মুন্ডা বিদ্রোহ
Set By – Manas Adhikary
মুন্ডারা ছিলেন অস্ট্রিক জনগােষ্ঠির মানুষ। কোল সমাজে নেতৃস্থানিয় ব্যক্তি বা সর্দারকে বলা হত মুন্ডা বা গ্রামপ্রধান। আদতে এরা কোল সম্প্রদায়ের অংশ৷ কোলরা সবাই মিলে ছােটনাগপুর অঞ্চলে বনজঙ্গল কেটে ও পরিস্কার করে চাষবাসের উপযােগী করে তােলে। এই জমির মালিক কোন রাজাও না, কোন জমিদারও না৷ এই জমির মালিকানা ছিল যৌথ। একে খুৎকাঠি ব্যবস্থা বলা হয়৷ ঔপনিবেশিক শাসন এই আদিবাসীদের শুধুমাত্র আর্থিকভাবে যে ক্ষতিগ্রস্থ করেছিল তা না, আদিবাসীদের স্বাধিকার এবং প্রথাগত জীবনযাত্রাকেও করেছিল বিধ্বস্ত। এর ফলে আদিবাসীর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং তার চূড়ান্ত পরিনতি ছিলাে মুন্ডা বিদ্রোহ। মুন্ডা বিদ্রোহ হয়েছিল মূলত ছােটনাগপুর অঞ্চলে৷ এর মূল কেন্দ্র ছিল রাঁচি এবং সিংভুম অঞ্চল৷ ১৮২০ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সরাসরি ছােটনাগপুরের শাসনভার গ্রহন করে সেখানে ভুমি-বন্দোবস্ত চালু করে। উচ্চহারে কোম্পানির রাজস্ব, বহিরাগত বা দিকুদের অত্যাচার, মহাজনী শােষনের বিরুদ্ধে কোল, হাে, ওঁরাও এবং মুন্ডারা প্রতিরােধ গড়ে তুলেছিল। ১৮৩২ সাল নাগাদ ছােটনাগপুরে কোল বিদ্রোহ দেখা দেয় এবং উনবিংশ শতকে এই কোল বিদ্রোহের সম্প্রসারিত রূপ ছিল মুন্ডা বিদ্রোহ।
বিদ্রোহের কারনসমূহ
১৮৯৯-১৯০০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ মুন্ডারা কোম্পানির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়লে শুরু মুন্ডা বিদ্রোহ। এই মুন্ডা বিদ্রোহের কারনগুলি নীচে দেওয়া হল-
ক) খুৎকাঠি ব্যবস্থার অবসান- ঔপনিবেশিক শাসনের আগে ছােটনাগপুর অঞ্চলে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় খুৎকাঠি ব্যবস্থার প্রচলন ছিল। এই খুঁৎকাঠি প্রথা অনুসারে জমিতে যৌথ মালিকানা ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল। ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থায় এই খুঁৎকাঠি ব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে জমিতে ব্যক্তিগত মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়৷ যা সেখানকার আদিবাসীরা মেনে নিতে পারেনি।।
খ) সামাজিক ব্যবস্থার পরিবর্তন - মুন্ডা অধ্যুষিত অঞ্চলে বৃটিশ শাসন চালু হওয়ার ফলে সেখানকার প্রচলিত চিরাচরিত আইন (মুন্ডারি আইন), শাসন ও বিচারব্যবস্থা বাতিল করে বৃটিশ সরকার নতুন আইনবিধি প্রবর্তন করলে মুন্ডাদের মধ্যে অসন্তোষ পুঞ্জীভূত হয়৷
গ) জমি বেদখল উত্তরের সমভূমি থেকে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় আগত ঠিকাদার, মহাজন ও জমিদাররা (দিকু) মুন্ডাদের জমিগুলি (ভুইহারি জমি) থেকে মুন্ডাদের বিতাড়িত করে সেগুলি নিজেদের খাসজমিতে (মাঝিহাম) পরিনত করলে মুন্ডারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে৷
ঘ) করের বােঝা ও বেগার শ্রম - জমিদার ও মহাজনরা মুন্ডাদের ওপর নানা-ধরনের ও বিশাল পরিমান সুদ ও করের বােঝা চাপিয়ে দিত৷ সেই সাথে বেট বেগারি অর্থাৎ বিনা মজুরিতে নানা ধরনের কাজ করতে আদিবাসীদেরকে বাধ্য করা হত৷ এতে মুন্ডাদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটে।
