MANAS ADHIKARY
প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনার উপাদান| Source of Indian History.
ইতিহাস রচনার উপাদান| Source of Indian History MCQ| Source of Ancient India History| Historical Sources of Ancient India| Sources of Indian History UPSC| Sources of Medieval India Class 7.
নমস্কার, অভিনব একাডেমিতে আপনাদেরকে স্বাগত জানাই। আজকে আপনাদের জন্য আলোচনা করা হলো প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনার উপাদান দ্বিতীয় পর্ব। এই পর্বে থাকছে প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনার উপাদান সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও কিছু প্রশ্নোত্তর। পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতবর্ষের সমস্ত সরকারি চাকরীর পরীক্ষাতে বা প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য (All Competitive exam: UPSC,WBPSC, WBCS, SLST, WBP SI, WBP Constable, SSC, PSC, School Service, Railway exam etc) এই টপিকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
এছাড়াও আমাদের এই ব্লগে আপনি পেয়ে যাবে Indian History (Ancient, Medieval, Modern), Europe History, Geography, Gk, Bio-logy, Polity, child psychology, Environment Science, Pedagogy ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় গুলি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।
ইতিহাস রচনার উপাদান প্রশ্নোত্তর প্রথম পর্ব । MCQ on Sources of Indian History.
প্রতি সপ্তাহের মকটেস্টের জন্য নীচে দেওয়া Telegram গ্রুপে জয়েন করতে পারেন
টেলিগ্রাম গ্রুপ এ যোগদান করার জন্য - Click Here
বর্ণমালা আবিষ্কারের পূর্বের ইতিহাস জানার জন্য আমাদের সে যুগের মানুষের তৈরি ও ব্যবহৃত দ্রব্যাদির উপর নির্ভর করতে হয়। বর্তমানে মানুষের অতীত ইতিহাস জানার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে। যে সমস্ত তথ্যসূত্রকে বিচার-বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন করে ইতিহাস রচিত হয়, সেগুলিকে ইতিহাসের উপাদান বলে। ইতিহাস রচনার জন্য উপাদান বা উৎস খুবই গুরুত্বপূর্ন। ভারতের প্রাচীন যুগকে মােটামুটিভাবে দুটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে- প্রাক ঐতিহাসিকযুগ এবং ঐতিহাসিক যুগ।
প্ৰাক ঐতিহাসিক যুগ সম্পর্কে জানা যায়, সেসময়ের মানুষের ব্যবহার করা ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র, যন্ত্রপাতি
প্রভৃতি থেকে। এই যুগের কোন লিখিত উপাদান পাওয়া যায় না।
ভারতে আর্যদের আগমনের সময় থেকে ঐতিহাসিক যুগের সূচনা হয়। প্রাচীন যুগের কোন ধারাবাহিক লিখিত উপাদান নেই। তবে বিভিন্ন উপাদানের সাহায্যে প্রাচীন যুগের ইতিহাস রচনা করা হয়। ইতিহাসের মূল উপাদান হলাে দুটি। যথা - প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান এবং সাহিত্যিক উপাদান।
প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানঃ- প্রাচীন লিপি, মুদ্রা, স্থাপত্য-ভাস্কর্য এর নিদর্শন ও ঐতিহাসিক ধ্বংসাবশেষ প্রভৃতি হল ইতিহাসের প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান। প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের নির্ভরযােগ্যতা অনেক বেশি, কারন এখানে ভূল তথ্য পরিবেশনের সুযােগ প্রায় নেই।
