে আপনি পেয়ে যাবে Indian History (Ancient, Medieval, Modern), Europe History, Geography, Gk, Bio-logy, Polity, child psychology, Environment Science, Pedagogy ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় গুলি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।
গুপ্ত যুগের শিল্প-সংস্কৃতি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা সংক্ষিপ্তরূপ| About Gupta Era.
প্রতি সপ্তাহের মকটেস্টের জন্য নীচে দেওয়া Telegram গ্রুপে জয়েন করতে পারেন
টেলিগ্রাম গ্রুপ এ যোগদান করার জন্য - Click Here
কুষানোত্তর যুগে উত্তর ভারতে যে রাজনৈতিক অনৈক্য ও বিচ্ছিন্নতা দেখা দেয় তার পরিসমাপ্তি ঘটে গুপ্ত রাজবংশের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। এই বংশের প্রথম পর্বের প্রায় সকল রাজা যোগ্য, দুরদৃষ্টিসম্পন্ন এবং পরাক্রমশালী ছিলেন৷ ফলে তারা সহজেই বিক্ষিপ্ত, বিচ্ছিন্ন ক্ষুদ্র রাজ্যগুলিকে আত্মসাৎ করে উত্তর ভারতে এক রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন৷ মৌর্য শাসনের পর অবসানের বহুদিন পপর উত্তর ভারতে আবার এক দীর্ঘস্থায়ী ঐক্যবদ্ধ রাস্ট্র গড়ে ওঠে এই গুপ্ত রাজবংশের হাত ধরেই।
কুষানোত্তর পর্বে মগধের রাজনৈতিক ইতিহাস স্পষ্ট নয়। টলেমি ও টলেমি পরবর্তী বিদেশী লেখক ওপ্রিয়েনের মতে খ্রিস্টয় ২ শতকের মাঝামাঝি সময় শাসকগোষ্ঠীভুক্ত মুরুন্ড জাতি মগধ শাসন করত৷ জৈনগ্রন্থ ‘প্রভাবচরিতে— পাটলিপুত্রে এক মুরুন্ড নরপতির কথা বর্ননা করা আছে যিনি শিরুপীড়ায় আক্রান্ত ছিলেন৷ অপর জৈনগ্রন্থ 'আবশ্যকবৃহদ্ধৃতি' এ আরো একজন মুরুন্ডনরপতির কথা উল্লেখ আছে৷ পুরান থেকে বিষবস্ফানি নামক এক রাজার কথা জান যায় যিনি জাতিতে মুরুন্ড ছিলেন। খ্রিস্টীয় ২ শতকের শেষপর্বে আর্য বিশাখমিত্র মারে এক স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন৷ সম্ভবত তারই আক্রমনের ফলে মুরুন্ড জাতির পতন ঘটো বিশাখমিত্র ও তার বংশধরেরা পাটলিপুত্রে কতদিন রাজত্ব করেছিল তা নিয়ে বিশেষ তথ্য পাওয়া যায়নি৷ খ্রিস্টীয় ৩য় শতকের শেষ দিকে পাটলিপুত্রে সম্ভবত গুপ্তশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। কোনো কোনো ঐতিহাসিক মনে করেন যে গুপ্তদের পূর্বে লিচ্ছবিরা পাটলিপুত্রে রাজত্ব করতেন এবং তাদের কন্যা কুমারদেবীকে বিবাহ করে গুপ্তরা এ অঞ্চল লাভ করে।
গুপ্ত রাজারা কোন জাতির লোক তা নিশ্চিতরূপে জানা যায় যায় না। বিষ্ণুপুরানে বৈশ্যদের পক্ষে গুপ্তাস্তক নাম বিধেয় আছে বলে অনেকের ধারনা গুপ্তরা বৈশ্য ছিলেন৷ আবার রানি প্রভাবতীগুপ্তার পুনা ও ঋদ্ধপুর তাম্রশাসন থেকে জানা যায় গুপ্ত রাজারা ব্রাহ্মনদের অগস্ত্য শাখার প্রশাখা ধারন গোত্রের লোক ছিলেন৷ হেমচন্দ্র রায়চৌধুরী মনে করেন যে গুপ্ত রাজার সম্ভবত শুঙ্গরাজ অগ্নিমিত্রের মহিষ ধারিনীর