ঙ) ধর্মান্তরিতকরন - লুথারান ও অ্যাঙ্গলিকান মিশনারিরা মুন্ডারি ধর্ম ও ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার চালাতে থাকে। খ্রিস্টান মিশনারিরা নানা প্রলােভন ও ভয় দেখিয়ে মুন্ডাদের খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করতে থাকে। এতে ধর্মভীরু মুন্ডাসমাজ বিদেশিদের উপর প্রচন্ড ক্ষুব্ধ ও বিদ্রোহী হয়ে ওঠে।
চ) চা ব্যবসায়ীদের শােষন - চা-বাগিচার সাহেব মালিকরা মিথ্যা প্রলােভন দেখিয়ে মুন্ডাদের শ্রমিকের কাজে নিয়ােগ করত৷ শােষন করাই হল সাহেবদের একমাত্র উদ্দেশ্য তা তারা ক্ৰমে বুঝতে পেরে ক্ষুব্ধ ও বিদ্রোহী হয়ে ওঠে৷
বিরসা মুন্ডা
বিরসা মুন্ডা শুধুমাত্র মুন্ডা বিদ্রোহের নায়ক নন, তিনি সমগ্ৰ আদিবাসী সমাজের কাছে এক কিংবদন্তী নেতা৷ “ধরতী আবা” বা ধরত্রীর পুত্র বিরসা মুন্ডা, মুন্ডাসমাজে হয়ে উঠেছিল সিংবােঙা বা সূর্যদেবতা এবং বিরসা ভগবান। ১৮৭৫ সালের ১৫ নভেম্বর বিহারে (বর্তমানে ঝাড়খন্ডের) রাঁচির উলিহাতু (মতান্তরে বােহান্ডা জঙ্গলের নিকট চালকাদ গ্রামে) গ্রামে বিরসা মুন্ডা জন্মগ্রহন করে। তাঁর বাবার নাম ছিল সুগানা মুন্ডা এবং মায়ের নাম ছিল করমি বাহাতু।
বিরসা মুন্ডার প্রাথমিক পড়াশােনা হয় সালগা গ্রামে। কুনতি ব্লকের সামলং স্কুলে তৃতীয় শ্রেণি অবধি পড়ার পর মুরজু ব্লকের উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেনী পাস করে ভর্তি হন চাইবাসার লুথেরান জার্মান মিশনারি বিদ্যালয়ে৷ এই বিদ্যালয়ে পড়ার সময় বিরসা খৃষ্টধর্ম গ্রহন করেন এবং তখন তাঁর নাম হয় “ডেভিড দাউদ”। এক সময় স্বাধীনতা সংগ্রামের আলােতে উদ্ভাসিত হয়ে সুগানা মুন্ডা বিরসাকে চাইবাসার স্কুল থেকে সরিয়ে নিয়ে খৃষ্টধর্ম ত্যাগ করে চাইবাসা থেকে গ্রামে ফিরে আসেন। ১৮৯১ সালে বিরসা মুন্ডা বান্দাগাঁও গ্রামের জমিদার জগমােহন সিংয়ের মুন্সী আনন্দ পাওরের সান্নিধ্যে এসে গ্রহন করেন বৈষ্ণব ধর্ম। এই সময় থেকেই বিরসা নিজ জাতির কল্যান কীভাবে সাধিত হয় তা নিয়ে ভাবতে শুরু করেন। বিরসা আদিবাসীদের তাঁদের মূল ঐতিহ্যবাহী উপজাতীয় ধর্ম ‘সার্না পন্থা’ অনুসরন করার পরামর্শ দেন। লােকের মুখে মুখে বিরসা হয়ে ওঠেন ‘ধরতি আবা’ অর্থাৎ জগৎ পিতা। মাত্র কুড়ি বছর বয়সে ১৮৯৫ সালে তিনি ঘােষনা করলেন এক নতুন ধর্মের যার মূল থিত্তি ছিল একেশ্বরবাদী মুন্ডা ধর্ম। দলে দলে মুন্ডা, ওরাও, খরাই নরনারীরা নতুন ধর্ম গ্রহন করে ‘বিরসাইত’ নামে পরিচিত হতে লাগলাে।
তিনি মুন্ডা সমাজের সংস্কারের জন্য কিছু নির্দেশিকা চালু করেছিলেন, যেমন-
ক) মুন্ডাদের মদ্যপান ত্যাগ করতে বলেছিলেন।
খ) সুন্দর এবং নির্মল গ্রাম ও চরিত্র গঠন করতে বলেছিলেন।
গ) সর্বপ্রকার কুসংস্কার ত্যাগ করতে বলেছিলেন।
ঘ) ব্রাহ্মনদের মতাে গলায় ‘জানে বা পবিত্র সূত্র ধারন করতে বলেছিলেন।
মিশনারি স্কুলে থাকার সময়েই বিরসা জড়িয়ে পড়েছিলেন সরদারি আন্দোলনে। তিনি তাঁর অভিজ্ঞতায় বুঝেছিলেন আদিবাসীদের দুরাবস্থার জন্য কেবলমাত্র বৃটিশরা দায়ী নহে, তাদের সাথে দেশীয় দিকুরা সঙ্গ দিচ্ছে। এইসময় বিরসা বেগার খাটা নিষিদ্ধ ঘােষনা করেন। তার অনুচরেরা তার বানী গ্রামে গ্রামে প্রচার করতে লাগলাে। বিরসা। ঘােষনা করেন ‘মহাপ্রলয় আসন্ন’৷ ১৮৯৫ সালের ২৭ আগষ্ট মহাপ্রলয়ের দিন ঘােষিত হয়৷ জমিদার, মহাজনরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে আসন্ন মুন্ডারাজের কথা ভেবে৷ ২৩ আগষ্ট বিরসা মুন্ডা ও তার কয়েকজন অনুচরকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ বিচারে বিরসার দুবছর কারাবাস হয়৷ ১৮৯৭ সালে ৩০ নভেম্বর বিরসা মুক্তি পান।
আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্ব
বিরসার অনুপস্থিতিতে দিকুরা আদিবাসীদের উপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিল। বিরসা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে তার আন্দোলনের কেন্দ্র চালকাদ থেকে ডােম্বারি পাহাড়ে নিয়ে আসেন। ১৮৯৯ সালের ২২ ডিসেম্বর বিরসা কোটডাঙায় একটি সভায় ঘােষনা করেন খ্রিস্টানদের উৎসব বড়ােদিনের দিন আক্রমন করা হবে। শুরু হয় ‘উলগুলান’ যার অর্থ প্রবল বিক্ষোভ। এই দিন মুন্ডারা চক্রধরপুর, রাঁচি সহ বহুগ্রামে তীর ধনুক, টাঙ্গি নিয়ে বিদ্রোহে ঝাপিয়ে পড়ে। ১৮৯৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাঁচি ও খুন্তি বা খুঁটি শহরে বিরসা বাহিনীর ঝটিকা আক্রমনে বেশ কিছু পুলিশ সহ নিহত হন অনেক মানুষ, অগ্নিদগ্ধ হল শতাধিক ভবন। এই আক্রমনের জবাবে ব্রিটিশ কমিশনার ফোর্বস ও ডেপুটি কমিশনার স্ট্রিটফিল্ড ১৫০ সেনা নিয়ে ডোেম্বারি পাহাড় আক্রমন করে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করে চারশাে আদিবাসীকে৷ এইসময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন বিরসার সেনাপতি গয়া মুন্ডা৷ ডােম্বারি পাহাড় হয়ে যায় মৃতদেহের স্তুপ। মুন্ডাদের কাছে ডােম্বারি পাহাড়ের নাম হয়ে গেল ‘টপড বুরু’ (মৃতের স্তুপ)। তবে এইসময় পুলিশের চোখে ধুলাে দিয়ে চক্রধরপুরের যমকোপাই জঙ্গলে আত্মগােপন করেন বিরসা মুন্ডা। একদিন রােগাতাে নামক এক স্থানে সভা শেষ করে জঙ্গলেই ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন বিরসা। পাশেই ডােনকা মুন্ডার স্ত্রী সালি তাঁর জন্য ভাত রান্না করছিলেন। উনানের ধোয়া জঙ্গলের মাথার উপর দিয়ে আনেকদূর থেকে দেখে সেই ধোয়াকে এগিয়ে আসে ব্রিটিশ পুলিশ। অবশেষে মনমারু এবং জারকাইল গ্রামের কিছু মানুষ কিছু টাকা এবং পেট ভরে দুটো খাওয়ার লােভে বিরসাকে ধরিয়ে দেয়। বন্দী হন বিরসা মুন্ডা। ১৯০০ সালের ৯ জুন মাত্র ২৫ বছর বয়সে কলেরা রােগের কারনে রাচির জেলেই বিরসা মুন্ডা প্রানত্যাগ করেন (অনেকে মনে করেন যে তাঁকে বিষপ্রয়ােগে হত্যা করা হয়েছিল)। মুন্ডাদের কবর দেওয়া হয় কিন্তু বিরসাকে তড়িঘড়ি করে দাহ করা হয়েছিল৷উদ্দেশ্য ছিল দুটি-
১) তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারন ধামাচাপা দেওয়া।
২) সকল আদিবাসীকে বােঝানাে যে বিরসা ভগবান নয় একজন সাধারন মানুষ।
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১) মুন্ডা কোন আদিবাসি জনগােষ্ঠির একটি শাখা?
