Type Here to Get Search Results !

অসহযোগ আন্দোলন [Non Cooperation Movement]

 

অসহযোগ আন্দোলন

Set by- Manas Adhikary  


 

অসহযোগ আন্দোলন প্রথম পর্ব। Non Cooperation Movement – I.

অসহযোগ আন্দোলন, অহিংস অসহযোগ আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন কি, অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার, অসহযোগ আন্দোলনের গুরুত্ব, অসহযোগ আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা, অসহযোগ আন্দোলন কারন ও ফলাফল, অসহযোগ আন্দোলনের পটভূমি, অসহযোগ আন্দোলন কাকে বলে, অসহযোগ আন্দোলন কি ব্যাখ্যা কর, অসহযোগ আন্দোলন মানে কি, অসহযোগ আন্দোলন ssc, চৌরিচৌরা ঘটনা, চৌরিচৌরা, চৌরিচৌরা ঘটনা কী, চৌরিচৌরার ঘটনা, চৌরিচৌরা ঘটনা কী ?, চৌরিচৌরা ঘটনাটি কি, চৌরিচৌরা ঘটনা কত সালে হয়, চৌরিচৌরা কোথায় অবস্থিত, চৌরিচৌরা ঘটনার গুরুত্ব কী ছিল, চৌরিচৌরা ঘটনা কোথায় ঘটেছিল?, চৌড়া চুরি ঘটনা, Non Cooperation Movement, Non-Cooperation Movement, Non Cooperation Movement in India, Non Cooperation Movement class 10, Non Cooperation Movement UPSC, Non Cooperation Movement India, Non Cooperation Movement NCERT, Non-Cooperation Movement 1920, Indian National Movement, Non Cooperation Movement Year.

 

নমস্কার, অভিনব  একাডেমিতে আপনাদেরকে স্বাগত জানাই, আজকে আপনাদের জন্য আলোচনা   করা  হলো  অসহযোগ আন্দোলন এই পর্বে থাকছে  অসহযোগ আন্দোলন সম্পর্কে  সংক্ষিপ্ত আলোচনা। পরবর্তী পর্বে এই টপিক থেকে কিছু অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করা হবে।  পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতবর্ষের সমস্ত সরকারি চাকরীর পরীক্ষাতে বা প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য (All Competitive exam: UPSC,WBPSC, WBCS, SLST, WBP SI, WBP  Constable, SSC, PSC, School Service, Railway exam etc) এই টপিকটি খুবই  গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।এছাড়াও আমাদের এই ব্লগে আপনি পেয়ে যাবে Indian History (Ancient, Medieval, Modern), Europe History, Geography, Gk, Bio-logy, Polity, child psychology, Environment Science, Pedagogy ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় গুলি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর। 

অসহযোগ আন্দোলন সংক্ষিপ্ত আলোচনা । About Non Cooperation Movement.    

 

1920  খ্রীঃ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে এক স্মরনীয় বছর হিসাবে চিহ্নিত। এই বছর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস তার 35 বছরের পুরাতন আবেদন নীতি 'রাজনৈতিক ভিক্ষাবৃত্তির' পথ ছেড়ে গান্ধিজীর নেতৃত্বে অহিংস অসহযোগ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

অসহযোগ আন্দোলনের পশ্চাতে বিভিন্ন ঘটনার প্রভার ছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ইংরেজদের হয়ে প্রায় সাড়ে 12 লক্ষ ভারতীয় সেনা যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিল যাদের মধ্যে প্রায় 10 হাজার সেনা মৃত্যুবরন করে। ভারত থেকে যুদ্ধ বাবদ 6 কোটি 21 লক্ষ পাউন্ড চাঁদা তুলে দেওয়া হয়। ভারতীয় জাতীয়তাবাদীরা আশা করেছিলেন যে যুদ্ধ শেষ হলে এর বিনিময়ে ব্রিটিশ সরকার ভারতকে স্বায়ত্বশাসনের অধিকার দেবে। কিন্তু 1919 খ্রীঃ 'হতাশাজনক, অসন্তোষপূর্ন অপর্যাপ্ত' মন্টেগু-চেমসফোর্ড আইন প্রবর্তনের দ্বারা ভারতকে যৎকিঞ্চিৎ ক্ষমতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ভারতবাসীকে এক দারুন অর্থনৈতিক দূরাবস্থায় ফেলে। শিল্পদ্রব্যের যথা কাপড়, ঔষধ, চিনি প্রভৃতির দাম শতকরা 100 ভাগ বেড়ে যায়। কৃষকে শিল্পদ্রব্য বেশী দামে কিনে ফসল ফলিয়ে সেই ফসল কমদামে মহাজনের কাছে বিক্রী করতে হত। শ্রমিকের মজুরীও ছিল অত্যন্ত নিম্ন। এজন্য দরিদ্র শ্রেনীর মানুষ জাতীয় আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যোগদান করে। শিল্পপতিদের কল-কারখানার উপর নানা বিধি-নিষেধ চড়া হারে কর আরোপ এবং নতুন কল-কারখানা স্থাপনে বাধা দেওয়ায় শিল্পপতিরা জাতীয় আন্দোলনে যোগদান করেন।

