রাজা রামমোহন রায়
Set by - Manas Adhikary
রাজা রামমোহন রায় প্রথম পর্ব। Raja Ram Mohan Roy 1st part.
রাজা রামমোহন রায়। ভারতের
প্রথম আধুনিক মানুষ। আধুনিক ভারতের জনক। ব্রাহ্মসমাজ। আত্মীয় সভা। দ্য প্রিসেস্পট অফ জেসাস। ভারতের মুকুটহীন রাজা। প্রথম বিলেত যাত্রী। তুহফাত-উল-মুওয়াহিদিন।
সতীদাহপ্রথা উচ্ছেদ। হিন্দু কলেজ।
নমস্কার, অভিনব একাডেমিতে আপনাদেরকে স্বাগত জানাই। আজকে আপনাদের জন্য আলোচনা করা হলো ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম সমাজ সংস্কারক রাজা রামমোহন রায়। এই পর্বে থাকছে রাজা রামমোহন রায় সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও কিছু অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা। পরবর্তী পর্বে রাজা রামমোহন রায় আরও কিছু অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করবো। পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতবর্ষের সমস্ত সরকারি চাকরীর পরীক্ষাতে বা প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য (All Competitive exam: UPSC,WBPSC, WBCS, SLST, WBP SI, WBP Constable, SSC, PSC, School Service, Railway exam etc) এই টপিকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।এছাড়াও আমাদের এই ব্লগে আপনি পেয়ে যাবে Indian History (Ancient, Medieval, Modern), Europe History, Geography, Gk, Bio-logy, Polity, child psychology, Environment Science, Pedagogy ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় গুলি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।
রাজা রামমোহন রায় সংক্ষিপ্তরূপ ও অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর। About Raja Ram Mohan Roy & MCQ.
ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ, আধুনিক ভারতের জনক, প্রথম ভারতীয় ধর্মীয় সামাজিক পুনর্গঠনের আন্দোলন ব্রাহ্মসমাজে প্রতিষ্ঠাতা এবং বাঙালি দার্শনিক ছিলেন রাজা রামমোহন রায়।
১৭৭২ সালের ২২ মে পশ্চিমবাংলার হুগলি জেলার রাধানগর গ্রামে রামমোহন রায় জন্মগ্রহন করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে ‘ভারতপথিক— এবং অধ্যাপক দিলীপ কুমার বিশ্বাস তাঁকে 'বিশ্বপথিক' নামে অভিহিত করেন।
তরুন বয়সে রামমোহন রায় কলকাতায় মহাজনের কাজ করতেন। ১৭৯৬ সালে রামমোহন প্রথম অর্থ উপার্জন করা। শুরু করেছিলেন। ১৮০৩ থেকে ১৮১৪ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারী ছিলেন রাম মোহন। রাজা রামমোহন রায় তখন নিয়মিতভাবে কলকাতায় আসতেন এবং কোম্পানির নবাগত অসামরিক কর্মচারিদের সঙ্গে পরিচিতি হয়ে তাদের নানা বিষয়ে সাহায্য করতেন। এবং এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে তিনি ভালোভাবে ইংরেজি শিখে নেন। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সিভিলিয়ান কর্মচারীদের মধ্যে জন ডিগবির সঙ্গে তাঁর সর্বাধিক ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল। কোম্পানির অধীনে তিনি ডিগবির অধীনে দেওয়ানরূপে কাজ করেন ১৮০৩ থেকে ১৮১৪ সাল পর্যন্ত। এই সময় তিনি কোম্পানির দূত হয়ে দুবার ভুটান গিয়েছিলেন। ১৮১৫ সালে রামমোহন কলকাতার স্থায়ী বাসিন্দা হন এবং তারপর থেকেই প্রকাশ্যে তাঁর সমাজ সংস্কার প্রচেষ্ঠার শুরু করেন। তাঁর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ফরাসি ভাষায় লেখা 'তুহফাতুল মুহাহহিদিন'। এই বইটি একেশ্বরবাদের সমর্থনে লেখা।এরপর একেশ্বরবাদ বা ব্রাহ্মবাদ প্রতিষ্ঠ করার জন্য বেদান্ত সূত্র ও তার সমর্থক উপনিষদগুলি বাংলায় অনুবাদ করে প্রচার করে থাকেন। ১৮১৫ থেকে ১৮১৯ সালের মধ্যে প্রকাশিত হয়। বেদান্ত গ্রন্থ, বেদান্তসার, কোনোপনিষদ, ঈশোপনিষদ, কঠোপনিষদ, মাণ্ডুক্যপনিষদ, মুন্ডকোপনিষদ এর বঙ্গানুবাদ। বেদান্ত গ্রন্থ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে দিনি ব্রহ্মনিষ্ঠ একেশ্বর উপসনার জন্য ‘আত্মীয় সভা প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে এই আত্মীয়সভাকে রাজারামমোহন রায় 'ব্রাহ্মসমাজ' নামে আখ্যায়িত করেন।
সমাজ সংস্কারের ক্ষেত্রে রামমোহন ছিলেন অগ্রদূত। জাতিভেদ প্রথা ও স্ত্রীজাতির প্রতি বৈষম্য এই দুই সামাজিক গলদের বিরুদ্ধে রামমোহন তীব্র প্রতিবাদ জানান। সমাজ সংস্কারের ক্ষেত্রে রামমোহনের শ্রেষ্ট কীর্তি হল সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন। রামমোহন তার ‘সংবাদ কৌমুদি' নামক পত্রিকায় সতীদাহের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করেন।
১৮৩০
সালের ১৯ নভেম্বর তিনি
দিল্লীর বাদশাহ দ্বিতীয় আকবরের দূত হয়ে বিলেত যাত্রা করেছিলেন এবং এই দ্বিতীয় আকবর
তাঁকে ‘রাজা' উপাধিতে ভুষিত করেন। ১৮৩২ সালের শেষের দিকে তিনি কিছুদিনের জন্য ফান্সেও গিয়েছিলেন। ১৮৩৩ সালে আবার ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন এবং অ্যাভন নদীর তীরে অবস্থিত ঐতিহাসিক ব্রিস্টল শহরে বেড়াতে যান। সেখানে তিনি হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। আট দিনের জ্বর
ভোগের পর ব্রিস্টলে ১৮৩৩
সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ৬২
বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়।ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ, আধুনিক
ভারতের জনক, প্রথম ভারতীয় ধর্মীয় সামাজিক পুনর্গঠনের আন্দোলন ব্রাহ্মসমাজে প্রতিষ্ঠাতা
এবং বাঙালি দার্শনিক ছিলেন রাজা রামমোহন রায়।
১৭৭২
সালের ২২ মে পশ্চিমবাংলার হুগলি জেলার রাধানগর গ্রামে রামমোহন রায় জন্মগ্রহন করেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে ‘ভারতপথিক— এবং অধ্যাপক দিলীপ কুমার বিশ্বাস তাঁকে
'বিশ্বপথিক' নামে অভিহিত করেন।
তরুন
বয়সে রামমোহন রায় কলকাতায় মহাজনের কাজ করতেন। ১৭৯৬ সালে রামমোহন প্রথম অর্থ উপার্জন
করা। শুরু করেছিলেন। ১৮০৩ থেকে ১৮১৪ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারী
ছিলেন রাম মোহন। রাজা রামমোহন রায় তখন নিয়মিতভাবে কলকাতায় আসতেন এবং কোম্পানির নবাগত
অসামরিক কর্মচারিদের সঙ্গে পরিচিতি হয়ে তাদের নানা বিষয়ে সাহায্য করতেন। এবং এই সুযোগটাকে
কাজে লাগিয়ে তিনি ভালোভাবে ইংরেজি শিখে নেন। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সিভিলিয়ান
কর্মচারীদের মধ্যে জন ডিগবির সঙ্গে তাঁর সর্বাধিক ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল। কোম্পানির অধীনে
তিনি ডিগবির অধীনে দেওয়ানরূপে কাজ করেন ১৮০৩ থেকে ১৮১৪ সাল পর্যন্ত। এই সময় তিনি
কোম্পানির দূত হয়ে দুবার ভুটান গিয়েছিলেন। ১৮১৫ সালে রামমোহন কলকাতার স্থায়ী বাসিন্দা
হন এবং তারপর থেকেই প্রকাশ্যে তাঁর সমাজ সংস্কার প্রচেষ্ঠার শুরু করেন। তাঁর প্রথম
প্রকাশিত গ্রন্থ ফরাসি ভাষায় লেখা 'তুহফাতুল মুহাহহিদিন'। এই বইটি একেশ্বরবাদের সমর্থনে
লেখা।এরপর একেশ্বরবাদ বা ব্রাহ্মবাদ প্রতিষ্ঠ করার জন্য বেদান্ত সূত্র ও তার সমর্থক
উপনিষদগুলি বাংলায় অনুবাদ করে প্রচার করে থাকেন। ১৮১৫ থেকে ১৮১৯ সালের মধ্যে প্রকাশিত
হয়। বেদান্ত গ্রন্থ, বেদান্তসার, কোনোপনিষদ, ঈশোপনিষদ, কঠোপনিষদ, মাণ্ডুক্যপনিষদ,
মুন্ডকোপনিষদ এর বঙ্গানুবাদ। বেদান্ত গ্রন্থ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে দিনি ব্রহ্মনিষ্ঠ
একেশ্বর উপসনার জন্য ‘আত্মীয় সভা প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে এই আত্মীয়সভাকে রাজারামমোহন
রায় 'ব্রাহ্মসমাজ' নামে আখ্যায়িত করেন।
সমাজ
সংস্কারের ক্ষেত্রে রামমোহন ছিলেন অগ্রদূত। জাতিভেদ প্রথা ও স্ত্রীজাতির প্রতি বৈষম্য
এই দুই সামাজিক গলদের বিরুদ্ধে রামমোহন তীব্র প্রতিবাদ জানান। সমাজ সংস্কারের ক্ষেত্রে
রামমোহনের শ্রেষ্ট কীর্তি হল সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন। রামমোহন তার ‘সংবাদ কৌমুদি'
নামক পত্রিকায় সতীদাহের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করেন।
১৮৩০
সালের ১৯ নভেম্বর তিনি দিল্লীর বাদশাহ দ্বিতীয় আকবরের দূত হয়ে বিলেত যাত্রা করেছিলেন
এবং এই দ্বিতীয় আকবর তাঁকে ‘রাজা' উপাধিতে ভুষিত করেন। ১৮৩২ সালের শেষের দিকে তিনি
কিছুদিনের জন্য ফান্সেও গিয়েছিলেন। ১৮৩৩ সালে আবার ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন এবং অ্যাভন
নদীর তীরে অবস্থিত ঐতিহাসিক ব্রিস্টল শহরে বেড়াতে যান। সেখানে তিনি হঠাৎই অসুস্থ হয়ে
পড়েন। আট দিনের জ্বর ভোগের পর ব্রিস্টলে ১৮৩৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ৬২ বছর বয়সে তাঁর
মৃত্যু হয়।
ধন্যবাদ
ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
প্রতি সপ্তাহের মকটেস্টের জন্য নীচে দেওয়া Telegram গ্রুপে জয়েন করতে পারেন
টেলিগ্রাম গ্রুপ এ যোগদান করার জন্য - Click Here
পরিবেশের বিভিন্ন টপিকগুলি সম্পর্কে জানতে Click Here
ইউরোপের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে - Click Here
প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্বন্ধে পড়তে - Click Here
মধ্য যুগের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here
আধুনিক ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে পড়তে - Click Here
ভারতের ইতিহাসের পিডিএফ ডিটেইলস পেতে Click Here
রাজা রামমোহন রায়। ভারতের
প্রথম আধুনিক মানুষ। আধুনিক ভারতের জনক। ব্রাহ্মসমাজ। আত্মীয় সভা। দ্য প্রিসেস্পট অফ জেসাস। ভারতের মুকুটহীন রাজা। প্রথম বিলেত যাত্রী। তুহফাত-উল-মুওয়াহিদিন।
সতীদাহপ্রথা উচ্ছেদ। হিন্দু কলেজ।