নমস্কার
অভিনব একাডেমীতে আপনাদেরকে স্বাগত জানাই। এই পর্বে আমরা জানবো একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ন টপিক ‘পশ্চিমবঙ্গের স্বাভাবিক উদ্ভিদ’ সম্পর্কে। বিগত বিভিন্ন চাকুরীর পরীক্ষার পশ্চিমবঙ্গের স্বাভাবিক উদ্ভিদ থেকে প্রশ্ন আসতে দেখা গিয়েছে। তাই এই টপিকটি যেকোন চাকুরীর পরীক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। আমি আমার সাধ্যমতাে চেষ্টা করেছি এই পােষ্টে পশ্চিমবঙ্গের স্বাভাবিক উদ্ভিদর সমস্ত দিকগুলি তুলে ধরার। এছাড়া বিভিন্ন টপিকের উপর মকটেস্ট দিতে নীচে দেওয়া আমাদের টেলিগাম গ্রুপ বা হােয়াটস অ্যাপ গ্রুপগুলির যে কোন একটিতে যােগদান করতে পারেন।
প্রতি সপ্তাহের মকটেস্টের জন্য নীচে দেওয়া যেকোন একটা গ্রুপে জয়েন করতে পারেন
টেলিগ্রাম গ্রুপ এ যোগদান করার জন্য - Click Here
পশ্চিমবঙ্গের স্বাভাবিক উদ্ভিদ
Set by - Manas Adhikary
যে সমস্ত উদ্ভিদ মানুষের প্রচেষ্টা ছাড়াই ভু-পৃষ্টে স্বাভাবিকভাবে জন্মায় এবং বেড়ে ওঠে তাদেরকে স্বাভাবিক উদ্ভিদ বলা হয়। পশ্চিমবঙ্গ ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ুর অন্তর্গত। তাই এখানকার স্বাভাবিক উদ্ভিদ গুলি ক্রান্তীয় মৌসুমি প্রকতির হয়। এ রাজ্যের স্বাভাবিক উদ্ভিদগুলিকে তাদের অবস্থান, গঠন, মাটির প্রকৃতি ইত্যাদি বৈশিষ্টের উপর ভিত্তি করে মােট পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
ক) উত্তরের পার্বত্য অঞ্চলের উদ্ভিদ
খ) উত্তরের তরাই ও ডুয়ার্স অঞ্চলের উদ্ভিদ
গ) পশ্চিমের মালভুমি অঞ্চলের উদ্ভিদ
ঘ) সমভুমি অঞ্চলের উদ্ভিদ
গ) ব-দ্বীপ অঞ্চলের উদ্ভিদ
উত্তরের পার্বত্য অঞ্চলের উদ্ভিদ
পশ্চিমবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলে (দার্জিলিং, কালিম্পং এবং অলিপুরদুয়ার জেলা) এইপ্রকারের উদ্ভিদ দেখতে পাওয়া যায়৷ একানকার উদ্ভিদের পাতার উপর যাতে বরফ জমতে না পারে তার জন্য পাতাগুলি সূচালাে হয়৷
উদ্ভিদগুলি সােজা হয়ে অনেক দূর পর্যন্ত উঠে যায় এবং এদের কান্ড নরম হয়৷ ঢালের প্রকৃতি অনুযায়ী এই জাতীয় উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন ঘটে।
চিরহরিৎ - পর্বতের নীচের দিকে প্রায় ১০০০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত। চিরসবুজ উদ্ভিদের অরন্য দেখতে পাওয়া যায়৷ এখানকার প্রধান প্রধান উদ্ভিদ হল- শাল, সেগুন, শিশু, গর্জন, বাঁশ, বেত ইত্যাদি।
নাতিশীতােষ্ণ অঞ্চলের সরলবর্গীয় উদ্ভিদ – ১০০০ মিটার উচ্চতা থেকে ৩০০০ মিটার উচ্চতার মধ্যে নীচের দিকে বড়াে পাতার পর্নমােচী এবং ওপরের দিকে সরু ও ছুঁচালাে (উল্টানাে মােচাকৃতি) পাতার সরলবর্গীয় উদ্ভিদ দেখা যায়। এখানকার প্রধান উদ্ভিদগুলি হল- ওক, ম্যাপল, পাইন, স**, দেবদারু, বার্চ প্রভৃতি।
আল্পীয় অঞ্চলের উদ্ভিদ - ৩০০০ মিটার উচ্চতার ওপরে এই জাতীয় উদ্ভিদ দেখা যায়। এখানকার প্রধান উদ্ভিদগুলি হল - সিলভার পাইন, রডােডেনড্রন ইত্যাদি।