- কোল
২) কোল সমাজে কাদেরকে মুন্ডা বলা হত?
- নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি বা সর্দারকে
৩) খুঁৎকাঠি ব্যবস্থা কী?
- কোল সমাজে জমির মালিকানা ব্যক্তিগত ছিল না। তাদের জমির মালিকানা ছিল যৌথ। জমির এই যৌথ মালিকানা প্রথাকে বলা হত খুঁৎকাঠি ব্যবস্থা।
৪) মুন্ডা বিদ্রোহের কেন্দ্র কোথায় ছিল?
- খুঁটি
৫) মুন্ডা বিদ্রোহের নেতা বিরসা মুন্ডার প্রধান কর্মকেন্দ্র কোথায় ছিল?
- খুঁটি
৬) মুন্ডা বিদ্রোহকে কোন বিদ্রোহের সম্প্রসারিত রূপ বলা হয়?
- কোল বিদ্রোহের
৭) উপনিবেশিক শাসনব্যবস্থার আগে মুন্ডাদের মধ্যে যে আইন প্রচলিত ছিল তা কী নামে পরিচিত ছিল?
- মুন্ডারি আইন
৮) মুন্ডাদের উপাস্য দেবতা কে ছিলেন?
- সূর্য দেবতা বা সিংবাঙা
৯) মুন্ডা অধুষিত অঞ্চলে জঙ্গল পরিস্কার করে তৈরি জমিকে কী বলা হত?
- ভুইহারী
১০) মুন্ডা অধ্যুষিত অঞ্চলে জমিদারদের খাস জমিকে কী বলা হত?
- মাঝিহাম।
১১) বহিরাগতদের দ্বারা বাধ্যতামূলক বেগার শ্রম প্রদান কি বলা হতাে?
- বেট বেগারি
১২) বিরসা মুন্ডা কবে জন্মগ্রহন করেন?
- ১৮৭৫ সালের ১৫ নভেম্বর
১৩) বিরসা মুন্ডা কোথায় জন্মগ্রহন করেন?
- রাঁচির উলিহাতু গ্রামে।
১৪) বিরসা মুন্ডার জন্মের সময় রাঁচি কোন রাজ্যের অন্তর্গত ছিল?
- বিহার (বর্তমানে ঝাড়খন্ড)
১৫) বিরসা মুন্ডার পিতার নাম কী?
- সুগান মুন্ডা
১৬) কোন স্কুলে পড়ার সময় বিরসা মুন্ডা খ্রীস্টধর্ম গ্রহন করেছিলেন?
- চাইবাসার লুথেরান জার্মান মিশনারি স্কুলে।
১৭) খ্রীস্টধর্ম গ্রহন করার পর বিরসা মুন্ডার নাম কী হয়?
- ডেভিড দাউদ
১৮) কবে বিরসা খ্রিস্টধর্ম ত্যাগ করেন?
- ১৮৯০ সালে
১৯) কার প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে ১৮৯১ সালে বিরসা মুন্ডা
বৈষ্ণব ধর্ম গ্রহন করেন?
-জমিদার জগমােহন সিং এর মুন্সী আনন্দ পাওরের
২০) বিরসা মুন্ডা আদিবাসীদের কোন উপজাতিয় ধর্ম পালন করতে বলেছিলেন?
