সামাজিক জীবন
পাল আমলের প্রশাসনিক ও সামাজিক অবস্থা দ্বিতীয় পর্ব| Administrative and Social conditions of the Pala period - II
মহাদণ্ডনায়ক। দশগ্রাম। পাটক।দূত। দূতক।
নমস্কার, অভিনব একাডেমিতে আপনাদেরকে স্বাগত জানাই। আজকে আপনাদের জন্য আলোচনা করা হলো পাল আমলের প্রশাসনিক ও সামাজিক ব্যবস্থা। এই পর্বে থাকছে পাল আমলের প্রশাসনিক ব্যবস্থা সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা। পরবর্তী পর্বে পাল আমলের সামাজিক ব্যবস্থা সম্পর্কিত আলচনা করব। পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতবর্ষের সমস্ত সরকারি চাকরীর পরীক্ষাতে বা প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য (All Competitive exam: UPSC,WBPSC, WBCS, SLST, WBP SI, WBP Constable, SSC, PSC, School Service, Railway exam etc) এই টপিকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
এছাড়াও আমাদের এই ব্লগে আপনি পেয়ে যাবে Indian History (Ancient, Medieval, Modern), Europe History, Geography, Gk, Bio-logy, Polity, child psychology, Environment Science, Pedagogy ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় গুলি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।
পাল আমলের সামাজিক ব্যবস্থা| Administrative and Social conditions of the Pala period - II
প্রাচীনযুগে আর্যদের আগমনের ভারতে যে চতুবর্ন নামক জাতিভেদ প্রথার উদ্ভব ঘটেছিল তা পাল আমলেও বিদ্যমান ছিল। এগুলি হল- ব্রাহ্মন, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শুদ্র। ব্রাহ্মনরা ছিলেন সমাজের সবচেয়ে উঁচু জাতি। এরা যাগ-যজ্ঞ, পূজা-অৰ্চনা, বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান পরিচালনা করতেন। এ যুগে ব্রাহ্মনদেরকে যে জমি দান করা হত এমন নজির অজস্র রয়েছে। প্রায় সকল ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, দানের গ্রহীতা ব্রাহ্মন। তখনকার দিনে পণ্ডিত ব্রাহ্মনদের গৃহে পাঠশালা গড়ে উঠত। যজন এবং অধ্যাপনা ছিল সাধারনত ব্রাহ্মনদের উপজীবিকা। পালযুগে বৌদ্ধ ছাড়াও ব্রাহ্মনরা রাজকার্যে অংশগ্রহন করতে পারতেন। ক্ষত্রিয়রা রাষ্ট্র শাসন করতেন। বৈশ্যরা ব্যবসা-বানিজ্য এবং পশুপালন করে নিজের জীবিকা নির্বাহ করতেন। সর্বশেষ শুদ্ররা আগে উল্লেখিত তিন জাতির মানুষের সেবা করতেন। পালরাজারা ধর্মে বৌদ্ধ হলেও তারা এই বর্ণাশ্রম ব্যবস্থার সমর্থক ছিলেন।
এছাড়াও পাল আমলে বাংলায় মিশ্র জাতির উপস্থিতি ছিল। যেমন- কিরাত, নিষাদ, দামিল, পুণ্ড্র ইত্যাদি। এদের মধ্যে দামিল ও নিষাদ জাতির মানুষজন চাষবাস করে নিজের জীবিকা নির্বাহ করত।
পাল যুগে নারীদের স্থান ছিল অনেক উঁচুতে। পাল রাজপ্রাসাদে নারীর প্রভাব ছিল অনেক বেশী। তারা ছিলেন শান্তস্বভাবের এবং মৃদুভাষিনী। পুরুষরা সাধারনত একটি বিবাহ করতেন। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে একাধিক বিবাহেরও উল্লেখ পাওয়া যায়। যেমন দেবপালের মুঙ্গের লেখ এবং প্রথম মহীপালের বাণগড় লেখে সপত্নী বিদ্বেষের উল্লেখ আছে। বিবাহের সময় পুরুষদেরকে যৌতুক দিলেই তবেই বিবাহ করতে পারত।
পালযুগে পোশাক পরিচ্ছদের তেমন কোন বিলাসিতা ছিল না। মহিলারা শরীরের উপরের অংশ আবৃত্ত রাখতেন এবং শাড়ী পরতেন। কখনো কখনো ওড়না ব্যবহার করার প্রচলনও ছিল। বৈধব্য জীবন ছিল তখনকার দিনের মহিলাদের কাছে এক অভিশাপ। স্বামীর মৃত্যুর সাথে সাথে নারীর আমোদপ্রমোদ, সাজসজ্জা, সুখসম্ভোগ সব শেষ হয়ে যেত। পুরুষরা সাধারনত পোশাক হিসাবে ধুতি, চাদর ব্যবহার করতেন। এছাড়াও তারা নাগরা জুতো ব্যবহার করতেন। নারী-পুরুষ সবাই অলংকার ব্যবহার করতেন। মহিলারা প্রসাধনী হিসাবে সিদুর, কাজল এবং পায়ে রং পরত। এছাড়াও সোনা ও রূপার তৈরী অলংকারেরও প্রচলন ছিল।
পালযুগে ভাত ও মাছ ছিল প্রধান ও প্রিয় খাদ্য। বাঙালি ব্রাহ্মন ছাড়া প্রায় সকলেই সুরা পান করতেন।
পাল আমলের প্রশাসনিক ও সামাজিক অবস্থা প্রথম পর্ব >>>>
পাল আমলের প্রশাসনিক ও সামাজিক অবস্থা তৃতীয় পর্ব >>>>
প্রতি সপ্তাহের মকটেস্টের জন্য নীচে দেওয়া Telegram গ্রুপে জয়েন করতে পারেন
টেলিগ্রাম গ্রুপ এ যোগদান করার জন্য - Click Here
ধন্যবাদ
ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
পরিবেশের বিভিন্ন টপিকগুলি সম্পর্কে জানতে Click Here
প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে - Click Here
মধ্য যুগের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here
আধুনিক ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here
ভারতের ইতিহাসের পিডিএফ ডিটেইলস পেতে Click Here