ক) প্রাচীন লিপি:- প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসাবে শিলালিপি খুবই গুরুত্বপূর্ন। পাথর, তামা লােহা, ব্রোঞ্জ ও পােড়ামাটির উপর খােদাই করা লিপি থেকে তৎকালীন রাজনৈতিক, আর্থসামাজিক এবং ধর্মীয় জীবনযাত্রার পরিচয় পাওয়া যায়। সে জন্য লিপিকে ইতিহাসের জীবন্ত দলিল বলে অভিহিত করা হয়। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে সাহিত্যের ভাষা ও বক্তব্যের পরিবর্তন ঘটলেও লিপি সবসময় অপরিবর্তিত থাকে বা তথ্য বিকৃত করার সম্ভাবনা থাকে না। লিপিকেও দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা-
1) দেশীয় লিপি:- ব্রাহ্মী, খরােষ্ঠী, তামিল, পালি, সংস্কৃত প্রভৃতি বিভিন্ন ভাষায় প্রাচীন ভারতীয় লিপিগুলির প্রধান বিষয়বস্তু ছিল ভারতীয় রাজাদের রাজ্যজয়, রাজ্যবিস্তার, ভূমিদন, শাসনব্যবস্থা, ধর্ম, রাজনৈতিক ঘটনা, ব্যবসাবানিজ্য প্রভৃতি। প্রাচীন ভারতের লিপিগুলির মধ্যে অশােকের শিলালিপি সবচেয়ে উল্লেখযােগ্য। এছাড়া হরিষেন রচিত এলাহবাদ প্রশস্তি থেকে সমুদ্রগুপ্তের বিজয় কাহিনী জানা যায়।কলিঙ্গরাজ খারবেলের হস্তিগুম্ফা লিপি, প্রতিহাররাজ ভােজের গােয়ালিয়র প্রশস্তি, বিজয় সেনের দেওপাড়া লিপি, চালুক্যরাজ দ্বিতীয় পুলকেশীর আইহােল প্রশস্তি, শকক্ষত্ৰপ রুদ্রদমনের জুনাগড় লিপি বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য। হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারােয় প্রাপ্তলিপির পাঠোদ্ধার আজও সম্ভব হয়নি। দাক্ষিণাত্যের পল্লব, চোল, চালুক্য, রাষ্ট্রকূট, ব্যাকাটক প্রভৃতি রাজবংশের ইতিহাসের জন্য লিপির উপর নির্ভরশীল হতে হয়। ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট স্মিথ, ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার প্রমুখ ঐতিহাসিক উপাদান হিসাবে লিপিকে প্রথম স্থানে রেখেছেন।
ii) বিদেশী লিপিঃ- এশিয়া মাইনর, কম্বােডিয়া, চম্পা, যবদ্বীপ, গ্রিস ও পারস্য প্রভৃতি বৈদেশিক অঞ্চলগুলি থেকে পাওয়া লিপিগুলি থেকে এইসব অঞ্চলের সঙ্গে প্রাচীন ভারতের সাংস্কৃতিক ও বানিজ্যিক সম্পর্কের ইতিহাস পাওয়া যায়।
খ) প্রাচীন মুদ্রাঃ- ভারতের প্রাচীন ইতিহাস জানার জন্য অন্য একটি প্রধান উপাদান হল মুদ্রা। এই মুদ্রাগুলি থেকে তৎকালীন রাজাদের নাম, রাজত্বকালের সন-তারিখ জানা যায়। মুদ্রার উপর আঁকা বিভিন্ন দেব-দেবীর মুর্তি থেকে প্রচলিত ধর্ম এবং শিল্পরীতি সম্পর্কে জানা যায়। প্রাচীন ভারতের এমন কিছু রাজা ছিলেন যাদের অস্তিত্ব কেবলমাত্র মুদ্রা থেকে জানা যায়। উদাহরনস্বরূপ বলা যায় যে, ব্যাকট্রিয় গ্রীক শাসকদের কথা। মুদ্রা থেকে তৎকালীন কোন রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়। গুপ্ত যুগের স্বর্ন মুদ্রার প্রচলন সেযুগের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কথা জানা যায়। গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের পর থেকে ঐতিহাসিক উপাদান হিসাবে মুদ্রার গুরুত্ব কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।