- সার্না পন্থা
২১) বিরসা মুন্ডা তাঁর নিজের জাতির লােকজনের কাছে কীনামে পরিচিত ছিলেন?
-ধরতি আবা
২২) ধরতি আবা কথার অর্থ কী?
- জগৎ পিতা
২৩) বিরসা মুন্ডা প্রচারিত একেশ্বরবাদী মুন্ডা ধর্ম যারা গ্রহন করেছিল তাদেরকে কী বলা হত?
- বিরসাইত।
২৪) কোন আইন প্রনয়নের মাধ্যমে বৃটিশ সরকার আদিবাসীদের জঙ্গলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেয়?
- ১৮৯৪ সালের অরন্য আইন।
২৫) কবে মুন্ডা ধর্মরাজ্য স্থাপনের ডাক দিয়েছিল বিরসা মুন্ডা?
- ১৮৯৫ সালে
২৬) ‘উলগুলান’ কথার অর্থ কী?
- প্রবল বিক্ষোভ
২৭) উলগুলান শব্দটি কোন বিদ্রোহের সাথে জড়িত?
- মুন্ডা বিদ্রোহ
২৮) মুন্ডা বিদ্রোহের কেন্দ্রস্থল কোথায় ছিল?
- ডােম্বরি পাহাড়
২৯) মুন্ডা বিদ্রোহের সূচনা হয় কবে?
- ১৮৯৯ সালে ২৫ ডিসেম্বর
৩০) মুন্ডা বিদ্রোহটি কোন সালে সংঘটিত হয়েছিল?
- ১৮৯৯-১৯০০ সালে
৩১) বিরসা মুন্ডার সেনাপতির নাম কী?
- গয়া মুন্ডা
৩২) বিরসা মুন্ডার প্রধান লক্ষ্য কী ছিল?
- স্বাধীন মুন্ডা রাজ প্রতিষ্ঠা করা।
৩৩) কোন অনুষ্ঠানের দিন বিরসা মুন্ডা বিদ্রোহের জন্য এলান করেছিলেন?
- বড়দিন।
৩৪) সইল রাকার পাহাড়ের যুদ্ধ কবে কাদের মধ্যে হয়েছিল?
- ১৯০০ খ্রিস্টাব্দের ৯ জানুয়ারি। ইংরেজদের সাথে মুন্ডাদের ।
৩৫) কারা মুন্ডা বিদ্রোহ দমন করতে ডােম্বারি পাহাড়ে গিয়েছিল?
- কমিশনার ফোর্বস ও ডেপুটি কমিশনার স্ট্রিটফিল্ড
৩৬) ‘টপড বুরু কথাটির অর্থ কী?
- মৃতের স্তুপ (মুন্ডারি ভাষা)
৩৭) বিরসাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য সরকার কত টাকা ঘােষনা করে?
- ৫০০ টাকা
৩৮) কোন জঙ্গল থেকে বিরসা মুন্ডাকে গ্রেপ্তার করা হয়?
- চক্রধরপুরের যমকোপাই
৩৯) বিরসা মুন্ডা কবে মারা যান?
- ১৯০০ সালের ৯ জুন
৪০) কোন রােগে আক্রান্ত হয়ে বিরসা মুন্ডা মারা যান?
- কলেরা
৪১) মুন্ডাদের ওঁরাও সম্প্রদায়ের মানুষজন যে আন্দোলন শুরু করেছিল তার নাম কী?
- তানাভকৎ আন্দোলন।
৪২) তানাভকৎ আন্দোলনে কোন কোন সম্প্রদায় যােদান করেছিল?
- তানা ভগৎ, ওঁরাও ও মুন্ডা সম্প্রদায়।
৪৩) তানাভকৎ আন্দোলনের প্রধান নেতা কে ছিলেন?
- যাত্রা ভগৎ ও তুরিয়া ভগৎ
৪৪) ছােটনাগপুর অঞ্চলে প্রজাস্বত্ব আইন কবে পাশ হয়েছিল?
- ১৯০৮ সালে
৪৫) মুন্ডা বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে কোন উপন্যাসটি রচিত হয়েছিল?
- অরন্যের অধিকার
মুন্ডা বিদ্রোহ সম্পর্কিত টপিকটির উপর মকটেস্ট দিতে নীচের মুন্ডা বিদ্রোহ মকটেস্ট সূচক ছবিটিিতে ক্লিক করুন।