উত্তরের তরাই ও ডুয়ার্স অঞ্চলের উদ্ভিদ
পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের পার্বত্য অঞ্চলের পাদদেশ তরাই ও ডুয়ার্স নামে পরিচিত৷ এইসব অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ার জন্য এই অঞ্চলটি আর্দ্র ও স্যাঁতসেঁতে হয়৷ ফলে এখানে যে সব উদ্ভিদ জন্মায় তারা চিরহরিৎ অর্থাৎ সর্বদা সবুজ হয়৷ গাছগুলির দীর্ঘ গুড়ি মােটা, কাঠ শক্ত ও ভারী হয়৷ এই বনভূমি গভীর হওয়ায় এর ভিতর সূর্যালােক কম প্রবেশ করে। এখানকার প্রধান উদ্ভিদগুলি হল- শাল, সেগুন, খয়ের, বেত, বাঁশ, মেহগনি, আয়রন উড, চাপলাস, রােজউড ইত্যাদি।
পশ্চিমের মালভুমি অঞ্চলের উদ্ভিদ
পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রামের উত্তর মধ্যাংশ, বীরভূমের পশ্চিমাংশ এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের উত্তর পশ্চিমভাগে পর্নমােচি গাছের এরূপ বনভূমি দেখা যায়৷ শুষ্ক শীতকালে এই বনভূমির বৃক্ষের পাতাগুলি ঝরে যায়। তাই এই বনভূমির নাম পর্নমােচি বা মৌসুমি বনভূমি৷ গাছগুলির দৈর্ঘ্য চিরহরিৎ উদ্ভিদের থেকে কিছুটা কম হয়৷ এখানকার উদ্ভিদগুলি মূলত ল্যাটেরাইট মৃত্তিকার উপর জন্মায়। এই বনভুমি খুব একটা গভীর হয় না। এখানকার প্রধান উদ্ভিদগুলাে হল - অর্জুন, শিমুল, শাল, পলাশ,মহুয়া, চন্দন ইত্যাদি।
সমভূমি অঞ্চলের উদ্ভিদ
উত্তর ও দক্ষিন ২৪ পরগনা, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও দক্ষিন দিনাজপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি, নদীয়া, পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া, বীরভুম ইত্যাদি জেলার সমভূমি অঞ্চলে এই জাতীয় উদ্ভিদ দেখা যায়। সমভুমি অঞ্চলে এই জাতীয় বনভূমি বিক্ষিপ্তভাবে দেখতে পাওয়া যায়৷ শুষ্ক শীতকালে এই বনভুমির বেশীরভাগ গাছের পাতা ঝরে যায়৷ অর্থাৎ এগুলি পর্নমােচি শ্রেনির উদ্ভিদ। এইসব উদ্ভিদগুলি মাঝারি উচ্চতাযুক্ত হয় এবং এদের কাঠ শক্ত হয় বলে জানালা-দরজা, আসবাবপত্র প্রভৃতি তৈরীতে এইসব উদ্ভিদ বেশী ব্যবহৃত হয়৷ ঘন বসতি কৃষিকাজের জন্য এখানকার অধিকাংশ বনভুমি কেটে ফেলা হয়েছে। এখানকার প্রধান উদ্ভিদগুলি হল- আম, জাম,বেল, তেঁতুল, অশ্বখ, কাঁঠাল ইত্যাদি।
ব-দ্বীপ অঞ্চলের উদ্ভিদ
উত্তর ও দক্ষিন ২৪ পরগনার ব-দ্বীপ অঞ্চলে এবং পূর্ব মেদিনীপুরের বঙ্গোপসাগরীয় এলাকায় এই জাতীয় উদ্ভিদ দেখা যায়। এই জাতীয় অরন্য লবনাক্ত মাটিতে গড়ে ওঠে। এই অরন্যের অপর নাম ম্যানগ্রোভ অরন্য৷ এখানকার উদ্ভিদে শ্বাসমূল ও ঠেসমূল দেখতে পাওয়া যায়৷ এদের জরায়ুজ অঙ্কুরােদগম দেখতে পাওয়া যায়। এই অরন্যের প্রধান উদ্ভিদগুলি হল সুন্দরী, গরান, গেওয়া, হেতাল, হােগলা, গােলপাতা, কেওড়া ইত্যাদি৷
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১) পশ্চিমবঙ্গের মােট আয়তনের (জল ও স্থলভাগ মিলে একত্রে) কত শতাংশ অরন্যভুমি?
- ১৩.৫২%
২) পশ্চিমবঙ্গের প্রায় কত শতাংশ ভুমি অরন্য দ্বারা আবৃত?
- ২০.৫%।
৩) পার্বত্য অঞ্চলের ৩০০০ মিটারের অধিক উচ্চতায় কোন প্রকার অরন্য দেখা যায়?
- আল্পীয় অরন্য
৪) পার্বত্য অঞ্চলের ১০০০-২০০০ মিটারের উচ্চতায় কোন প্রকার অরন্য দেখা যায়?
- নাতিশীতােষ্ণ পর্নমােচি উদ্ভিদ
৫) পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলায় টেম্পারেট জঙ্গল কত উচ্চতায় পাওয়া যায়?
-১৫০০ মিটার।
৬) পশ্চিমবঙ্গের ক্রান্তীয় শুষ্ক পর্নমােচি অরন্যের আয়তন কত?
- ০.৪৩০ হেক্টর
৭) পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলায় সবথেকে বেশি বনভূমি রয়েছে?
- দার্জিলিং
৮) পশ্চিমবঙ্গের বনভূমির পরিমান সবচেয়ে কম কোন জেলায়?
- মুর্শিদাবাদ
৯) যৌথ বনসংরক্ষন প্রকল্প, পশ্চিমবঙ্গের কোথায় সর্বপ্রথম সার্থক হয়?
-মেদিনীপুরের আরাবারি গ্রামে
১০) পূর্ব কলকাতার জলাভুমিকে কি হিসাবে ঘােষনা করা হয়েছে?
-রামসার স্থান হিসাবে।
১১) এশিয়ার বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরন্য কোথায় দেখতে পাওয়া যায়?
-গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চলে
১২) পশ্চিমবঙ্গের এমন একটি অরন্যের নাম করুন যাকে প্রাকৃতিক হেরিটেজ সাইট হিসাবে পরিগনিত করা হয়েছে?
- সুন্দরবন
১৩) সুন্দরবনকে নিম্নলিখিত কোন বৈশিষ্ট্রের জন্য "World Heritage Site" নামে নথিভুক্ত করা হয়েছে?
- ম্যানগ্রোভ বনভুমির জন্য এবং জীব বৈচিত্র্যের জন্য
১৪) সুন্দরবন ইউনেস্কোর "World Heritage Site" মর্যাদা পায় কোন সালে?
- ১৯৮৭ সালে
১৫) জরায়ুজ অঙ্কুরােদগম কোন অরন্যের উদ্ভিদে দেখা যায়?
- ম্যানগ্রোভ
১৬) পশ্চিমবঙ্গের কোন অরন্যের উদ্ভিদের শ্বাসমূল ও ঠেসমূল দেখা যায়?
-সুন্দরবন
১৭) কোন উদ্ভিদের শ্বাসমূল দেখা যায়?
- গেওয়া উদ্ভিদে
১৯) পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম সংরক্ষিত বনভূমি কোনটি?
- সুন্দরবন
২০) পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরন্য কোথায় অবস্থিত?
- পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন
২১) কোন অরন্যকে বাদাবন বলে?
- ম্যানগ্রোভ অরন্য
২২) দক্ষিনবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে কোন জেলায় সবথেকে বেশী অরন্য দেখা যায়?
-দক্ষিন ২৪ পরগনা
২৩) পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব হিমালয়ে কোন ধরনের উদ্ভিদ জন্মায়?
- আর্দ্র নাতিশীতােষ্ণ
২৪) পশ্চিমবঙ্গের একটি অঞ্চলের নাম করুন যেখানকার স্বাভাবিক উদ্ভিদ চিরহরিৎ?
- তরাই ও ডুয়ার্স অঞ্চলের
২৫) তরাই-ডুয়ার্স বনভূমি দেখা যায় কোথায়?
- দার্জিলিং হিমালয়ের পাদদেশে
২৬) তরাই-ডুয়ার্স অঞ্চলে জন্মায় কয়েকটি স্বাভাবিক উদ্ভিদের নাম করাে?
- শাল, শিশু, খয়ের, শিমুল।
২৭) পশ্চিমবঙ্গের কোথায় মস, লিচেন, ফার প্রভৃতি লক্ষ্য করা যায়?
- হিমালয় অঞ্চলে
২৮) পাইন,ফার প্রভৃতি কোন জাতীয় অরন্যের উদ্ভিদ?
- সরলবর্গীয়
২৯) ওক,ম্যাপল, বার্চ, লরেল কোন শ্রেনীর উদ্ভিদ?
- পর্নমােচি
৩০) কয়েকটি ক্রান্তিয় পর্নমােচি উদ্ভিদের নাম লেখ?
- শাল, শিমুল, পলাশ, অর্জুন, জারুল, মহুয়া, সেগুন প্রভৃতি।
৩১) শাল, সেগুন কোথায় বেশী দেখা যায়?
- মালভূমিতে
৩২) পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলায় শাল গাছে বেশী পাওয়া যায়?
- বাঁকুড়া জেলায়।
৩৩) পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলায় প্রচুর পরিমানে তুঁত গাছ জন্মায়?
- মালদহ
৩৪) তুঁত গাছ কোন ধরনের উদ্ভিদ?
- পর্নমােচি
৩৫) যেসব উদ্ভিদ বছরে একবার নির্দিষ্ট ঋতুতে পাতা ঝরায় তাদেরকে কি বলা হয়?
- পর্নমােচি উদ্ভিদ।
৩৬) পর্নমােচি অরন্যের অপর নাম কী?
- মৌসুমী অরন্য
৩৭) সরলবর্গীয় অরন্য দেখা যায় কোথায়?
- পার্বত্য অঞ্চলে।
৩৮) আল্পীয় অরন্য দেখা যায় কোন উচ্চতায়?
- ৩০০০ মিটারের বেশি উচ্চতায়
৩৯) মােচাকৃতির গাছ দেখা যায় কোন অরন্যে?
- পার্বত্য অরন্যে।
৪০) পুরুলিয়া জেলায় কোন ধরনের স্বাভাবিক উদ্ভিদ জন্মায়?
- শুষ্ক পর্নমােচি অরন্য
৪১) পশ্চিমবঙ্গের ভেষজ উদ্ভিদের চাষের কেন্দ্র কোনটি?
- মংপু।
৪২) পশ্চিমবঙ্গের কোথায় রডােডেনড্রন উদ্ভিদ লক্ষ্য করা যায়?
- পার্বত্য অঞ্চলে
৪৩) পশ্চিমবঙ্গের কোথায় চিরহরিৎ বনভুমি দেখা যায়?
- তরাই-ডুয়ার্স অঞ্চলে
৪৪) বিড়ি তৈরি হয় কোন গাছের পাতা থেকে?
- কেন্দু
৪৫) কী থেকে গালা উৎপন্ন হয়?
- লাক্ষা থেকে।
৪৬) জোয়ার-ভাটায় প্লাবিত হয় কোন অরন্যে?
- ম্যানগ্রোভ
৪৭) পশ্চিমবঙ্গের সমভূমি অঞ্চলে কী জাতীয় বৃক্ষ জন্মায়?
- পর্নমােচি বৃক্ষ
৪৮) পশ্চিমবঙ্গের কোথায় পেলিক্যান ময়ূর দেখতে পাওয়া যায়?
- সজনেখালি অভয়ারন্যে
৪৯) পশ্চিমবঙ্গের হাতি সংরক্ষন কেন্দ্র কোথায় গড়ে উঠেছে?
- জলপাইগুড়িতে
৫০) কুলিক পাখিরালয় কোথায় অবস্থিত?
- উত্তর দিনাজপুর
৫১) চিন্তামনিকর পাখিরালয়টি কোথায় অবস্থিত?
- কলকাতা
৫২) সিঙ্গালীলা ন্যাশনাল পার্ক কোথায় অবস্থিত?
- দার্জিলিং
৫৩) চাপড়ামারি অভয়ারন্য কোথায় অবস্থিত?
- ডুয়ার্সে।
৫৪) হিমালয়ের ভাল্লুক, হরিন প্রভৃতি কোন অভয়ারন্যে দেখা যায়?
- সিঞ্চল
৫৫) গরুমারা অভয়ারন্য কোনটির জন্য বিখ্যাত?
- এক শৃঙ্গ গন্ডার।
৫৬) বিভূতিভুষন বন্যপ্রানী অভয়ারন্য কোথায় অবস্থিত এবং এর পূর্বনাম কী ছিল?
- উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁও তে৷ এর পূর্বনাম ছিল পারমাদন অভয়ারন্য
৫৭) গরুমারা অভয়ারন্য কোন জেলায় অবস্থিত?
- জলপাইগুড়ি
৫৮) হ্যালিড়ে আইল্যান্ড অভয়ারন্য কোন জেলায় অবস্থিত?
- দক্ষিন ২৪ পরগনা
৫৯) লােথিয়ান আইল্যান্ড অভয়ারন্য কোন জেলায় অবস্থিত?
- দক্ষিন ২৪ পরগনা
৬০) পশ্চিমবঙ্গের মােট জাতীয় উদ্যানের সংখ্যা কত?
- ৬ টি।
৬১) পশ্চিমবঙ্গের মােট অভয়ারন্যের সংখ্যা কত?
- ১৪টি।
৬২) বছরের কোন দিনটিকে অরন্য দিবস হিসাবে পালন করা হয়?
- ২১ মার্চ
৬৩) বছরের কোন সপ্তাহটিকে অরন্য সপ্তাহ হিসাবে পালন করা হয়?
- ৮-১৪ জুলাই।
৬৪) পশ্চিমবঙ্গে কোথায় Soil Conservation Research Station টি অবস্থিত?
- পশ্চিম মেদিনীপুরের আবাশ (Abash) এ অবস্থিত ।
৬৫) গরুমারা জাতীয় উদ্যানের পাশে অবস্থিত অভয়ারন্যটির নাম কী?
- চাপরামারি
৬৬) একটি আমবাগানকে কেন্দ্র করে কোন অভয়ারন্য গড়ে উঠেছে?
- দক্ষিন ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর অভয়ারন্য (পক্ষীনিবাস)
৬৭) বীরভূমের শান্তনিকেতনের কাছে কোন অভয়ারন্য গড়ে উঠেছে?
- বল্লভপুর অভয়ারন্য
৬৮) ২০০০ সালের বন্যায় কোন অভয়ারন্যের অধিকাংশ দাগযুক্ত হরিন মারা যায়?
- উত্তর ২৪ পরগনার বিভূতিভুষন অভয়ারন্যে
৬৯) তিস্তা ও মহানন্দা নদীর মাঝখানে অবস্থিত অভয়ারন্যের নাম কী?
- মহানন্দা অভয়ারন্য
৭০) কুলিক অভয়ারন্য নামে কোন অভয়ারন্য বিখ্যাত?
- রায়গঞ্জ অভয়ারন্য
৭১) বঙ্গোপসাগরের সপ্তমুখী নদীর মােহহনায় কোন অভয়ারন্য অবস্থিত?
-লেথিয়ান দ্বীপ অভয়ারন্য
১) পশ্চিমবঙ্গের জাতীয় উদ্যানগুলির নাম লেখ এবং কোনটি কোথায় অবস্থিত?
ক্রমিক নং |
জাতীয় উদ্যান |
অবস্থান |
সংরক্ষিত জীব |
ক) |
সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান |
দক্ষিন চব্বিশ পরগনা |
বাঘ |
খ) |
নেওড়া উপত্যাকা জাতীয় উদ্যান |
কালিম্পং |
লাল পান্ডা |
গ) |
বক্সা জাতীয় উদ্যান |
আলিপুরদুয়ার |
বাঘ |
ঘ) |
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান |
আলিপুরদুয়ার |
একশৃঙ্গ গন্ডার |
ঙ) |
সিঙ্গালীলা জাতীয় উদ্যান |
দার্জিলিং |
|
চ) |
গােরুমারা জাতীয় উদ্যান |
জলপাইগুড়ি |
|
১) পশ্চিমবঙ্গের অভয়ারন্যের নামগুলি লেখ এবং কোথায় অবস্থিত তা নির্দেশ কর।
ক্রমিক নং |
অভয়ারণ্য |
অবস্থান |
সংরক্ষিত জীব |
১) |
রামানাবাগান |
বর্ধমান |
দাগযুক্ত হরিন |
২) |
বল্লভপুর |
বীরভুম |
দাগযুক্ত হরিন |
৩) |
বেথুয়াডহরি |
নদীয়া |
দাগযুক্ত হরিন |
৪) |
জোড়পােখরি |
দার্জিলিং |
সালামান্দার |
৫) |
সিঞ্চল |
দার্জিলিং |
হিমালয়ান কালাে ভল্লুক |
৬) |
মহানন্দা |
দার্জিলিং |
হাতি |
ধন্যবাদ
ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ভুগোল সম্পর্কিত বিভিন্ন টপিকগুলি পেতে - Click Here
প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে - Click Here
মধ্য যুগের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here
আধুনিক ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here