সম্রাট অশোক প্রথম পর্ব
Set by- Manas Adhikary
মহামতি অশোক প্রথম পর্ব ।Samrat Ashoke 1st part.
মৌর্য বংশ। অশোক| অশোকস্তম্ভ। অশােকের শিলালিপি। Ashoka| Ashoka MCQ| Ashoka Q And Answer| About Ashoka| ashok maurya| Ashoka Maurya| Chakravarti Ashok| Ashok Shilalekh| The Great Ashoka| Mother of Ashoka|
নমস্কার, অভিনব একাডেমিতে আপনাদেরকে স্বাগত জানাই। আজকে আপনাদের জন্য আলোচনা করা হলো সম্রাট অশোক। আজ এই পর্বে থাকছে অশোক সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা। পরবর্তী পর্বে এই টপিক থেকে অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর আলোচনা করা হবে । পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতবর্ষের সমস্ত সরকারি চাকরীর পরীক্ষাতে বা প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য (All Competitive exam: UPSC,WBPSC, WBCS, SLST, WBP SI, WBP Constable, SSC, PSC, School Service, Railway exam etc) এই টপিকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
এছাড়াও আমাদের এই ব্লগে আপনি পেয়ে যাবে Indian History (Ancient, Medieval, Modern), Europe History, Geography, Gk, Bio-logy, Polity, child psychology, Environment Science, Pedagogy ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় গুলি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।
মহামতি অশোক সংক্ষিপ্তরূপ | About Ashoka
প্রতি সপ্তাহের মকটেস্টের জন্য নীচে দেওয়া Telegram গ্রুপে জয়েন করতে পারেন
টেলিগ্রাম গ্রুপ এ যোগদান করার জন্য - Click Here
ভারতীয় শাসকদের মধ্যে এক অতিবিশিষ্ট নাম হল সম্রাট অশােক। মৌর্য বংশের এই মহান সন্তান রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে যে অভিনব নীতি অনুসরন করেছিলেন, তা যুগ যুগ ধরে পৃথিবীর শাসনতান্ত্রিক আদর্শের রূপায়নে সহায়ক উপাদান হিসাবে আলােচিত হয়ে চলেছে। সমাট অশােকের পিতা ছিলেন দ্বিতীয় মৌর্য নরপতি বিন্দসার এবং মাতা ছিলেন সুভদ্রাঙ্গী৷ বিন্দুসারের রাজত্বকালে অশােক ছিলেন উজ্জ্বয়িনীর শাসনকর্তা৷ সেইসময় তক্ষশীলার বিদ্রোহ রাজকুমার অশােক অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দমন করেন। এইসময় তিনি মহাদেবীকে বিবাহ করেন। বিন্দুসারের অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়লে তাঁর পুত্রদের মধ্যে সিংহাসনের দখল নিয়ে রক্তাক্ত দ্বন্দ্ব শুরু হয়। বৌদ্ধ কিংবদন্তী অনুসারে জানা যায়, বিন্দুসারের স্ত্রীর সংখ্যা ছিল ১৬ টি এবং পুত্রের সংখ্যা ছিল ১০১ টি। অশােক যখন উজ্জয়িনীতে ছিলেন, তখন বিন্দুসারের মৃত্যু ঘটে। বিন্দুসারের মৃত্যু হওয়ার সাথে সাথেই অশােক, তাঁর অন্যন্য ভাইদের পরাজিত ও হত্যা করে সিংহাসন দখল করেন। সিংহলীয় উপখ্যানসমূহে পাওয়া যায়, তিনি তার ৯৮ জন ভাইকে হত্যা করেছিলেন। এইজন্য তাঁকে চন্ডাশােক বলা হয়েছে। সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর তিনি দেবনামপ্রিয়-প্রিয়দর্শী অর্থাৎ ‘দেবতাদের প্রিয় প্রিয়দর্শী উপাধি ধারন করেন।। দীপবংশ অনুযায়ী বুদ্ধদেবের মহাপরিনির্বানের ২১৪ বছর পর অশােক সিংহাসনে বসেন।