আত্মীয় ছিলেন৷ সাতবাহন লেখমালায় পরি বা পুরুগুপ্ত, শিবগুপ্ত ও শিবস্কন্দগুপ্ত নামক তিনজন আমাত্যের কথা উল্লেখ আছে৷ তবু তাদের সাথে যে গুপ্ত রাজাদের আত্মীয়তার বন্ধন ছিল তা জোর করে বলা যায় না। গুপ্ত সাম্রাজ্য বাংলাদেশের কুমিল্লা (সমতট) থেকে পশ্চিম ভারতের গুজরাট পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। গুপ্ত সাম্রাজ্যকে বলা হয় ‘ধ্রুপদি সভ্যতা। কেননা, ভারতের উচ্চবিত্ত শ্রেণী প্রথম উন্নত জীবনযাত্রার সান্নিধ্যে আসে এই গুপ্ত বংশের শাসনকালে৷ অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক মান উন্নত ছিল বলে গুপ্ত যুগটিকে ‘ভারতের স্বর্নযুগ' বলা হয়৷ মহাকবি কালিদাস, গনিতবিদ আর্যভট্ট, পঞ্চতন্ত্রের লেখক বিষ্ণুশর্মা, কামসুত্রের রচয়িতা বাৎসায়ন প্রমূখ ছিলেন গুপ্ত যুগের অনন্য প্রতিভা। এ ছাড়া জ্যোতিষ রবাহমিহির ছিলে গুপ্তসম্রাট ২য় চন্দ্রগুপ্তের নবরত্নের অন্যতম৷ গুপ্তযুগেই ভারতীয় মহাকাব্য এবং পুরান পরিপূর্নতা লাভ করে।
গুপ্ত সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র যা বর্তমানে বিহার রাজ্যের রাজধানী পাটনা। এই সময় রাষ্ট্রভাষা ছিল সংস্কৃত৷ এই সংস্কৃত ভাষাটিকে ঘিরে ঐসময় হিন্দু ব্রাহ্মন্যবাদেরউত্থান ঘটেছিল। তবে গুপ্তসমাজে বৌদ্ধধর্মটিও সমান জনপ্রিয় ছিল৷ তবে বৌদ্ধধর্মের পৃষ্ঠপোষক অ-ভারতীয় (কুষান) হওয়ায় এর প্রতিক্রিয়াস্বরূপ হিন্দু জাতিয়তাবাদ উত্থানের মাধ্যমে ব্রাহ্মন্যধর্মের বিকাশ ঘটো ইৎসিং নামক এক চীনা বৌদ্ধ ভিক্ষুর রচনায় দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের কন্যা প্রভাবতীগুপ্তের পুনা তাম্রলিপির যে বর্ননা পাওয়া যায়, সেই বর্ননানুযায়ী মহারাজা শ্রীগুপ্তকে গুপ্ত রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ইৎসিং এর রচনা থেকে আরো জানা যায়
বর্ননানুযায়ী মহারাজা শ্রীগুপ্তকে গুপ্ত রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ইৎসিং এর রচনা থেকে আরো জানা যায় যে, চীনা বৌদ্ধ তীর্থযাত্রীদের ভারতে বসবাসের সুবিধার জন্য শ্রীগুপ্ত মি-লি-কিয়া-সি-কিয়া-পো-নো নামক একটি বৌদ্ধ মঠ প্রতিষ্ঠার আদেশ দেন, যার ব্যয় নির্বাহের জন্য তিনি চব্বিশটি গ্রাম দান করেছিলেন। এই মি-লি-কিয়া-সি-কিয়া-পো-নো বৌদ্ধ মঠটি নালন্দার অদূরে অবস্থিত মৃগশিখাবন না বরেন্দ্রভূমির মৃগস্থাপন বিহার সেই নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। প্রতিষ্ঠাতা শ্রীগুপ্ত ‘মহারাজ' উপাধি গ্রহন করেছিলেন৷ শ্রীগুপ্তের পর সিংহাসনে বসেন ঘটোৎকচ গুপ্ত। তিনিও 'মহারাজা' উপাধি গ্রহন করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর সিংহাসনে বসেন তাঁর পুত্র প্রথম চন্দ্রগুপ্ত। যিনি ছিলেন প্রথম গুপ্ত সম্রাট যাঁর সময় থেকে গুপ্ত সাম্রাজ্যের উত্থান ঘটতে শুরু করে৷
গুপ্তসাম্রাজ্যের প্রশাসনের শীর্ষে ছিলেন রাজা। তিনি নিছকই রাজা উপাধিতে যে তুষ্ট নহে তাঁর প্রমান পাওয়া যায় গুপ্তরাজাদের নেওয়া আড়ম্বরপূর্ন অভিধা যেমন মহারাজাধিরাজ, পরমদৈবত, পরমভট্টরক প্রভৃতি থেকে। রাজার মৃত্যু হলে তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র সিংহাসন লাভ করতেন। কিন্তু সবসময়ই যে এমনটি হত তা কিন্তু বলা যায় না৷ কারন সমুদ্রগুপ্ত, দ্বিতীয়চন্দ্রগুপ্ত কেউই জ্যেষ্ঠ পুত্র নহে তথাপি তারা সিংহাসনে বসেছিলেন। এক্ষেত্রে যোগ্যতাকেই মাপকাঠি হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল। রাজা রাষ্ট্র পরিচালনা জন্য প্রদেশপাল নিযুক্ত করতেন৷ যেমন- চিরাত দত্তকে পুন্ডবর্ধন বা উত্তরবাংলার প্রদেশপাল হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন প্রথম কুমারগুপ্ত। আবার সম্রাট বুধগুপ্ত ব্রহ্মদত্ত নামক ব্যক্তিকে উত্তর বাংলার প্রদেশপাল হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন৷ রাষ্ট্রশাসনের জন্য গুপ্ত রাজারা মহাদন্ডনায়ক, মহাবলাধিকৃত, সান্ধিগ্রিহিক, মহাপ্রতিহার প্রভৃতি পদস্থ কেন্দ্রীয় কর্মচারী নিয়োগ করতেন।
সান্ধিবিগ্রহিক - এদের কাজ ছিল যুদ্ধ ও শান্তিস্থাপন৷ সুমদ্রগুপ্তের সান্ধিগ্রিহিক ছিলেন এলাহবাদ প্রশস্তির লেখক হরিষেন৷ দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের সান্ধিবিগ্রহিক ছিলেন বীরসেন শ্বাব।
মহাদন্ডনায়ক - মহাদন্ডনায়কের ঠিক কী কাজ ছিল সে বিষয়ে মতভেদ রয়েছে। অনেকের মতে তিনি প্রধান বিচারপতি ছিলেন আবার অন্যান্যদের মতে মহাদন্ডনায়ক ছিলেন মুখ্য সেনাপতি। হরিষেন ও তাঁর পিতা ধ্রুবভূতি উভয়েই মহাদন্ডনায়ক ছিলেন৷
মহাবলাধিকৃত - প্রধান সেনাপতির অনুপস্থিতিতে যিনি যুদ্ধক্ষেত্রে সৈন্যপরিচালনার দায়িত্ব গ্রহন করতেন তাঁকে মহাবলাধিকৃত বলা হত।
মহাপীলুপতি - হস্তিবাহিনীর পরিচালনা করতেন এরা।
কুমারামাত্য - অনেকে কুমারামাত্যকে রাজার একাত্তসচিব, আবার কেউ বা তাঁকে রাজস্ববিভাগের অধ্যক্ষরূপে চিহ্নিত করেছেন৷ হরিষেন ছিলেন সমুদ্রগুপ্তের, শিখরস্বামী ছিলেন দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের এবং পৃথিবীষণ ছিলেন প্রথম কুমারগুপ্তের কুমারামাত্য। গুপ্তযুগে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই একই পরিবারের লোক পুরুষানুক্রমে মন্ত্রিত্বের পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন।
প্রশাসনের সুবিধার জন্য গুপ্ত সাম্রাজ্যকে কয়েকটি প্রদেশে বিভক্ত করা হয়। সাম্রাজ্যের পর্বাঞ্চলের প্রদেশগুলিকে সাধারনত ভুক্তি এবং অন্যত্র প্রদেশগুলিকে দেশ বলা হত। সেসময়কার কয়েকটি দেশ হল - সুকুলি, সুরাষ্ট্র, ডাভাল ও কালিন্দী-নর্মদা দোয়াব এবং কয়েকটি ভুক্তি হল পুন্ডবর্ধন (উত্তরবঙ্গ), বর্ধমান (পশ্চিমবঙ্গ) তীর (উত্তর বিহার), নার (দক্ষিন বিহার), শ্রাবস্তী (অযোধ্যা-ফৈজাবাদ) ও অহিচ্ছত্র (রোহিলাখন্ড)। দেশের শাসনকর্তাকে বলা হত গোপ্তা এবং ভুক্তির শাসকদের বলা হত উপরিক। পরে ভুক্তির শাসকরা উপরিক উপাধিতে সন্তুষ্ট না থেকে উপরিক মহারাজ অভিধা গ্রহন করে।
এছাড়া ‘বিষয়' ছিল অরও এক প্রশাসনিক একক। বিষয় বা জেলা শাসনের দায়িত্ব ছিল বিষয়পতির উপর। পুস্তপাল নামে আর এক শ্রেনীর কর্মচারীর উল্লেখ পাওয়া যায় যারা বিষয় বা প্রাদেশিক শাসনকর্তা। গুপ্তযুগের প্রদেশিক শাসনব্যবস্থার সর্বনিম্ন একক ছিল গ্রাম৷ এটি নিম্নতর প্রশাসনিক একক হলেও এর গুরুত্ব ছিল যথেষ্ট। গ্রাম শাসনের সাথে যুক্ত ছিল গ্রামীক, ভোজক প্রভৃতি ব্যক্তি। এছাড়াও গুপ্ত যুগে মহাপ্রতিহার, তলবর, বিনয়স্থিতিস্থাপক, ভটাশ্বপতি নামক বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক পদের কথা জানা যায়। কুমারামাত্য (যুবরাজপদ) এর পরিচালনাধীন একটি দফতর ছিল যাকে অধিকরন বলা হত। মহাপ্রতিহার ছিলেন প্রসাদ রক্ষিবাহিনীর অধ্যক্ষ। তলবর বলতে সেনাধ্যক্ষ বা অঞ্চলপ্রধানকে বোঝানো হয়েছে। বিনয়স্থিতিস্থাপক ছিলে ধর্ম ও নীতি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত। তিনি মন্দির ও বিহারাদির তত্ত্বাধান ও মানুষের মধ্যে নৈতিকতা ও শিক্ষার সম্প্রচারে যুক্ত ছিলেন। ভটাশ্বপতি ছিলেন পদাতিক ও অশ্বারোহী বাহিনীর অধ্যক্ষ। বৈশালীতে প্রাপ্ত সিলমোহর অনুযায়ী রণভান্ডাগারাধিকরন ছিলেন সামরিক সরজ্ঞাম ও রসদের দায়িত্বপ্রাপ্ত, বলাধিকৃত ছিলেন পদাতিক বাহিনীর প্রধান, দন্ডপাশিক ছিলেন পুলিশ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত।
গুপ্তযুগে বিচার ব্যবস্থার সর্বোচ্চ পদে ছিলেন রাজা। তিনি স্বয়ং জেলা বা প্রাদেশিক শহরগুলিতে রাজকার্য পরিচালনা করতেন৷ জেলা ও প্রাদেশিক শহরগুলিতে আদালত ছিল৷ অনেক ক্ষেত্রে গিল্ড বা নিগম গুলিও বিচারকার্য পরিচালনা করতেন৷ রাজস্ব ব্যবস্থার একটি অঙ্গে যার কর্তৃত্ব ছিল রাজা এর প্রধান উৎস ছিল 'ভাগ' অর্থাৎ রাজার প্রাপ্য জমির উৎপন্ন ফসলের একাংশ, সাধারনত উৎপন্ন শস্যের ১/৬ অংশ রাজা কর হিসাবে পেতেন৷ এছাড়া বানিজ্যকর, দূর্ণকর প্রভৃতি এবং যুদ্ধ ও বৈদেশিক আক্রমনের সময় আদায় করা হত ‘মন্ত্রকর'। এছাড়াও ভোগকর, উপরিকর উদ্ভঙ্গ, হিরন্য, হলিরাকর, সেনাভক্ত কর ইত্যাদি রাজস্বের প্রচলন ছিল
সবশেষে বলা যায় যে গুপ্ত শাসনব্যবস্থায় যথেষ্ট প্রশংশার দাবী রাখে। জনগনের মঙ্গলসাধন করাই ছিল গুপ্তশাসন ব্যবস্থার প্রধান অঙ্গ৷
গুপ্ত যুগেরশিল্প-সংস্কৃতি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা দ্বিতীয় পর্ব >>>>
ধন্যবাদ
ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে
মধ্য যুগের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে
আধুনিক ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে
ভারতের ইতিহাসের পিডিএফ ডিটেইলস পেতে