গ) প্রাচীন স্থাপত্য ও ভাস্কর্যঃ- প্রাচীন ভারতের বিহার, স্মৃতিসৌধ, মন্দির, স্থাপত্য, ভাস্কর্য প্রাচীন সভ্যতা ও ধর্মীয় বিশ্বাসের নীরব সাক্ষী। বিভিন্ন মঠ ও মন্দিরের নির্মানশৈলী বা মন্দিরের গায়ে খোদাই করা চিত্র থেকে প্রাচীনকালের সভ্যতা ও ধর্মীয় বিশ্বাস সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। সাঁচি, নালন্দা, অজন্তা, ইলােরা, তক্ষশীলা ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক অজানা তথ্যের সন্ধান দেয়। আঙ্কোরভাটের ও বরবুদুরের মন্দিরগুলি থেকে যথাক্রমে কম্বােজ ও জাভার সাথে ভারতের বানিজ্যিক সম্পর্কের ধারনা পাওয়া যায়।
ঘ) প্রাচীন সভ্যতার ধ্বংসাবশেষঃ- ভারতের বিভিন্ন স্থানে মাটি খুড়ে র্প্রাচীন সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ আবিস্কার করা হয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসাবে এদের গুরুত্ব অপরিসীম। হরপ্পা, মহেঞ্জোদাড়াের ধংসাবশেষ আবিস্কৃত না হলে ভারতের ইতিহাসের এক অমুল্য অধ্যায় আমাদের কাছে অজ্ঞাত থেকে যেত। এই ধ্বংসাবশেষ থেকে সেযুগের উন্নত সমাজ-সংস্কৃতি, ধর্ম-বিশ্বাসের তথ্য পাওয়া ঘেছে। এছাড়া পাটলিপুত্র, সারনাথ, তক্ষশীলা প্রভৃতি স্থানে খননকার্য চালিয়ে প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন আবিস্কার করা হয়েছে।
সাহিত্যিক উপাদানঃ- প্রাচীন যুগের অন্যতম একটি উপাদান হল সাহিত্যিক উপাদন। সাহিত্যিক উপাদানকে দুইভাগে ভাগ করা হয়। যথা- দেশীয় সহিত্য ও বৈদেশিক বিবরন। দেশীয় সাহিত্য উপাদানকে প্রধানত চারভাগে ভাগ করা হয়। যথাঃ-
ক) ধর্মীয় গ্রন্থঃ- প্রাচীন ভারতের অধিকাংশ গ্ৰন্থ ধর্মকে ভিত্তি করে লেখা। ধর্মগ্রন্থগুলির মধ্যে বেদ, উপনিষদ, পুরান, রামায়ন, মহাভারত, ত্রিপিটক, জাতক, কল্পসূত্র ও পরিশিষ্ট পর্বন বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য। চারটি বেদ, সূত্রসাহিত্য, বেদাঙ্গ প্রভৃতি থেকে আর্যদের সামজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে জানতে পারা যায়। বিভিন্ন স্মৃতিশাস্ত্রগুলি যেমন নারদস্মৃতি, বৃহস্পতি স্মৃতি, মনুস্মৃতি থেকে প্রাচীন ভারতের আর্থসামাজিক তথ্য সম্পর্কে একটা ধারনা উপলব্ধি করা যায়।
খ) ধর্মনিরপেক্ষ গ্রন্থ:- আইন, বিজ্ঞান, জ্যোতির্বিদ্যা, বান প্রভৃতি বিষয়ের উপর যে সমস্ত বই লেখা হয়েছিল।সেগুলিকে প্রাচীন ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ গ্রন্থ বলা হয়। এই গুলির মধ্যে কৌটিল্যর অর্থশাস্ত্র, পানিনির অষ্টাধ্যায়ী ব্যকরন, পতঞ্জলির মহাভাষ্য, ভাসের স্বপ্নবাসবদত্তা, শুদ্রকের মৃচ্ছকটিকম বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য। বিশাখদত্তের মুদ্রারাক্ষস, কালিদাসের অভিজ্ঞান শকুন্তলম, ও মালবিকাগ্নিমিত্রম প্রভৃতি নাটক থেকে ইতিহাসের বহু তথ্য সংগৃহীত হয়।
গ) জীবনচরিতঃ- বিভিন্ন রাজাদের সভাকবিগন রাজাদের কীর্তি-কাহিনী নিয়ে গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। সেই সমস্ত গ্রন্থগুলি থেকে অনেক ঐতিহাসিক তথ্য পাওয়া যায়। প্রাচীন ভারতের বিভিন্ন রাজাদের জীবনচরিতগুলির মধ্যে বানভট্ট রচিত ‘হর্ষচরিত', সন্ধ্যাকর নন্দী রচিত রামচরিত, বিলহন রচিত বিক্রমাঙ্কদেবচরিত, বাকপতি রচিত গৌড়বহ প্রভৃতি উল্লেখযােগ্য। এই জীবনচরিতগুলি মূলত রাজাদের সভাকবিদের লেখা বলে ইহা পক্ষপাত দোষে দুষ্ট।