পিতামহ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের নীতি অনুসরন করে অশােকও সাম্রাজ্য বিস্তারে মনােযােগী হয়েছিলেন। রাজ্যাভিষেকের নবম বৎসরে তিনি কলিঙ্গ জয়ে প্রবৃত্ত হন। বর্তমান কটক, পুরী ও গঞ্জাম জেলা নিয়ে কলিঙ্গ রাজ্য গঠিত ছিল। তর ত্রয়ােদশ শিলালিপি, কলিঙ্গ লিপি, প্লিনির বিবরন ইত্যাদি থেকে কলিঙ্গ যুদ্ধের বর্ননা পাওয়া যায়। প্লিনির রচনা অনুসারে, কলিঙ্গ একসময় নন্দ সাম্রাজ্যভুক্ত ছিল। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের সময় কলিঙ্গ রাজ্য স্বাধীন হয়ে কালক্রমে সচ্ছল ও শক্তিশালী রাজ্যে পরিনত হয়। মৌর্য সাম্রজ্যের সীমান্তে অবস্থিত কলিঙ্গরাজ্য তাঁর রাজ্যের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াতে পারে বিবেচনা করে অশােক সেই রাজ্য আক্রমনের সিদ্ধান্ত নেন। কলিঙ্গযুদ্ধ মগধ তথা ভারতের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা। বিম্বিসার কর্তৃক অঙ্গরাজ্য জয়ের মাধ্যমে যে মগধ সাম্রাজ্যবাদের সূচনা ঘটেছিল, কলিঙ্গ জয়ের মাধ্যমে তা পূর্নতা পেয়েছিল৷ কলিঙ্গজয়ের পর কোন মৌর্যসম্রাট আর রাজ্যজয়ে উদ্যোগী হন নি। ত্রয়ােদশ শিলালিপি থেকে কলিঙ্গযুদ্ধের বিবরন পাওয়া যায়। ঐ লেখ অনুযায়ী কলিঙ্গ যুদ্ধে দেড় লক্ষ মানুষ বন্দী হয়, এক লক্ষ মানুষ যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত হন এবং অনেক বেশি লােক বিভিন্নভাবে প্রান দেন। যুদ্ধে কলিঙ্গ সেনা সম্পূর্ন পরাজিত ও বিদ্ধস্ত হয়। মৌর্য সাম্রাজ্যের অধীনে কলিঙ্গ একটি প্রদেশ হিসাবে গন্য হতে থাকে, যার রাজধানী ছিল তােষালি। ব্যক্তি অশােকের উপর কলিঙ্গ যুদ্ধের প্রভাব ছিল অপরিসীম। কলিঙ্গ রাজ্য বিজিত হবার পর যুদ্ধের ভয়াবহতা ও বিভৎসতা রাজা অশােকের মনে শােক ও সন্তাপের জন্ম দেয়৷ কলিঙ্গ যুদ্ধের পর চন্ডাশােক, পরিনত ধর্মাশােকে। অর্থাৎ কলিঙ্গ যুদ্ধের বিভৎসতা অণুতপ্ত অশান্তহৃদয় রাজাকে ধর্মানুশীলনের পথে প্রবৃত্ত করেছিল। তাঁকে প্রকৃত অর্থে ক্ষমাশীল ও মানবদরদী করে তুলেছিল। এই যুদ্ধের পর তিনি যুদ্ধের পথ ত্যাগ করে অহিংসার পথে সাম্রাজ্য পরিচালনের নীতি গ্রহন করেন। মানসিক শান্তিলাভের আশায় তিনি বৌদ্ধধর্মে প্রতি বিশেষভাবে আসক্ত হয়ে পড়েন এবং উপগুপ্ত নামক এক বৌদ্ধ। সন্ন্যাসীর কাছে দীক্ষা নিয়ে বৌদ্ধধর্ম গ্রহন করেন। এরপর থেকে থেকে তিনি অহিংস নীতি গ্রহন করেন। বিহারযাত্রা (প্রমােদ ভ্রমন) পরিবর্তিত হয়েছিল ধর্মযাত্রায়। ভেরীঘােষ (যুদ্ধের দামামা) পরিবর্তিত হয়েছিল ধর্মঘােষে। দেবতার উদ্দেশ্যে পশুবলি নিষিদ্ধ হয়েছিল। কূপখনন, বৃক্ষরােপন, মানুষ ও পশুদের জন্য চিকিৎসালয় স্থাপন, বন্দীদের মুক্তিদান, মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত ব্যক্তিকে তিনদিনের অরসরদান ইত্যাদি ব্যবস্থা