এই সঙ্কট সময়ে লোকমান্য তিলকের অকস্মাৎ মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুতে কংগ্রেসের নেতৃত্বে যে শূন্যতা দেখা দেয় তা পূরন করেন মহাত্মা গান্ধী। তিনি জাতীয় কংগ্রেসেকে তার দাবীগুলি আদায়ের জন্য সত্যাগ্রহের পথ নির্দেশ করেন।

1920 সালের ডিসেম্বর মাসে নাগপুরে অনুষ্ঠিত জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে গান্ধিজীর অসহযোগ আন্দোলনের প্রস্তাব গৃহীত হয়। কংগ্রেসে অসহযোগ আন্দোলনের প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার আগেই পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালা বাগের হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের খিলাফৎ আন্দোলন, এই দুই বিক্ষোভকে একসুত্রে জড়িত করে গান্ধিজী তাঁর অসহযোগ নীতিকে কার্যকর করার জন্য হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সমস্ত ভারতবাসীর কাছে আহ্বান জানান (30/06/1920) গান্ধিজী তাঁর অসহযোগ আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হিসাবে তিনটিকেই নির্দিষ্ট করেন যথা-

) জালিয়ালওয়ালাবাগের অন্যায়ের প্রতিকার

) খিলাফৎ প্রশ্নের সঠিক মীমাংসা এবং

) স্বরাজ অর্জন।

এই সকল উদ্দেশ্য পূরনের জন্য গান্ধিজী তাঁর আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষনা করেন। কর্মসূচীর নেতিবাচক দিকগুলি হল-

) আইনসভা সরকারি অফিস আদালত বর্জন করা।

) সরকারি উপাধি, পদক, খেতাব, সমস্ত সরকারি অনুষ্ঠান ইত্যাদি বর্জন করা।

) সরকারি স্কুলকলেজ থেকে ছেলেমেয়েদের নাম প্রত্যাহার করে নেওয়া।

) সমস্ত বিদেশি পন্যদ্রব্য বর্জন করা

) সরকার কর্তৃক মনোনীত সদস্যপদ বর্জন করা।

) সকল শ্রেনীর সামরিক বেসামরিক সরকারি কর্মচারীর বিদেশ ভ্রমনে অস্বীকৃতি ইত্যাদি।

অন্দোলনের ইতিবাচক দিকগুলি ছিলঃ-

) চরকায় সুতো কাটা এবং খাদি বস্ত্র উৎপাদন ব্যবহারের মাধ্যমে স্বনির্ভরতা অর্জন করা।

) জাতীয় স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা।

) নিরক্ষরতা অস্পৃশ্যতা দূরীকরনে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করা।

) দেশের গন্যমান্য মানুষদের নিয়ে সালিশি বোর্ড গঠন করা।

1921 সালের জুলাই মাসের মধ্যেই অসহযোগ আন্দোলন সারা ভারতে এক অদ্ভুতপূর্ব আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এই উদ্দীপনাকে ঘুমন্ত দৈত্যের জেগে ওঠার সাথে তুলনা করেছেন ঐতিহাসিক বিপিন চন্দ্র। গান্ধিজীর ডাকে সারা দেশে অভূতপূর্ব সাড়া জাগে। প্রথম পর্যায়ে আইনজীবিরা আইন-আদলত, ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল-কলেজ বর্জন করেন। চিত্তরঞ্জন দাশ মোতিলাল নেহেরু আইন ব্যবসা ছেড়ে দেন। 1921 সালে সুভাষচন্দ্র বোস আই-সি-এস চাকুরী ছেড়ে স্বাধীনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বাবু রাজেন্দ্র প্রসাদ, চক্রবর্তী রাজা গোপালাচারী, সীতারামাইয়া, টি প্রকাশম, বল্লভভাই প্যাটেল, জওহরলাল নেহেরু প্রভৃতি নেতা স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগদান করেন। কয়েকমাসের মধ্যে অন্দোলনের জন্য গঠিত তিলক স্বরাজ্য তহবিলে এক কোটি পনের লক্ষ টাকা সংগৃহীত হয়। কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা 50 লক্ষ অতিক্রম করে। প্রায় 20 লক্ষ চরকায় সুতাকাটা শুরু হয়। দিকে দিকে বিলাতী বস্ত্রে অগ্নিসংযোগ করা হয়। খদ্দরের ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। 1921 সালে নভেম্বর মাসে ইংল্যান্ডের যুবরাজ প্রিন্স ওয়েলস ভারত সফরে এলে আন্দোলনের তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পায়, সাথে ব্রিটিশ সরকারের দমননীতিও জোরদার করা হয়। বোম্বাই বন্দরে যুবরাজ অবতরনের দিন শহরে দাঙ্গা বেঁধে যায়। প্রচুর লোক হতাহত হন। জনসামাবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কলকাতায় তিনামসের জন্য সমস্ত সভা-সমিতি নিষিদ্ধ হয়। এই আদেশ অমান্য করার জন্য চিত্তরঞ্জন দাশ তাঁর একমাত্র পুত্র চিররঞ্জন দাশ স্ত্রী বাসন্তীদেবীকে সর্বাগ্রে পাঠায়। বাসন্তীদেবীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে কলকাতায় উত্তেজনা এমন চরম আকার ধারন করে যে, সন্ত্রস্ত্র সরকার রাতেই তাঁকে মুক্তি দিতে বাধ্য হন। দেশবন্ধুর নেতৃত্বে কলকাতায় সরকারী আদেশ অমান্য করে দলে দলে স্বেচ্ছাসেবীরা জেলে যেতে থাকে। অনতিবিলম্বেই জেলগুলি ভরে গেলে সরকার অস্থায়ী বন্দিশিবির খোলেন, কিন্তু তাতে সমস্যার সমাধান হয় নি। সারা দেশে হাজার হাজার মানুষ কারাবরন করতে থাকে। কারারুদ্ধ কংগ্রেস কর্মীদের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় 40 হাজার। এই সময় দেশবন্ধু মন্তব্য করেন- 'সারা ভারতই আজ এক বিশাল কারাগার। সুতরাং কি এসে যায় যদি আজকে ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয় বা বাড়ীতে থাকি

