Type Here to Get Search Results !

 সৈয়দবংশ প্রথম পর্ব [Sayyid Dynasty]


 

 সৈয়দবংশ প্রথম পর্ব

Set By- Manas Adhikary

সৈয়দবংশ প্রথম পর্ব| Sayyid Dynasty 1st Part.

 সৈয়দবংশ| খিজির খান| মোবারক শাহ| মুহম্মদ শাহ| আলাউদ্দীন আলম শাহ| Khijir Khan|  Founder of Sayyid Dynasty| Sayyid Dynasty Rulers| Sayyid Dynasty of Delhi Sultanate| Sayyid Dynasty Notes.

নমস্কার, অভিনব  একাডেমিতে আপনাদেরকে স্বাগত জানাই।  আজকে আপনাদের জন্য আলোচনা করা হলো  সৈয়দবংশ প্রথম পর্ব। এই পর্বে থাকছে সৈয়দবংশ সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা। পরবর্তী পর্বে   এই টপিক থেকে কিছু অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে  আলোচনা করবো। পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতবর্ষের সমস্ত সরকারি চাকরীর পরীক্ষাতে বা প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য (All Competitive exam: UPSC,WBPSC, WBCS, SLST, WBP SI, WBP Constable, SSC, PSC, School Service, Railway exam etc) এই টপিকটি খুবই  গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

এছাড়াও আমাদের এই ব্লগে আপনি পেয়ে যাবে Indian History (Ancient, Medieval, Modern), Europe History, Geography, Gk, Bio-logy, Polity, child psychology, Environment Science, Pedagogy ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় গুলি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

  সৈয়দবংশ সংক্ষিপ্তরূপ। About Sayyid Dynasty.

প্রতি সপ্তাহের মকটেস্টের জন্য নীচে দেওয়া Telegram গ্রুপে জয়েন করতে পারেন

 টেলিগ্রাম গ্রুপ যোগদান করার জন্য - Click Here

 

১৩৯৯ খ্রিস্টাব্দে  সমরকন্দের আমীর তৈমুর ভারত অভিযান করেন। তিনি এই ভারত অভিযানে লুণ্ঠিত অপরিমিত সম্পদ ও অগণিত ভারতিয় যুদ্ধ বন্দী নিয়ে ভারত ত্যাগ করেন। ভারত ত্যাগের আগে তিনি লাহোর, মুলতান ও দিপালপুরের শাসনকর্তা নিযুক্ত করে যান তাঁর বিশ্বস্ত অনুচর খিজির খানকে  তখন থেকে খিজির খান ছিলেন সমরকন্দের অধীনে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলের শাসনকর্তা। তিনি মুলতানে তার  শাসনকেন্দ্র স্থাপন করেন। ১৪১৩ খ্রিস্টাব্দে তুঘলক বংশের শেষ সুলতান মাহমুদ শাহের মৃত্যুর সাথে সাথে তুঘলক বংশের অবসান ঘটে। দিল্লীর আমীরগণের একাংশ দৌলত খান লোদী নামক একজনকে দিল্লীর সিংহাসনে বসান। কিন্তু তাঁর সিংহাসনপ্রাপ্তির পিছনে দিল্লীর আমীরগণের সকলের সমর্থন ছিল না। ফলে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। এই অনিশ্চয়তার সুযোগ নিয়ে খিজির খান, দৌলত খান লোদীকে দিল্লীর সিংহাসন থেকে অপসারিত করে  দিল্লীর সিংহাসন দখল করেন।  খিজির খান সুলতান উপাধি গ্রহণ করেন নি। তিনি তৈমুরের পুত্র ও উত্তরাধিকারী শাহরুখের প্রতি সর্বদাই অনুগত ছিলেন। প্রায়শই তিনি শাহরুখের নিকট বিভিন্ন উপঢৌকন পাঠাতেন। খিজির খান নিজেকে হযরত মুহম্মদ (সা:) -এর বংশধর বলে দাবি করতেন। এজন্য দিল্লীতে তাঁর প্রতিষ্ঠিত বংশ সৈয়দ বংশ নামে পরিচিত লাভ করে।