ঘ) আঞ্চলিক ইতিহাসঃ- স্থানীয় বা আঞ্চলিকভাবে রচিত গ্রন্থের মধ্যে কাশ্মীরের উপর লিখিত কলহন বিরচিত ‘রাজতরঙ্গিনী', সােমেশ্বর রচিত 'রাসমালা’ ও ‘কীর্তি কৌমুদী' সিংহলী উপাখ্যান ‘দ্বীপবংশ ও মহাবংশ' এবং রাজশেখর রচিত ' প্রবন্ধকোষ' বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য।
বৈদেশিক বিবরনঃ- বিদেশি লেখক ও পর্যটকদের বিবরন থেকে প্রাচীন ভারতের ইতিহাস সম্পর্কে অনেক মূল্যবান তথ্য পাওয়া যায়। বিদেশি পর্যটকদের বিবরন তিনভাগে ভাগ করা হয়। যথা-
ক) গ্রিক বিবরনঃ- আলেকজান্ডার এর ভারত অভিযানের বিবরণ পাওয়া যায় জাস্টিন, প্লুটার্ক কাটিয়াস, প্লিনি, ডায়ােডােরাস, কুইন্টাস, আরিয়ান প্রমুখ লেখকদের রচনা থেকে। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজসভায় আগত গ্ৰীকদূত মেগাস্থিনিসের ইন্ডিকা গ্রন্থ থেকে ভারতের মৌর্য যুগের বিবরন পাওয়া যায়। অজ্ঞাত পরিচয় গ্রিক নাবিকের লেখা 'পারিপ্লাস অফ দ্য ইরিথ্রিয়ান সি' থেকে ভারতের সামুদ্রিক কার্যকলাপ ও ব্যবসা বানিজ্য সম্পর্কে বহু অজানা তথ্য জানা যায়। এছাড়াও টলেমির ভূগােল থেকে অনেক ঐতিহাসিক তথ্য পাওয়া যায়।
খ) চৈনিক ভ্রমনবৃত্তান্তঃ- মৌর্য পরবর্তী সময়ে ভারতের ইতিহাসের বহু তথ্য পাওয়া যায় চিনা লেখকদের রচনা থেকে। গুপ্তযুগে ফা-হিয়েন, হর্ষবর্ধনের আমলে হিউয়েন সাঙ ও ইত্-সিং এর বিবরন বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য।
গ) আরব পর্যটকদের বিবরনঃ- অষ্টম শতকে আরবীয় পর্যটকরা ভারতে আসেন ও বিভিন্ন গ্রন্থ রচনা করেন। মুসলিম পর্যটকদের মধ্যে অলবেরুনী রচিত ‘তহকক-ই-হিন্দ এবং আল মাসুলী, আল বিলাদুরি, সুলেমান, হাসান নিজামি প্রমুখদের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য।
ইতিহাস রচনার উপাদান| Source of Indian History MCQ| Source of Ancient India History| Historical Sources of Ancient India| Sources of Indian History UPSC| Sources of Medieval India Class 7.
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১) ইতিহাস কী?
- অতীতের বাস্তবতার অনুসন্ধান
২) ইতিহাসের জনক কাকে বলা হয়?
- হেরােডােটাস
৩) কে সর্বপ্রথম History শব্দটি উল্লেখ করেন?
- হােমার
৪) HISTORY শব্দটি এসেছে HISTORIA শব্দ থেকে এই HISTORIA শব্দটি কোন দেশীয়?
- গ্রিক শব্দ
৫) কারা সর্বপ্রথম আমাদের দেশকে ‘ইন্ডিয়া' বলে সম্বােধন করেন?
- গ্রীকরা
৬) চিনারা ভারতকে কি নামে ডাকত?
- যিন-তু
৭) কোন অভিলেখে সর্বপ্রথম ভারতবর্ষের নাম উল্লেখ আছে?
- হাতিগুম্ফা অভিলেখে।
৮) ভারতের প্রাচীনতম নাম কী?
- জম্বুদ্বীপ
9) জম্বুদ্বীপ কথার অর্থ কী?
- জম্বুবৃক্ষের মহাদেশ
১০) কোন রাজার নাম অনুসারে ভারতবর্ষ নামকরন করা হয়েছে?
- পৌরানিক যুগের সাগর বংশের সন্তান রাজা ভরতের নাম অনুসারে আমাদেৱ দেশের নামটি এসেছে ভারত বা ভারতবর্ষ।
১১) কোন নদীর নামানুসারে ভারতবর্ষের নাম ইন্ডিয়া বা হিন্দুস্থান হয়েছে?
- সিন্ধুনদীর নামানুসারে ভারতবর্ষের নাম ইন্ডিয়া বা হিন্দুস্থান হয়েছে।
১২) ভারতকে হিন্দুস্থান আখ্যা দিয়েছিলেন কারা?
- আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমনের সময় এদেশে আসা গ্রিকরা ভারতকে হিন্দুস্থান আখ্যা দিয়েছিলেন। মতান্তরে খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দিতে পারস্য সম্রাট দারায়ুস ভারতবর্ষকে হিন্দুস্থান আখ্যা দিয়েছিলেন, অর্থাৎ পারসিকরা ভারতবর্ষকে হিন্দুস্থান নাম দিয়েছিল।
১৩) হিন্দুস্থান শব্দটি প্রথম কোথায় পাওয়া গিয়েছে?
- ২৬২ খ্রীঃ খােদিত ইরানের সাসানীয় শাসকের নাখস-ই-রুস্তম নামক শিলালেখে।
১৪) ভারতের প্রাচীনতম তাম্রলেখের নাম কী?
- খ্রীঃ পূর্ব তৃতীয় শতকের পূর্বে উৎকীর্ন সােহগের তামলেখ (ইহা অশােকের জন্মের প্রায় ৫০ বছর পূর্বে রচিত হয়েছিল)
১৫) ভারতের প্রাচীনতম লিপির নাম কী?
- সিন্ধ্রি লিপি বা সিন্ধু লিপি। যার পাঠ উদ্ধার করা আজও সম্ভব
হয়নি। (যার লেখনিকাল আনুমানিক ২৫০০ খ্রিঃ পূর্ব এবং এর বর্ন বা অক্ষর সংখ্যা সাম্ভাব্য ২৭০ টি। এই
লিপির পাঠোদ্ধারে অসমর্থ হন লিপি বিশেষজ্ঞ ফাদার হেরাস)
১৬) প্রাচীন ভারতের প্রধান লিপি কোনটি?
- ব্রাক্ষ্মী। এটি ভারতীয় উপমহাদেশের সমস্ত দেশীয় বর্নমালা আদিজননী। যার অন্যতম কন্যা হিসাবে ধরা হয় বঙ্গলিপিকে।
১৭) কোন লিপি বামদিক থেকে ডান দিকে লেখা হত?
- ব্রাহ্মী লিপি
১৮) খরােষ্ঠি লিপি কোথা থেকে আহুত করা হয়েছে?
- আরমাইক
১৯) কিউনিফম লিপি কাদের ছিল?
- ইহা সুমেরিয়াসের লিপি। ইহা কীলকাকৃতি লিপি নামেও পরিচিত। এই লিপির মাধ্যমে সুমেরিয়র ব্যবসা-বানিজ্য চালাত।
২০) কোন শিলালিপিতে পার্থিয়ারাজ গন্ডোফার্নিসের বিজয়গাথা লিপিবদ্ধ আছে?
- তেখব-ই-বাহি
২১) এলাহবাদ স্তম্ভলেটি কোথায় সংরক্ষিত আছে?
- এলাহবাদ দূর্গে।
২২) দ্বিতী চন্দ্রগুপ্তের শক বিজয় ও অন্যান্য বিজয় কাহিনী কোথা থেকে জানতে পারা যায়?
- উদয়গিরি ও সাঁচী লিপি থেকে
২৩) হুনদের আক্রমন ও তাদের বিরুদ্ধে স্কন্দগুপ্তের বিজয়কাহিনী কোথা থেকে জানা যায়?
-ভিতরি স্তম্ভলিপি থেকে
২৪) সম্পট লেখটি কোথায় পাওয়া গেছে?
- পেশােয়ারে। (এটি একটি দানপত্র। প্রথম কনিষ্ক এটি সর্বাস্তবাদী আচার্যদের জন্য দান করেছিলেনে)।
২৫) বেলবা তামশাসন কিসের পরিচয় বাহক?
- এই তাম্রসাশনে প্রথম মহীপাল, বিদ্রোহী কৈবর্তদের হাত থেকে পিতৃরাজ্য বরেন্দ্রভূমি উদ্ধারের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন।
২৬) খালিমপুর তাম্রশাসন কীসের পরিচায়ক?
- স্থানীয় সামন্ত রাজাদের উপর ধর্মপালের কর্তৃত্বের কথা এবং সেই সময়কার রাজকর্মচারীদের পদ ও মর্যাদার পরিচায়ক।
২৭) ভারত সম্বন্ধে লেখা প্রথম বিদেশি লেখ বা লিপিটির নাম কী?