1922 সালে 5 ফেব্রুয়ারি উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর জেলার চৌরিচৌরা গ্রামে এক শোভাযাত্রার উপর পুলিশ অকারনে গুলিবর্ষন করলে 3000 মানুষের এক ক্ষিপ্ত দল আন্দোলনের শপথ ভুলে গিয়ে পুলিশকে তাড়া করে। পুলিশ একটি ঘরে আশ্রয় নিলে ক্ষিপ্ত জনতা ঘরটি বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। ফলে 22 জন পুলিশ প্রান হারান। হিংসাত্মক এই ঘটনায় অহিংস মহাত্মাজী মর্মাহত হয়ে 12 ফেব্রুয়ারি আন্দোলন বন্ধের প্রস্তাব দিলে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি 25 ফেব্রুয়ারি আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন। সুভাষচন্দ্র গান্ধিজির এই সিদ্ধান্তকে 'জাতীয় দুর্ঘটনা' বলে অভিহিত করেন।

 

 

অসহযোগ আন্দোলন দ্বিতীয় পর্ব (অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর )>>>>

ধন্যবাদ

ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। 

 

প্রতি সপ্তাহের মকটেস্টের জন্য নীচে দেওয়া Telegram গ্রুপে জয়েন করতে পারেন

 টেলিগ্রাম গ্রুপ  যোগদান করার জন্য - Click Here

পরিবেশের বিভিন্ন টপিকগুলি সম্পর্কে জানতে Click Here

ইউরোপের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে  - Click Here

প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে - Click Here

মধ্য যুগের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here

আধুনিক ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here

 ভারতের ইতিহাসের পিডিএফ ডিটেইলস পেতে Click Here

 

অসহযোগ আন্দোলন, অহিংস অসহযোগ আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন কি, অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার, অসহযোগ আন্দোলনের গুরুত্ব, অসহযোগ আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা, অসহযোগ আন্দোলন কারন ও ফলাফল, অসহযোগ আন্দোলনের পটভূমি, অসহযোগ আন্দোলন কাকে বলে, অসহযোগ আন্দোলন কি ব্যাখ্যা কর, অসহযোগ আন্দোলন মানে কি, অসহযোগ আন্দোলন ssc, চৌরিচৌরা ঘটনা, চৌরিচৌরা, চৌরিচৌরা ঘটনা কী, চৌরিচৌরার ঘটনা, চৌরিচৌরা ঘটনা কী ?, চৌরিচৌরা ঘটনাটি কি, চৌরিচৌরা ঘটনা কত সালে হয়, চৌরিচৌরা কোথায় অবস্থিত, চৌরিচৌরা ঘটনার গুরুত্ব কী ছিল, চৌরিচৌরা ঘটনা কোথায় ঘটেছিল?, চৌড়া চুরি ঘটনা, Non Cooperation Movement, Non-Cooperation Movement, Non Cooperation Movement in India, Non Cooperation Movement class 10, Non Cooperation Movement UPSC, Non Cooperation Movement India, Non Cooperation Movement NCERT, Non-Cooperation Movement 1920, Indian National Movement, Non Cooperation Movement Year.

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad