হর্ষঙ্ক বংশ
SET BY - MANAS ADHIKARY
হর্ষঙ্ক বংশ সংক্ষিপ্তরূপ ও MCQ প্রশ্নোত্তর। Harashanka Dynasty MCQ.
নমস্কার, অভিনব একাডেমিতে আপনাদেরকে স্বাগত জানাই। আজকে আপনাদের জন্য আলোচনা করা হলো হর্ষঙ্ক বংশ। এই পর্বে থাকছে হর্ষঙ্ক বংশ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সাথে অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর। পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতবর্ষের সমস্ত সরকারি চাকরীর পরীক্ষাতে বা প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য (All Competitive exam: UPSC,WBPSC, WBCS, SLST, WBP SI, WBP Constable, SSC, PSC, School Service, Railway exam etc) এই টপিকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
এছাড়াও আমাদের এই ব্লগে আপনি পেয়ে যাবে Indian History (Ancient, Medieval, Modern), Europe History, Geography, Gk, Bio-logy, Polity, child psychology, Environment Science, Pedagogy ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় গুলি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।
হর্ষঙ্ক বংশ সংক্ষিপ্তরূপ ও অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর। Harshanka Dynasty Information and MCQ.
মগধ ছিল প্রাচীন ভারতে ষােড়শ মহাজনপদগুলির মধ্যে অন্যতম। ষােড়শ মহাজনপদগুলির মধ্যে মগধ বেশ শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই রাজ্য বর্তমানে বিহারের পাটনা, গয়া আর বাংলার কিছু অংশ নিয়ে গঠিত ছিল। পর পর চারটি শক্তিশালী রাজবংশের হাত ধরে মগধের উত্থান হয়েছিল। এই রাজবংশগুলি হল –
হর্ষঙ্ক বংশ
শিশুনাগ বংশ
নন্দবংশ
মৌর্য বংশ
ভারতের ইতিহাসে হর্ষঙ্ক বংশ ‘পিতৃহন্তা রাজবংশ নামে পরিচিত। কারন এই বংশীয় রাজাদের প্রায় সকলেই পিতৃহত্যার মাধ্যমে সিংহসন আরােহন করেছিলেন।বুদ্ধচরিত থেকে জানা যায় হর্ষাঙ্ক বংশের প্রতিষ্ঠাতা হলেন বিম্বিসার এবং তার রাজত্বকালেই মগধের সাম্রাজ্য বিস্তার শুরু হয়েছিল। আনুমানিক ৫৪৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে বিম্বিসার মগধের সিংহাসনে বসেন। তাঁর রাজধানী ছিল রাজগীর। বুদ্ধদেবের সমসাময়িক বিম্বিসারের সিংহাসন আরােহনের সাথে সাথে মগধের শক্তি ও মর্যাদা বৃদ্ধি পেতে থাকে। তিনি অঙ্গরাজ ব্রহ্মদত্তকে পরাজিত করে অঙ্গ দখল করে নেন। এর ফলে অঙ্গ অন্তভুক্ত চম্পা বন্দরের মাধ্যমে মগধের সামুদ্রিক ও অন্তর্বানিজ্য বৃদ্ধি পায়। তিনি বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে সাম্রাজ্যবিস্তার নীতি গ্রহন করেছিলেন।
কোশলরাজ প্রসেনজিতের ভগিনী কোশলদেবীকে বিবাহ করে যৌতুক হিসাবে কাশী লাভ করেন। এই স্থান থেকে তিনি প্রায় এক লক্ষ মুদ্রা রাজস্ব হিসাবে পেতেন।
বৈশালীর লিচ্ছবি রাজকন্যা চেল্লনাকে বিবাহ করেন।
বিদেহ রাজকন্যা বাসবিকে বিবাহ করেন।
মােদ্র রাজকন্যা ক্ষেমাকে বিবাহ করেছিলেন।
বিম্বিসার রাজগৃহ শহরটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং গিরিব্রজ থেকে তিনি রাজগৃহে রাজধানী স্থানান্তরিত করেছিলেন। তিনিই ছিলেন প্রথম ভারতীয় রাজা যার স্থায়ী সেনাবাহিনী ছিল৷ গােষ্ঠি শাসিত সৈন্যদল ভেঙে দিয়ে তিনি সম্পূর্ন তাঁর অনুগত এক সেনাবাহিনী গঠন করেন। বিম্বিসার শ্রেনিক বা সেনিয়া নামেও পরিচিত ছিলেন। বিম্বিসার মগধে এক সুদক্ষ শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁর রাজবৈদ্যের নাম জীবক। অবন্তীরাজ চন্দ্র প্রদ্যোতের চিকিৎসার জন্য তিনি জীবককে অবন্তী নগরে প্রেরন করেছিলেন। তাঁর আমলে এশিয়ার আলাে গৌতম বুদ্ধ বৌদ্ধধর্ম প্রচার করেন। তিনি বুদ্ধের শিষ্যত্ব গ্রহন করার পর জীবককে বুদ্ধের চিকিৎসকরূপে নিযুক্ত করেন। তাঁর আমলে কার্যপন (রূপা ও তামা নির্মিত) মুদ্রার প্রচলন ছিল। তিনি রাজপুরােহিতের নিকট জানতে পারেন যে প্রিয়পুত্র অজাতশত্রু তাঁর দুরাবস্থার কারন হবে, তবুও কোন সমাধান না করেই সবকিছু ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়েছিলেন। ৪৯৩ খ্রস্টপূর্বাব্দে অজাতশত্রুর আদেশে তাঁকে বন্দী করা হয়। তাঁকে বন্দীশালাতে ঠিকমতাে খেতে দেওয়া হত না। তার মৃত্যু ত্বরান্বিত করার জন্য হাতে পায়ে ক্ষতের সৃষ্টি করা হতাে। এতে তাঁর শরীরের দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে। রাজার এই কষ্ট কোশলদেবীর হৃদয় বিদীর্ন করে দিচ্ছিল। তাই কোশলদেবী অজাতশত্রুর নজর এড়িয়ে কারাগারে বিম্বিসারকে খাওয়াতে যেতেন। বিম্বিসারের শারীরিক উন্নতি দেখে অজাতশত্রর সন্দেহ হয়। পরে ঘটনা জানতে পেরে কোশলদেবীর বন্দীশালা যাওয়া নিষিদ্ধ করেন। | জৈনগ্রন্থে উল্লেখিত বিবরণ অনুযায়ী কোশলদেবী এক একান্ত সাক্ষাৎকারে অজাতশত্রকে পিতার মুক্তি দানের জন্য প্রার্থনা করেন এবং বুঝিয়ে বলেন৷ অজাতশত্র নিজ হাতে পিতার শৃঙ্খল কেটে দেবার জন্য ৪৯২ খ্রীস্টপূর্বাব্দে কুঠার হাতে বন্দীশালার দিকে অগ্রসর হন। কুঠারধারী অজাতশত্রুকে দেখে বিম্বিসার মনে করেন তার প্রানপ্রিয় পুত্র তাঁকে হত্যা করতে আসছে। পুত্রের হাতে প্রান দেবার থেকে আত্মহত্যা শ্রেয় মনে করে নিজের কাছে লুকিয়ে রাখা বিষ পান করেন এবং অজাতশত্রুর কোলে মাথা রেখে মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর খবরে মুহ্যমানা কোশলদেবীও ভগ্নহৃদয়ে প্রানত্যাগ করেন। | অজাত শত্র ছিলেন বিম্বিসারের দ্বিতীয় স্ত্রী লিচ্ছবি রাজকন্যা চেল্লনার গর্ভজাত সন্তান। বিম্বিসারের শাসনকালে অজাতশত্র চম্পার শাসক হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন। মগধের সিংহাসনে আরােহন করার জন্য অধৈর্য হয়ে তিনি শেষ পর্যন্ত বিম্বিসারকে হত্যা করে সিংহাসনে বসে ছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে বৌদ্ধ গ্রন্থাদিতে৷ অজাতশত্রুকে পিতৃহত্যার কুপরামর্শ দান করেন বুদ্ধের বৈমাত্রেয় ভাই দেবদতত৷ দেবদত্ত গৌতম বুদ্ধকে অত্যন্ত ঘৃনা করতেন। পিতার সাম্রাজ্যবাদী সম্প্রসারনের নীতিকে তিনি অব্যাহত রেখেছিলেন। এদিক থেকে এশিয়ার শাসক দ্বিতীয় ফ্রেডারিকের সাথে তাকে তুলনা করা চলে। কেননা দ্বিতীয় ফ্রেডারিক ও অজাতশত্র উভয়ের সঙ্গেই তাদের পিতাদের সম্পর্ক ছিল খুবই তিক্তকর, অথচ তাদের শাসনকালে উভয়েই তাঁদের পিতার নীতি অনুসরন করেছিলেন। বিম্বিসারের রাজত্বকালে সাম্রাজ্যের যে পরিধি ছিল তাকে বহুদটর পর্যন্ত বিস্তৃত করেছিলেন অজাতশত্র। তার সময়েও মগধের রাজধানী ছিল রাজগৃহ। সিংহাসন লাভের কিছুকাল পরেই অজাতশত্র কোশলরাজ প্রসেনজিতের সঙ্গে সংঘর্ষে জরিয়ে পড়েন। মগধের সঙ্গে কোশলের এই যুদ্ধের কারন ছিল অজাতশত্র কর্তৃক বিম্বিসারকে হত্যা করা। এর ফলে কোশলরাজ প্রসেনজিত এর ভগ্নি শােকে প্রানত্যগ করেন। ইতিপূর্বে কোশল দেবীকে বিবাহ করে বিম্বিসারকে কোশলের অংশবিশেষ কাশীগ্রাম যৌতুক হিসাবে পেয়েছিলেন। কোশল দেবীর মৃত্যুর পর কোশলরাজ প্রসেনজিৎ কাশীগ্রাম তার পিতার দেওয়া যৌতুক প্রত্যাহার করে নেন। এর ফলে যে যুদ্ধ শুরু হয়। তার ফলাফল অনিশ্চিত হলেও শেষ পর্যন্ত অজাতশত্রর অনুকুলে যায়। প্রসেনজিৎ অজাতশত্রর কাছে আত্মসমর্পন করেতে বাধ্য হন। প্রসেনজিৎ নিজেও কন্যা ভাজিরাকুমারীর সাথে অজাতশত্রুর বিবাহ দেন। তাছাড়া যৌতুকরুপে অজাতশত্রকে কাশী ফিরিয়ে দেন। অজাতশত্রু বৈশালির লিচ্ছবিরাজ চেতকের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হন। যুদ্ধে বৃজি, মল্ল সহ ৩৬টি গণরাজ্য অজাতশত্রুর বিরুদ্ধে ও বৈশালির পক্ষে যােগ দিলে অজাতশত্র কূটকৌশলে গণরাজ্যগুলির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেন এবং জয়ী হন এবং কুনিক উপাধি ধারন করেন। বৃজির সাথে দীর্ঘ ১৬ বছর যুদ্ধ করার পরে অজাতশত্রু বৃজি দখল করেন। বৃজি জয়ে তার প্রধান অস্ত্র ছিল-
ক) সুনিধা ও ভৎস্যকর - মন্ত্রী।
খ) রথমুসালা - রথের চাকায় ব্লেড লাগানাে বিশেষ ঘাতক রথ।
গ) মহাশিলাকন্টক - বড়াে পাথর ছােড়ার যন্ত্রবিশেষ।
অজাতশত্র রাজগৃহে একটি দুর্গ তৈরী করেন এবং পাটলিগ্রামে একটি পর্যবেক্ষন দুর্গ তৈরী করেছিলেন। তাঁর আমলে ৪৮৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে কুশীনগরে এশিয়ার আলাে গৌতম বুদ্ধের মৃত্যু হয়। তাঁর পৃষ্ঠপােষকতায় ৪৮৩ খ্রীস্টপূর্বাব্দে রাজগৃহের সপ্তপর্নী গুহায় মহাকশ্যপের সভাপতিত্বে প্রথম বৌদ্ধ সঙ্গীতি/সম্মেলন আহুত হয়। এখানে ৫০০ জন বৌদ্ধ ভিক্ষু আমন্ত্রিত ছিলেন। এইসময় প্রধান বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ ত্রিপিটক বা তিন পেটিকা রচিত হয়। অজাতশত্রু রাজগৃহে এক বিশাল বৌদ্ধ স্তুপ নির্মান করেন।
অজাতশত্রর পর অজাতশত্রকে হত্যা করে মগধের সিংহাসনে বসেন তার পুত্র উদয়িন বা উদয়ভদ্র। উদয়িনির প্রধান কৃতিত্ব হল গঙ্গা ও শােন নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত পাটলিপুত্র নগরের নির্মান। পাটলিপুত্ৰ চতুর্দিকে জলবেষ্টিত হওয়াই একে "Water Fort বা জলদূর্গ বলা হতাে। উদয়িনির সভাকবি ভাস ‘স্বপ্নবাসবদত্তা ও প্রতিমা নামক গ্রন্থ রচনা করেন। উদয়িন ছিলেন জৈনধর্মের পৃষ্ঠপােষক। ৪৪৪ খ্রীস্টপূর্বাব্দে উদয়িনির রাজত্বকাল শেষ হয়। উদয়িনির পর যথাক্রমে অনিরুদ্ধ, মুন্ড, নাগদশক মগধের সিংহাসনে বসেন। বৌদ্ধগ্রন্থে এদের তিনজনকেই পিতৃহন্তা বলা হয়েছে। ৪১২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত হর্ষ বংশ রাজত্ব করে। হর্ষঙ্ক বংশের শেষ নরপতি ছিলেন নাগদশক। নাগদশককে তাঁর সভাসদ শিশুনাগ হত্যা করে মগধে শিশুনাগ বংশের রাজত্বের সূচনা করেন।
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১) ভারতের সবথেকে প্রাচীন রাজবংশের নাম কী?
-হর্ষঙ্ক বংশ
২) মগধে সাম্রাজ্যের সূচনা করেন কে?
- হর্ষঙ্ক বংশীয় রাজা বিম্বিসার।
৩) হর্ষঙ্ক বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?
- বিম্বিসার
৪) মগধের প্রথম রাজা কে?
- রাজা বিম্বিসার ছিলেন মগধের প্রথম ঐতিহাসিক রাজা
৫) মহাভারত অনুযায়ী মগধের প্রথম রাজা কে?
- বৃহদ্রথ
৬) বৃহদ্রথের পুত্রের নাম কী?
- জরাসন্ধ
৭) পুরানে হর্ষঙ্ক বংশের কোন রাজাকে শিশুনাগ বলা হয়েছে?
- বিম্বিসারকে
৮) হর্ষঙ্ক বংশ জানার জন্য কোন কোন উপাদানের উপর নির্ভর করতে হয়?
-মনুসংহিতা, গার্গীসংহিতা ও বায়ুপুরান
৯) ভারতের পিতৃহন্তা রাজবংশ নামে কোনটি পরিচিত?
- হর্ষঙ্ক বংশ। কারন এই বংশের প্রায় সকল রাজাই পিতৃহন্তা ছিলেন।
১০) বিম্বিসারের পিতার নাম কী?
- ভটিয় বা মহাপদুম বা মহাপদ্ম
১১) বিম্বিসারের মাতার নাম কী?
- বিম্ব
১২) বিম্বিসার কোন কোন জেলা নিয়ে মগধ সাম্রাজ্যের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন?
- দক্ষিন বিহারের পাটনা ও গয়া
১৩) হর্ষঙ্ক বংশের নরপতি বিম্বিসার কোন রাজ্য আক্রমন ও জয়ের মাধ্যমের মগধের রাজ্য বিস্তারের সূচনা করেন?
– অঙ্গ
১৪) বিম্বিসার কত বছর বয়সে রাজপদে অভিষিক্ত হন?
- বৌদ্ধগ্রন্থ মহাবংশ থেকে জানা যায় যে বিম্বিসার ১৫ বছর বয়েসে রাজপদে অভিসিক্ত হন
১৫) মগধের রাজধানী কোথায় ছিল?
- গিরিব্রজ বা রাজগৃহ (বর্তমান নাম রাজগীর)। ইহা পাঁচটি পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত ছিল এবং প্রবেশদ্বারগুলি পাথর দিয়ে বন্ধ থাকত।
১৬) কোন শাসক অঙ্গ মহাজনপদ জয় করে মগধের সাথে একীভূত করেন?
- বিম্বিসার
১৭) কাকে পরাজিত করে বিম্বিসার অঙ্গজয় করেন?
- ব্রহ্মদত্তকে
১৮) হর্ষঙ্ক বংশে কোন বন্দরের মাধ্যমে মগধের ব্যবসা-বানিজ্য চলত?
- অঙ্গরাজ্যের অন্তর্গত চম্পা নামক বন্দরের মাধ্যমে।
১৯) বুদ্ধের সমসাময়িক মগধের রাজা কেছিলেন?
- হর্ষঙ্ক বংশের রাজা বিম্বিসার ছিলেন বুদ্ধের সমসাময়িক।
২০) বিম্বিসারের উপাধি কী ছিল?
- শ্রেনিক
২১) প্রাচীন গ্রন্থগুলিতে বিম্বিসারকে কি নামে উল্লেখ করা হয়েছে?
- সেনিয়
২২) মহাবীরের সাথে কোন বংশের সম্পর্ক ছিল?
- হর্ষঙ্কবংশ (বিম্বিসার)
২৩) বিম্বিসার কীভাবে কাশী দখল করেন?
- বিম্বিসার কোশল রাজ মহাকোশলের কন্যা কোশল দেবীকে বিবাহ করলে বিবাহের যৌতুক হিসাবে কাশীর অধিকার লাভ করেন। তার চার মহিষীর মধ্যে কোশলদেবী ছিলেন প্রধান রাজমহিষী।
২৪) বিম্বিসারের রাজ্যবিস্তার নীতি কি ছিল?
- বৈবাহিক সম্পর্ক ও যুদ্ধনীতি। তবে তিনি বৈবাহিক সম্পর্কের উপর বেশী জোর দিতেন।
২৫) বিম্বিসারের রাজ-বৈদ্যের নাম কী?
- জীবক।
২৬) বিম্বিসার রাজবৈদ্য জীবককে কেন অবন্তীনগর পাঠিয়েছিলেন?
- অবন্তীরাজ চন্দ্র প্রদ্যোতের চিকিৎসার জন্য।
২৭) বিম্বিসার কোন ধর্ম গ্রহন করেছিলেন?
- তিনি বুদ্ধের কাছে শিষ্যত্ব গ্রহন করে বৌদ্ধধর্ম গ্রহন করেছিলেন। এবং রাজ-বৈদ্য জীবককে গুতম বুদ্ধের চিকিৎসার জন্য নিয়ােগ করেছিলেন।
২৮) হর্ষঙ্ক আমলে প্রচলিত মুদ্রার নাম কী?
- কার্যপন (রূপা এবং তামার তৈরী ছিল)
২৯) বিম্বিসারকে কে হত্যা করেন?
- তাঁর পুত্র অজাতশত্রু
৩০) অজাতশত্রুর মায়ের নাম কী?
- বিম্বিসারের দ্বিতীয় মহিষী ও বৈশালীর লিচ্ছবিপ্রধান চেতকের কন্যা চেলেন্না ছিল অজাতশত্রুর মাতা
৩১) অজাতশত্রুকে পিতৃহত্যার কুপরামর্শ কে দেন?
- গৌতম বুদ্ধের বৈমাত্রেয় ভাই দেবদত্ত। কারন তিনি গৌতমবুদ্ধকে সহ্য করতে পারতেন না আর বিম্বিসার গৌতমবুদ্ধকে গুরুদেব হিসাবে স্বীকার করেছিলেন।
৩২) বিম্বিসারের পর কে মগধের সিংহাসনে বসন?
- অজাতশত্রু
৩৩) অজাতশত্রু কি উপাধি নিয়েছিলেন?
- কুনিক
৩৪) হর্ষঙ্ক বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা কে ছিলেন?
- অজাতশত্র
৩৫) অজাতশত্র কেন কোশলরাজ প্রসেনজিৎ এর সাথে যুদ্ধে জড়িয়েছিলেন?
- বিম্বিসারকে হত্যা করার জন্য কোশলদেবীর ভাই প্রসেনজিৎ ক্রোধের বশে কাশী দখল করে নেন। কাশি পূর্নদখল করার জন্য অজাতশত্ৰ কোশল আক্রমন করেন এবং প্রসেনজিৎ কে যুদ্ধে পরাস্ত করেন। পরাজিত কোশলরাজ কাশী ফিরিয়ে দেন এবং নিজ কন্যা বাজিরাকে তার সাথে বিয়ে দেন।
৩৬) বৃজি আক্রমনের সময় অজাতশত্র কোথায় দুর্গ স্থাপন করেন?
- পাটলিপত্র।
৩৭) বৃজি আক্রমনের সময় অজাতশত্র কোন অস্ত্র ব্যবহার করেছিলেন?
– মহাশিলাকন্টক ও রথ-মুসল নামক উন্নত যুদ্ধাস্ত্র।
৩৮) কোথায় কার আমলে প্রথম বৌদ্ধ সঙ্গীতি (সম্মেলন) অনুষ্ঠিত হয়?
- বুদ্ধের দেহত্যাগের পরে অজাতশত্রুর সময়কালে রাজগৃহের সপ্তপর্নীনামক গুহায় প্রথম ‘বৌদ্ধ সঙ্গীতি(সম্মেলন) আহুত হয়।
৩৯) প্রথম বৌদ্ধ সম্মেলনের সভাপতি কে ছিলেন?
- মহাকাশ্যপ।
৪০) প্রথম বৌদ্ধ সম্মেলনে কি হয়েছিল?
- প্রথম বৌদ্ধসম্মেলনে গৌতম বুদ্ধের বানীগুলি নিয়ে ত্রিপিটক বা তিন পেটিকা (পেটিকা অর্থ ঝুড়ি) ভাগে বিভক্ত করা হয়েছিল। পেটিকা গুলি হল- সুত্রপিটক, বিনয়পিটক, এবং অভিধর্মপিটক।
৪১) কার আমলে ও কোথায় গৌতম বুদ্ধ মহাপরিনিবার্ন লাভ করেন?
- অজাতশত্রুর আমলে কুশিনগরে বুদ্ধ মহাপরিনির্বান লাভ করেন।
৪২) রাজগৃহে (বর্তমানে রাজগীর) এক বিশাল বৌদ্ধস্তুপ কর নির্মান করেন?
-অজাতশত্রু |
৪৩) কোন রাজা মহাবীর ও গৌতম বুদ্ধের সমসাময়িক ছিলেন?
-অজাতশত্রু
৪৪) অজাতশত্রুর পুত্রের নাম কী?
-উদয়িন
৪৫) পুরান মতে অজাতশত্রুর পুত্রের নাম কী ছিল?
- পুরান মতে অজাতশত্রুর পুত্রের নাম দারসােকা। আর উদয়িন ছিল দারসােকার পুত্র।
৪৬) অজাতশত্রুকে কে হত্যা করেন ?
- তার পুত্র উদয়িন
৪৭) পাটলিপুত্র নগরী কে প্রতিষ্ঠা করেন?
-উদয়িন
৪৮) হর্ষঙ্ক বংশের রাজধানী রাজগৃহ বা গিরিব্রজ থেকে স্থানান্তরিত করে পাটলিপুত্রে কে নিয়ে যান?
- উদয়িন
৪৯) ওয়াটার ফোর্ড বা জলদূর্গ কাকে বলা হয়?
- পাটলিপুত্র দূর্গের চারিদিকে জলবেষ্টিত হবার দরুন একে ওয়াটার ফোর্ড বা জলদুর্গ বলা হয়।
৫০) উদয়িন কোন ধর্মের পৃষ্টপােষক ছিলেন?
- জৈনধর্ম
৫১) উদয়িনের শভাকবির নাম কী?
- ভাস
৫২) উদয়িন এর সভাকবি ভাস এর রচিত গ্রন্থদুটির নাম কী?
- স্বপ্নবাসবদত্তা ও প্রতিমা
৫৩) হর্ষঙ্ক বংশের শেষ রাজা কে ছিলেন?
- নাগদশক
৫৪) নাগদশকে কে হত্যা করেন?
- অমাত্য শিশুনাগ, নাগদশক কে হত্যা করে মগধের সিংহাসনে বসেন এবং হর্ষঙ্ক বংশের অবসান ঘটে ও শিশুনাগ বংশের উত্থান ঘটে।
ধন্যবাদ
ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
পরিবেশের বিভিন্ন টপিকগুলি সম্পর্কে জানতে Click Here
প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে - Click Here
মধ্য যুগের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here
আধুনিক ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here
ভারতের ইতিহাসের পিডিএফ ডিটেইলস পেতে Click Here