করেন। সম্রাট অশােক তাঁর গুরু উপগুপ্তকে সাথে নিয়ে কপিলাবস্তু, লুম্বিনী, কুশীনগর, বুদ্ধগয়া, সারনাথ সহ নানাস্থানে ভ্রমন করেন এবং বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার করেন৷ এই সময় তিনি নানা স্থানে স্তুপ, স্তম্ভ এবং পাহাড়ের গায়ে বুদ্ধের বাণী লিপিবদ্ধ করে রাখার ব্যবস্থা করেন। অশােকের এই অহিংস নীতির কারনে, তাঁর সাথে প্রতিবেশী রাজ্য এবং গ্রিকদের সাথে বিশেষ সখ্যতা গড়ে ওঠে। তিনি সিরিয়া, মিশর, এপিরাস, সিংহল, থাইল্যান্ড,
মায়ানমার, নেপাল প্রভৃতি দেশে বৌদ্ধধর্ম প্রচারের জন্য প্রতিনিধি পাঠান। বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের মধ্যে সংহতি স্থাপনের জন্য এবং বৌদ্ধ সংঘসমূহের ভিতরে আন্তসম্পর্ক গড়ে তােলার জন্য পাটলিপুত্র নগরে একটি বৌদ্ধ-সংগীতি (তৃতীয়-সংগীতি)আহ্বান করেন। বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারের জন্য তিনি রাজপুত্র মহেন্দ্রকে সিংহলে পাঠান। খ্রিষ্টপূর্ব ২৩২ অব্দে সম্রাট অশােক মৃত্যুবরন করেন৷ তিব্বতীয় কিংবদন্তী অনুসারে জানা যায় তিনি তক্ষশীলায় মৃত্যুবরন করেছিলেন। পুরানের মতে মৌর্য সাম্রাজ্য ১৩৭ বছর টিকেছিল। এরমধ্যে প্রথম তিন রাজা (চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য, বিন্দুসার ও অশােক) রাজত্ব করেন ৭০ বছর। পরবর্তী রাজাগন রাজত্ব করেন ৪৭ বছর। অশােকের মৃত্যুর পর মৌর্যসাম্রাজ্য দুটিভাগে ভাগ হয়ে যায়। যথা - পূর্ব ও পশ্চিম৷ পশ্চিম অংশে রাজত্ব করত কুনাল এবং তারপর কিছুদিন রাজত্ব করেন সম্প্রতি৷ পূর্ব অংশের রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র এবং এখানে রাজত্ব করেন দশরথ। এই দশরথ, নার্গাজুন পাহাড়কে আজীবিকদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন। পুরানমতে দশরথ ও কুনাল প্রত্যেকেই আটবছর করে রাজত্ব করেন এবং সম্প্রতি নয় বছর রাজত্ব করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে সিংহাসনে বসেন শালিসূক (১৩ বছর), সােমবমর্ন বা দেববর্মন (৭বছর), শতধাবন (৪বছর) এবং বৃহদ্রথ (৭বছর)। মৌর্য বংশের সর্বশেষ রাজা ছিলেন বৃহদ্রথ। বৃহদ্রথের ব্রাহ্মন সেনাপতি পুষ্যমিত্র শুঙ্গ তাকে হত্যা করে সিংহাসনে বসেন এবং মৌর্য সাম্রাজ্যের পতন হয়।
অশােকের ১৪ টি শিলালিপির বিবরনঃ-
১. প্রথম শিলালিপিতে তিনি পশুহত্যা, পশুশিকার এবং বিভিন্ন উৎসব নিষিদ্ধ করেন। শুধুমাত্র দুটি ময়ুর ও একটি হরিণকে উৎসর্গের জন্য হত্যা করা যায় বলে উল্লেখ করেছেন।
২. দ্বিতীয় শিলালিপিতে তিনি মানুষের এবং পশুদের চিকিৎসা, রাস্তাঘাট নির্মান, কুয়াে তৈরী এবং রাস্তার পাশে গাছ লাগানাের কথা বলেছেন।
৩. তৃতীয় শিলালেখে রাজুক, প্রাদেশিক ও যুক্তা ইত্যাদি কর্মচারীদের কথা এবং শ্রমন ও ব্রাহ্মনদের স্বাধীনতার কথাও রয়েছে।
৪. চতুর্থ শিলালেখে ভেরীঘােষকে ধর্মঘােষে পরিনত করার কথা বলা হয়েছে।
৫. পঞ্চম শিলালেখে ধর্মমহামাত্রদের নিয়ােগের কথা বলা হয়েছে।
৬. ষষ্ঠ শিলালেখে মন্ত্রিপরিষদ, পুলিশিব্যবস্থা এবং প্রতিবিদিকরদের কথা বলা হয়েছে।
৭. সপ্তম শিলালেখে সকল শ্রেনির মানুষের মধ্যে ধর্মীয় সহিষ্ণুতা, আত্মকেন্দ্রিকতা থেকে মুক্তি এবং মনের বিশুদ্ধতা প্রাপ্তির উপায় সম্বন্ধে বলা রয়েছে।
৮. অষ্টম শিলালেখে অশােকের রাজত্বের দশম বছরে তাঁর বুদ্ধগয়ায় ধর্মযাত্রার কথা উল্লেখ আছে।
৯. নবম শিলালেখে বিভিন্ন অপ্রয়ােজনীয় উৎসব, নৈতিকতা এবং নেতিক ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।
১০. দশম শিলালেখে বলা হয়েছে যে রাজা যশ বা খ্যাতি চান না এবং ধম্মের প্রধান গুনগুলির কথা বলা হয়েছে।
১১. একাদশ শিলালিপিতে ধম্মের নীতি ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
১২. দ্বাদশ শিলালেখে মানুষের নৈতিক উন্নতি, ধর্মসহিষ*তা ও ভগবানের প্রতি বিশ্বাসের কথা বলা হয়েছে।
১৩. ত্রয়ােদশ শিলালিপিতে কলিঙ্গযুদ্ধের কথা এবং গ্রীস দেশে তাঁর ধম্মবিজয়ের কথাও রয়েছে। এটি তাঁর রাজত্বের নবম বছরে খােদিত হয়।
১৪. চতুর্দশ শিলালেখে উল্লেখ রয়েছে শিলালেখ করার উদ্দেশ্য।
অশােকের সবচেয়ে উঁচু স্তম্ভলিপি হল- রামপূর্বা
সবচেয়ে ছােট স্তম্ভলিপি - রুমেনদেই।
সবচেয়ে সুরক্ষিত স্তম্ভলিপি - লৌরিয়নন্দনগড়
সবচেয়ে প্রাচীন স্তম্ভলিপি - বাখিরা বা কলুহা
সর্বশেষ স্তম্ভলিপি - সারনাথ।
অশােকের বরাবর গুহা লিপি সংখ্যায় তিনটি। এখানে রাজাকে প্রিয়দর্শী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সম্রাট অশােক আজীবিকদের জন্য এই গুহালিপি উৎসর্গ করেন।
অশােকস্তম্ভ
সম্রাট অশােকের এক অনবদ্য কীর্তি হল অশােকস্তম্ভ৷ এটি চারটি সিংহের মুখযুক্ত একটি একক মূর্তি। এই সিংহচারটির পশ্চাৎ অংশ পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে এবং
মুখগুলি চারটি দিকে নির্দেশ করে। এর ফলে যে কোন দিক থেকে তিনটি সিংহের মুখ একবারে দেখা যায়। এই চারটি সংযুক্ত সিংহমূর্তি একটি উল্টানাে পদ্মফুলের উপরে বেদীতে স্থাপিত থাকে। এই বেদীর পাশে চারটি প্রানীর মূর্তি খােদাই করা থাকে। এই প্রানীগুলাে হল একটি হাতি, একটি দৌড়ানাে ঘােড়া, একটা ষাঁড়, এবং একটি সিংহ। এই চারটি জন্তুর মাঝে রয়েছে একটি করে চক্র। এই চক্রকে বলা হয় অশােকচক্র বা ধর্মচক্র৷ অশােক চক্রের কেন্দ্র থেকে ২৪ টি শলাকা। এই শলাকাগুলি ২৪টি বিষয়ের প্রতীক হিসাবে নির্দেশিত হয়। বর্তমানে অশােকস্তম্ভকে ভারত প্রজাতন্ত্রের জাতীয় প্রতীক হিসাবে গ্রহন করা হয়েছে।
সম্রাট অশোক দ্বিতীয় পর্ব (MCQ)>>>>
ধন্যবাদ
ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে - Click Here
মধ্য যুগের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here
আধুনিক ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here
ভারতের ইতিহাসের পিডিএফ ডিটেইলস পেতে Click Hereমৌর্য বংশ। অশোক| অশোকস্তম্ভ। অশােকের শিলালিপি। Ashoka| Ashoka MCQ| Ashoka Q And Answer| About Ashoka| ashok maurya| Ashoka Maurya| Chakravarti Ashok| Ashok Shilalekh| The Great Ashoka| Mother of Ashoka|