- এশিয়া মাইনরে প্রাপ্ত বােখাজকোই লেখ।
২৮) হস্তিগুম্ফা লিপি থেকে কোন ভারতীয় রাজার কথা জানা যায়?
- কলিঙ্গরাজ খারবেলের
২৯) কার আমলে জুনাগড় লিপি রচিত হয়?-
– সম্রাট মহাক্ষ্ত্রপ রুদ্ৰদামনের আমলে
৩০) কোন শিলালিপি থেকে স্কন্দগুপ্তের হূন অক্রমনকারীদের পরাজিত করার তথ্য পাওয়া যায়?
- ভিতারি শিলালিপি
৩১) এলাহবাদ প্রশস্তি কার রচনা?
- সমুদ্রগুপ্তর সভাকবি হরিযেন
৩২) নাসিক প্রশস্তিতে কোন সাতবাহন রাজার কীর্তি বর্নিত আছে?
- সাতবাহন বংশের শ্রেষ্ট নরপতি গৌতমীপুত্র সাতকর্নীর কীর্তি বর্নিত আছে।
৩৩) নানাঘাট শিলালিপি থেকে কোন রাজার সম্বন্ধে জানা যায়?
- সাতবাহন রাজা প্রথম সাতকর্নীর
৩৪) আইহােল প্রশস্তি কে রচনা করেন?
- চালুক্যরাজ দ্বিতীয় পুলকেশির সভাকবি রবিকীর্তি
৩৫) প্রাচীন ভারতে নৌ- বিদ্যায় পারদর্শী দুটি বংশের নাম লেখ।
- চোল ও রাষ্ট্রকূট
৩৬) ভারতের প্রাচীনতম মুদ্রারূপে কোনটিকে অভিহিত করা হয়?
- ১৯২৪ খ্রীষ্টাব্দে তক্ষশিলার ভীরমাউন্ডে প্রাপ্ত ছাপযুক্ত মুদ্রাসমূহ।
৩৭) ভারতে প্রথম স্বার্থক স্বর্নমুদ্রা কে চালু করেন?
- কুষানরাজা দ্বিতীয় কদফিসেস (তবে ইন্দো-গ্রিক রাজারা প্রথম সোনার মুদ্রা ভারতে চালু করেন।)
৩৮) ভারতে প্রথম সিসার মুদ্রা কারা প্রচলন করেন?
- মৌর্য রাজারা
৩৯) ভারতে প্রচলিত তামমুদ্রার মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন তামমুদ্রা কে প্রচলন করেন?
- কুজুল কদফিসেস।
৪০) ভারতে সর্বাধিক তামার পয়সা কারা জারি করেন?
- কুশানরা
৪১) কলচুরি শাসক গাঙ্গেয় দেবের মুদ্রায় কিসের অঙ্কিতরূপ পাওয়া যায়?
- লক্ষ্মীদেবীর
৪২) কার মুদ্রায় শিব-পার্বতীর অস্তিতরূপ পাওয়া গিয়েছে?
- হর্ষবর্ধন
৪৩) কার মুদ্রায় সর্বাধিক হিন্দু দেবদেবীর অঙ্কিতরূপ পাওয়া গিয়েছে?
- হুবিষ্কের মুদ্রায়
৪৪) ভারতে কোন যুগের মুদ্রা সর্বাধিক পাওয়া যায়?
- মৌর্যোত্তর যুগের
৪৫) ভারত্তে প্রতীনতম মুদ্রা আহাত কোন ধাতু দিয়ে তৈরী?
- অধিকাংশ রুপা এবং কিছুটা তামা দিয়ে।
৪৬) কোন চীনা যাত্রী চালুক্যদের শাসনকালে চীন ও ভারতের সম্পর্কে বিবরন দিয়েছেন?
- মাতবালিন
৪৭) বিক্রম ও শক সম্বাতের তফাত কত?
- ১৩৫ বছরের
48) প্রচীন ভারতের প্রথম ইতিহাসমূলক গ্রন্থ কোনটি?
- প্রাচীন ভারতের প্রথম ইতিহাসমূলক রচনা রাজতরঙ্গিনী
৪৯) রাজতরঙ্গিনী থেকে কোন অঞ্চলের ইতিহাস জানা যায়?
- কাশ্মীরের ইতিহাস জানা যায়।
৫০) রাজতরঙ্গিনী গ্রন্থটি কে রচনা করেন?
- কলহন
৫১) রাজতরঙ্গিনীর লেখক কলহনের সময় শাসক কে ছিলেন?
- জয় সিংহ
৫২) রাজতরঙ্গিনীতে কয়টি অধ্যায় আছে?
- আটটি
৫৩) বৈদিক সাহিত্যের কোন অংশকে বেদান্ত বলা হয়?
- উপনিষদকে
৫৪) বানভট্ট কার সভাকবি ছিলেন?
- হর্ষবর্ধনের
৫৫) হর্ষচরিত কার রচনা?
- বানভট্ট
৫৬) অর্থশাস্ত্র গ্রন্থটি কে রচনা করেন?
- চন্দ্রগুপ্তের মন্ত্রী কৌটিলা বা চানক্য অর্থশাস্ত্র রচনা করেন।
৫৭) ককে ভারতের প্রথম আইন প্রবর্তক মানা হয়?
- মনুকে
৫৮) আইন-ই আকবরী কে রচনা করেন?
- আবুল ফজল
৫৯) তহকিক-ই-হিন্দ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
- আলবেরুনী।
৬০) আলবেরুনীর প্রকৃত নাম কী?
- আবু রিহান
৬১) প্রাচীন কালের দুইজন রােমান লেখকের নাম লেখ।
- প্লুটার্ক ও প্লিনি
৬২) দক্ষিন ভারতের অধিবাসীরা কোন জাতির বংশধর?
- দ্রাবিড় জাতির বংশধর
৬৩) ভারতবর্ষে মোঙ্গল জাতির বংশধর কারা?
- আসামি, নেপালি, ভুটিয়া প্রভৃতি
৬৪) বাঙালিরা কোন জাতির বংশধর?
- নেগ্রিটো ও নর্ডিক
৬৫) সাঁওতালরা কোন জাতির বংশর?
- নেগ্রিটো
৬৬) কারা নার্ডিক জাতি নামে পরিচিত?
- আর্যরা
৬৭) আর্যজাতির বংশধর কারা?
- কাশ্মিরী, পাঞ্জাবি প্রভৃতি
৬৮) রাজপুতরা কোন জাতির বংশধর?
- হুন জাতির বংশধর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাত্তর
১) প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসাবে বিদেশী পর্যটকদের লিখিত বিবরনের গুরুত্ব লেখ।
- প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনার কাজে দেশীয় সাহিত্যিক উপাদামের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদের লিখিত বিবরনও সমান গুরুত্বপূর্ন। প্লুটার্ক, ডিওডােরাসের বিবরন ও আলেকজান্ডার ভরত অভিযান থেকে সাম্রাজ্য বিজয়ের কাহিনী জানা যায়। অলবেরুনীর তহকক-ই-হিন্দ গ্রন্থ থেকে তৎকালীন সমাজ-সংস্কৃতি সম্পর্কে আমরা ধারনা পাই। বিভিন্ন দেশের সাথে বানিজ্যিক সম্পর্ক বিভিন্ন পর্যটকদের রচনা থেকে আমরা জানতে পারি। এছাড়াও মেগাস্থিনিসের ইন্ডিকা থেকে মৌর্য যুগের কাহিনী জানতে পারি।
২) প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় লিপির গুরুত্ব উল্লেখ করুন।
- প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় লিপি বা শিলালিপির গুরুত্ব অপরিসীম। লিপি থেকে রাজাদের যুদ্ধবিগ্রহ, রাজ্যসীমা, রাজার নাম, বংশপরিচয়, শাসনকাল, কীর্তিসমূহ, শাসননীতি, সংস্কার সমূহ সম্পর্কে জানা যায়। বিদেশে প্রাপ্তলিপিগুলি থেকে ভারতের সাথে দেশগুলির রাজনৈতিক, বানিজ্যিক, সংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক পরিচয়ের কথা জানা যায়। লিপি সমকালীন বিভিন্ন রাজ্যের ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা ও অর্থনীতির, ধর্মের সম্যক ধারনা দেয়।
৩) তারানাথ কে ছিলেন?
তারনাথ ছিলেন তিব্বতীয় ঐতিহাসিক। তিনি "ভারতে বৌদ্ধধর্মের জন্ম" গ্রন্থটি রচনা করেন, যা ১৬৪৮ সালে প্রকাশিত হয়। তাঁর অপর দুটি গ্রন্থ হল দুলভা ও ত্যাংগুর। তারানাথের রচনা থেকে বৌদ্ধধর্মের বিভিন্ন তথ্য এবং পাল রাজাদের রাজত্বকালের পরিচয় পাওয়া যায়।
৪) মেগাস্থিনিস কে ছিলেন?
- মেগাস্থিনিস ছিলেন ভারতে আগত প্রথম গ্রিকদূত। তিনি সিরিয়ার গ্রিক রাজা সেলুকাসের রাষ্ট্রদূত হয়ে সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজত্বকালে ভারতে এসেছিলেন। তিনি ইন্ডিকা গ্রন্থের রচয়িতা।
৫) ইতিহাসের উপাদান বলতে কী বােঝ?
- ইতিহাস রচনা করার জন্য যেসব সুত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয় তাদেরকে ইতিহাসের উপাদান বলা হয়। শিলালিপি, মুদ্রা, স্থাপত্য-ভাস্কর্য, সাহিত্য প্রভৃতি হল ইতিহাসের উপাদান।
৬) প্রাচীন ভারতের উপাদানগুলিকে প্রধানত কয়টি ভাগে ভাগ করা হয়? ভাগগুলির নাম লেখ।
- প্রাচীন ভারতের উপাদানগুলিকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা- ক) প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান যথা - শিলালিপি, মুদ্রা, স্থাপত্য-ভাস্কর্য, সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ ইত্যাদি এবং খ) সহিত্য উপাদান যথা- i) দেশীয় সাহিত্য- ধর্মশাস্ত্র, বৈদিক সাহিত্য, মহাকাব্য, জীবনচরিত, বৌদ্ধ সাহিত্য ইত্যাদি। ii) বিদেশী পর্যটকদের বিবরন - গ্রিক রােমান পর্যটকদের বিবরন, চৈনিক পর্যটকদের বিবরন, অন্যান্য ঐতিহাসিকদের বিবরন।
৭) প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান কাকে বলে?
- ভগ্নাবশেষ বা মাটির নীচে খনন কার্যের ফলে প্রাপ্ত যেসব নিদর্শনগুলি থেকে প্রাচীন সভ্যতার অজানা তথ্য জানতে পারা যায় সেগুলিকে প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান বলা হয়। প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানকে প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের প্রধান নােঙর বলা হয়। ভারতে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা হলেন স্যার জন মার্শাল এবং ভারতে প্রত্নতত্ত্বের জনক বলা হয় আলেকজান্ডার ক্যানিংহােমকে।
৮) প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন আবিস্কারের পদ্ধতিগুলি কী?
- প্রত্নতত্ত্বিক নিদর্শন আবিষ্কারের তিনটি পদ্ধতি হল সমীক্ষা, উৎখনন এবং বিশ্লষন। উৎখনন পদ্ধতিটি দুই প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা হয়। যথা- উলম্ব-বা খাড়াখাড়ি এবং অনুভুমিক বা আড়াআড়ি। মধ্যপ্রস্তর যুগের প্রত্নক্ষেত্র রাজস্থানের বাগাের এবং তাম্রপ্রস্তর যুগের হরপ্পা ও মহেঞ্জোদাড়াের উৎখননকার্য পরিচালিত হয় অনুভুমিক পদ্ধতির মাধ্যমে।
৯) প্রাচীন ভারতের প্রশস্তিমূলক শিলালিপিগুলির নাম করো।
-ক) গুপ্ত সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের এলাহবাদ প্রশস্তি
খ) চালুক্যরাজ দ্বিতীয় পুলকেশীর আইহােল প্রশস্তি
গ) গুপ্তসম্রাট স্কন্দগুপ্তের ভিতারি শিলালিপি
ঘ) গৌতমী বলশ্রী রচিত নাসিক প্রশস্তি
ইতিহাস রচনার উপাদান দ্বিতিয় পর্ব >>>>
ধন্যবাদ
ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে - Click Here
মধ্য যুগের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here
আধুনিক ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here
ভারতের ইতিহাসের পিডিএফ ডিটেইলস পেতে Click Here
ইতিহাস রচনার উপাদান| Source of Indian History MCQ| Source of Ancient India History| Historical Sources of Ancient India| Sources of Indian History UPSC| Sources of Medieval India Class 7.