খিজির খান

খিজির খান একজন যোগ্য শাসক ছিলেন। দিল্লীর সিংহাসনে বসে তিনি জনগণের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে সমর্থ হন। তৈমুরের আক্রমণে যেসব ভারাতিয়রা  ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলেন তিনি তাদেরকে অর্থ সাহায্য করেন। তারা আবার চাষ-বাস, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি দৈনন্দিন কাজে মন দেয়। রোহিলখন্ড, দোয়াব প্রভৃতি অঞ্চল তিনি পুনরায় দিল্লী সালতানাতের অধীনে আনেন। এর ফলে দিল্লী সালতানাত পশ্চিমে মুলতান থেকে পূর্বে জৌনপুর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। বলা যায় যে, খিজির খান দিল্লী সালতানাতের হৃত গৌরব অন্তত: কিছুটা হলেও পুনরুদ্ধার করেন।  তাঁর সুশাসনে প্রজারা সুখে- শান্তিতে বসবাস করতো। খিজির খান উদার, ধার্মিক, দয়ালু ও সত্যবাদী হিসেবে সকলের নিকট খ্যাতিলাভ  করেছিলেন । তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে সুলতা্রেনা হলে্লেঅত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন।

মোবারক শাহ

খিজির খানের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র মোবারক শাহ দিল্লীর সিংহাসনে আরোহন করেন। তিনিও পিতার ন্যায় জনপ্রিয় শাসক ছিলেন। তার দরবারে  জ্ঞানী-গুণীরা সমাদর পেতেন। “তারিখ-ই-মোবারকশাহী"-র লেখক ইয়াইয়া বিন-আহমদ তাঁর পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেন। তিনি তাঁর গ্রন্থখানা সুলতানের নামে উৎসর্গ করেন। এই গ্রন্থে ইয়াহিয়া বিন-আহমদ সুলতানকে প্রজাবৎসল, ন্যায়বান ও বিনয়ী সুলতান হিসেবে চিত্রিত করেছেন। সারওয়ার-উল-মুলক নামক একজন আমীর ১৪৩৪ খ্রিস্টাব্দে মোবারক শাহকে হত্যা করেন ।

মুহম্মদ শাহ

সুলতান মোবারক শাহের মৃত্যুর পর তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র মুহম্মদ শাহ সিংহাসনে বসেন। তিনি ছিলেন যেমনি কোমল তেমনি কঠোর। পূর্ববর্তী সুলতানের ন্যায় তিনি জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা করতেন। তাঁর দরবারে মধ্য এশিয়ার বহু গুণীজনের সমাবেশ ঘটেছিল। প্রত্যহ একটা নির্দিষ্ট সময় তিনি তাঁদের সাহচর্যে কাটাতেন। সিংহাসনে বসেই তিনি পিতৃব্যের হত্যাকারী সারওয়ার-উল-মুলককে আক্রমণ করেন। যুদ্ধে সারওয়ার-উল-মুলক পরাজিত হন এবং তাঁকে হত্যা করা হয়।

আলম শাহ

মুহম্মদ শাহের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র আলাউদ্দীন আলম শাহ সিংহাসনে বসেন। তিনি ছিলেন দুর্বল প্রকৃতির শাসক। তার শাসনামলে দেশে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। আমীরগণ আবার শাসক পরিবর্তনের খেলায় লিপ্ত হন। আলম শাহের প্রধান মন্ত্রী হামিদ খান বিদ্রোহীদের নেতৃত্ব দেন। তিনি সরহিন্দের শাসনকর্তা বহলুল লোদীকে সিংহাসনে বসার আমন্ত্রণ জানান। বহলুল একদল সৈন্য নিয়ে দিল্লীর দিকে অগ্রসর হন। যুদ্ধ করার মতো সাহস বা শক্তি কোনটাই দুর্বল আলম শাহের ছিল না। তিনি স্বেচ্ছায় সিংহাসন ছেড়ে দেন। বহলুল লোদী দিল্লীর সিংহাসনে বসেন। এভাবে সৈয়দ বংশের অবসান হয় এবং  লোদী বংশের প্রতিষ্ঠা হয়।

 

সৈয়দবংশ দ্বিতীয় পর্ব (MCQ Part)>>>>


ধন্যবাদ

ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। 

 

পরিবেশের বিভিন্ন টপিকগুলি সম্পর্কে জানতে Click Here

প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে - Click Here

মধ্য যুগের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here

আধুনিক ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here

 ভারতের ইতিহাসের পিডিএফ ডিটেইলস পেতে Click Here

সৈয়দবংশ| খিজির খান| মোবারক শাহ| মুহম্মদ শাহ| আলাউদ্দীন আলম শাহ| Khijir Khan|  Founder of Sayyid Dynasty| Sayyid Dynasty Rulers| Sayyid Dynasty of Delhi Sultanate| Sayyid Dynasty Notes.

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad